ঢাবি শিক্ষকের আইনজীবী স্ত্রী নিজ বাসায় খুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব-ই-সাত্তারের স্ত্রী বিশিষ্ট আইনজীবী রওশন আরাকে (৬১) দুর্বৃত্তরা নিজ বাসায় হত্যা করেছে।
তার হাত-পা ও মুখ বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ও হাসপাতাল
সূত্র বলেছে। দুর্বৃত্তরা পুরো ফ্যাটের আসবাবপত্র তছনছ করেছে এবং মালামাল
লুট করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। থানা পুলিশ বলেছে, ঘটনার পর থেকে
বাড়ির দুই দারোয়ান পলাতক রয়েছে। প্রাথমিক ধারণা ওই দুই দারোয়ান অজ্ঞাত
দুর্বৃত্তদের নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। রওশন আরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধ্যাপক মাহবুব-ই সাত্তারের স্ত্রী।
বাসা মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের এ ব্লকের ৩ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাড়িতে। ওই
বাড়ির ৩/সি নম্বর ফ্যাটে একমাত্র মেয়ে ডাক্তার রেজওয়ানাসহ বসবাস করতেন।
গতকাল সকাল ৮টায় অধ্যাপক সাত্তার বাসা থেকে বের হন বিশ্ববিদ্যালয়ের
উদ্দেশে। এরপর তার মেয়ে বাসা থেকে বের হন। ডাক্তার রেজওয়ানা মিরপুর কিডনি
হাসপাতালে চাকরি করেন। সকাল ৯টার দিকেও অধ্যাপক সাত্তারের সাথে মোবাইল
ফোনে তার স্ত্রীর কথা হয়। তিনি সকালের নাস্তা করেছেন কি না সে খবর জানতে
চান সাত্তার। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবারো তিনি বাসায় ফোন দিলে কেউ রিসিভ
করেনি। রওশন আরার মোবাইলে তখন তিনি ফোন দেন। মোবাইল বন্ধ পান। তখন
প্রতিবেশী এক ফ্যাটে ফোন দিয়ে তিনি বাসার অবস্থা জানতে চান। প্রতিবেশী ওই
ফ্যাটের সদস্যরা বাসায় গিয়ে দেখতে পান বাসার দরজা খোলা। হাত-পা ও মুখ
বাঁধা অবস্থায় বিছানার ওপর শুয়ে আছেন রওশন আরা। কাছে গিয়ে দেখতে পান
তিনি অচেতন। এরপর অন্য প্রতিবেশীরাও খবর পেয়ে ছুটে আসেন। তারা এসে নিশ্চিত
হন রওশন আরা মারা গেছেন। খবর পেয়ে অধ্যাপক সাত্তার বাসায় ছুটে যান।
ইতোমধ্যেই খবর দেয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলে যায়।
এসব তথ্য জানিয়েছেন সাত্তারের ভাই মোহতাহুস সাত্তার হিল্লোল। তিনি বলেছেন,
রওশন আরার গলায় গামছা পেঁচানো ছিল। বাসার ৫টি কক্ষের প্রতিটি তছনছ করা।
আলমারি খোলা। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে বিকেল ৪টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
রওশন আরা একজন অ্যাডভোকেট ছিলেন। তিনি প্রতিবেশী সবাইকে খুবই ভালো বাসতেন। সবার সাথে ছিল ভালো সম্পর্ক। ঘরে ভালো খাবার হলে প্রতিবেশীদের ডেকে খাওয়াতেন। এমনকি বাড়ির দারোয়ানদেরও। পুলিশ জানায়, ওই বাড়িতে তিন দিন হয় দুই দারোয়ানকে নতুন নিয়োগ দেয়া হয়। এসিকোন নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ওই দারোয়ানদের সরবরাহ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই দারোয়ানরা পলাতক রয়েছে।
পুলিশ বলেছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাসার মালামাল লুট করার জন্যই এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। মিরপুর থানার ওসি সালাহউদ্দিন বলেছেন, দারোয়ানরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি রওশন আরার মেয়ের বিয়ের দিন ধার্য হয়েছিল। হয়তো দুর্বৃত্তদের ধারণা ছিল মেয়ের বিয়েকে কেন্দ্র করে বাসায় অনেক টাকা-পয়সা এবং মালামাল রাখা হয়েছে। এ কারণেই দুর্বৃত্তরা চুরির উদ্দেশ্যে বাসায় ঢুকে রওশন আরাকে হত্যা করতে পারে। গত রাত ৮টায় মিরপুরের ওসি বলেন, তারা দুই দারোয়ানের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন। ওই কোম্পানির সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। আজ সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে দুই দারোয়ানের পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন তারা। ওসি বলেন, দুই দারোয়ানকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেই হত্যার উদ্দেশ্য জানা যাবে। গত রাত ৮টায় এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান।
রওশন আরা একজন অ্যাডভোকেট ছিলেন। তিনি প্রতিবেশী সবাইকে খুবই ভালো বাসতেন। সবার সাথে ছিল ভালো সম্পর্ক। ঘরে ভালো খাবার হলে প্রতিবেশীদের ডেকে খাওয়াতেন। এমনকি বাড়ির দারোয়ানদেরও। পুলিশ জানায়, ওই বাড়িতে তিন দিন হয় দুই দারোয়ানকে নতুন নিয়োগ দেয়া হয়। এসিকোন নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ওই দারোয়ানদের সরবরাহ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই দারোয়ানরা পলাতক রয়েছে।
পুলিশ বলেছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাসার মালামাল লুট করার জন্যই এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। মিরপুর থানার ওসি সালাহউদ্দিন বলেছেন, দারোয়ানরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি রওশন আরার মেয়ের বিয়ের দিন ধার্য হয়েছিল। হয়তো দুর্বৃত্তদের ধারণা ছিল মেয়ের বিয়েকে কেন্দ্র করে বাসায় অনেক টাকা-পয়সা এবং মালামাল রাখা হয়েছে। এ কারণেই দুর্বৃত্তরা চুরির উদ্দেশ্যে বাসায় ঢুকে রওশন আরাকে হত্যা করতে পারে। গত রাত ৮টায় মিরপুরের ওসি বলেন, তারা দুই দারোয়ানের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন। ওই কোম্পানির সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। আজ সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে দুই দারোয়ানের পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন তারা। ওসি বলেন, দুই দারোয়ানকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেই হত্যার উদ্দেশ্য জানা যাবে। গত রাত ৮টায় এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান।
No comments