শ্রমিক দলের সমাবেশে তরিকুল-নতুন বছরে সরকারের পতন হবে
নতুন বছর সুন্দর হবে এমন আশা প্রকাশ করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য
তরিকুল ইসলাম বলেছেন, দুর্বার আন্দোলনের স্রোতে নতুন বছরে স্বৈরাচার
সরকারের পতন হবে।
গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয়
কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক দলের এক বিােভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের মুক্তি
দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তরিকুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রীরা বলেন, উন্নয়ন
হয়েছে। হ্যাঁ, আসলেই উন্নয়ন হয়েছে, তবে তা কেবল ছাত্রলীগ, যুবলীগ,
মন্ত্রী, এমপি, প্রধানমন্ত্রী ও তাদের আত্মীয়স্বজনের। তারা ব্যাংক-বীমা,
টেন্ডার, সব কিছু খেয়ে ফেলছে। আগে যাদের একটা গাড়ি ছিল, তাদের এখন ছয়টি
গাড়ি হয়েছে। তারা একদিন বঙ্গোপসাগরও শুষে খেয়ে ফেলবে। একদিন ঘুম থেকে
উঠে দেখা যাবে, এ সরকার বঙ্গোপসাগরের পানি-দ্বীপ সব খেয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, সংবিধান নিজেই এখন বিচারপ্রার্থী। মানবাধিকারের নিজেরই এখন অধিকার নেই। যে সরকারের আমলে বিকাশের মতো সন্ত্রাসীরা ছাড়া পায়, আর ফখরুলের মতো ভালো লোকেরা জেলে যায়, সে সরকারের কাছে আর কী-ই বা আশা করা যায়!
তরিকুল ইসলাম বলেন, ২০১২ সাল খুন, গুম, কেলেঙ্কারি ও লুটপাটের বছর হিসেবে বিদেশে পরিচিতি পেয়েছে। এ সরকার জনগণের জন্য কিছু করতে না পারলেও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা-হামলা, দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে। সে কারণে বিএনপির প্রায় ২৫ হাজার নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা ঘরে ফিরতে পারছে না।
বিএনপি মতায় থাকাকালে বিদ্যুতের দাম মাত্র একবার বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি মতায় থাকাকালে একবার মাত্র ২৩ পয়সা বাড়িয়েছিল। আর এ সরকারের সময় ছয়বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ঊর্ধ্বগতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, এ সরকার বুঝতে পারছে না এ দেশের গরিব কিংবা মধ্যবিত্ত কী কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। তারা কিছু জানে না, বুঝতেও চায় না। সরকার এখন অন্ধ। কিছুই দেখতে পায় না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, আল্লাহর দোহাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচন দিন। তা না হলে জনগণ যখন আন্দোলন শুরু করবে, তখন আন্দোলনের তোড়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন না।
তিনি ুব্ধকণ্ঠে বলেন, এ সরকার গণতন্ত্র বোঝে না। তারা বোঝে একদলীয় শাসন। তারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করে, বিচার বিভাগের ওপর হস্তপে করে এবং বিচারকে প্রভাবিত করেছে। তিনি বলেন, এ জন্য কি আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি?
তরিকুল ইসলাম এ সময় শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, শীত যখন আপনাদের কাবু করতে পারেনি, তখন এ সরকারও আপনাদের কাবু করতে পারবে না। সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে নেতাকর্মীদের মাসব্যাপী কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান তিনি।
শ্রমিক দলের সভাপতি ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুস সালাম, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান, শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম খান নাসিম প্রমুখ।
তিনি বলেন, সংবিধান নিজেই এখন বিচারপ্রার্থী। মানবাধিকারের নিজেরই এখন অধিকার নেই। যে সরকারের আমলে বিকাশের মতো সন্ত্রাসীরা ছাড়া পায়, আর ফখরুলের মতো ভালো লোকেরা জেলে যায়, সে সরকারের কাছে আর কী-ই বা আশা করা যায়!
তরিকুল ইসলাম বলেন, ২০১২ সাল খুন, গুম, কেলেঙ্কারি ও লুটপাটের বছর হিসেবে বিদেশে পরিচিতি পেয়েছে। এ সরকার জনগণের জন্য কিছু করতে না পারলেও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা-হামলা, দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে। সে কারণে বিএনপির প্রায় ২৫ হাজার নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা ঘরে ফিরতে পারছে না।
বিএনপি মতায় থাকাকালে বিদ্যুতের দাম মাত্র একবার বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি মতায় থাকাকালে একবার মাত্র ২৩ পয়সা বাড়িয়েছিল। আর এ সরকারের সময় ছয়বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ঊর্ধ্বগতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, এ সরকার বুঝতে পারছে না এ দেশের গরিব কিংবা মধ্যবিত্ত কী কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। তারা কিছু জানে না, বুঝতেও চায় না। সরকার এখন অন্ধ। কিছুই দেখতে পায় না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, আল্লাহর দোহাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচন দিন। তা না হলে জনগণ যখন আন্দোলন শুরু করবে, তখন আন্দোলনের তোড়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন না।
তিনি ুব্ধকণ্ঠে বলেন, এ সরকার গণতন্ত্র বোঝে না। তারা বোঝে একদলীয় শাসন। তারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করে, বিচার বিভাগের ওপর হস্তপে করে এবং বিচারকে প্রভাবিত করেছে। তিনি বলেন, এ জন্য কি আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি?
তরিকুল ইসলাম এ সময় শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, শীত যখন আপনাদের কাবু করতে পারেনি, তখন এ সরকারও আপনাদের কাবু করতে পারবে না। সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে নেতাকর্মীদের মাসব্যাপী কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান তিনি।
শ্রমিক দলের সভাপতি ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুস সালাম, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান, শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম খান নাসিম প্রমুখ।
No comments