বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত- সাধারণ মানুষের জীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠবে
সরকার আরেক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর
সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মহাজোট সরকারের আমলে এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো বিদ্যুতের
দাম বাড়াতে যাচ্ছে সরকার।
অর্থমন্ত্রী কয়েক দিন ধরে
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে বলে জানিয়ে আসছিলেন। এরপর
গ্রাহকপর্যায়ে প্রায় ৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতির মধ্যে বছরের শুরুতে আবারো এই দাম বাড়ানোর মধ্য
দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।
মাত্র দুই মাস আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ এবং পাইকারি পর্যায়ে ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে দাম বৃদ্ধির সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি বলেছিল ষষ্ঠবারের মতো দাম বৃদ্ধি করা হলেও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি গুনতে হবে তিন হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। এসব ভর্তুকির বিষয়ে তরল জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকেই দায়ী করা হয়েছিল। অর্থাৎ তরল জ্বালানিভিত্তিক কুইক রেন্টাল, রেন্টাল ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দায় এখন পরিশোধ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সরকারের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বা পিডিবির প্রতি মাসে লোকসান হচ্ছে গড়ে ৬০০ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বরেও এ লোকসানের পরিমাণ ছিল ৬৩৪ কোটি টাকা। সেচকাজের কারণে পরের দুই মাসে লোকসান আরো বেড়ে গেছে।
সরকার যখন একের পর এক রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দিয়ে বিদ্যুৎ কেনার পরিকল্পনা নিয়েছিল, তখন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছিলেন এর বোঝা জনগণের কাঁধে চেপে বসবে। পিডিবির নিজস্ব উৎপাদন ব্যয় এখনো গড়ে তিন টাকার নিচে রয়েছে। কিন্তু তেলভিত্তিক কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে প্রতি ইউনিটের জন্য ক্ষেত্রবিশেষে পরিশোধ করতে হচ্ছে ২২ টাকা। নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয় ও কুইক রেন্টাল থেকে বিদ্যুৎ কেনার ব্যয় যোগ করেই পিডিবির গড় ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। এ কারণে পিডিবির বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যয় বেড়ে গেছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার নামে ব্যাপক দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। সরকারকে এক দিকে ভর্তুকি মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ করতে হয়েছে, অপর দিকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে গ্রাহকদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এর সাথে দুর্নীতির দায় এখন জনগণকে বহন করতে হচ্ছে।
আমরা মনে করি, এভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের বোঝা এখন জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সরকারের এসব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। সরকারের উচিত বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা।
idi-lanN�e (E� P� গোপনে বা প্রকাশ্যে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে একটি সমঝোতা হওয়ার পর সে প্রস্তাবের আনুষ্ঠানিক বাস্তবায়নের জন্য অবশ্যই সংসদে যেতে হবে সব পক্ষকে। এসব ব্যাপারে কোনো পক্ষেরই একগুঁয়েমি ভূমিকা পালনের অবকাশ নেই। আমরা আরো মনে করি, সমঝোতার আলোচনা দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি হওয়াই ভালো। তা না হলে সুশীলসমাজ বা ব্যবসায়ী নেতারা যদি এতে কোনো ভূমিকা রাখতে চান তাকেও স্বাগত জানানো যেতে পারে। এমনকি পরোক্ষ অনুঘটকের ভূমিকা যদি কোনো কূটনৈতিক অংশীদারের নেয়ার প্রয়োজন হয়, তাতেও আপত্তি জানানোর কারণ থাকতে পারে না।
মাত্র দুই মাস আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ এবং পাইকারি পর্যায়ে ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে দাম বৃদ্ধির সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি বলেছিল ষষ্ঠবারের মতো দাম বৃদ্ধি করা হলেও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি গুনতে হবে তিন হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। এসব ভর্তুকির বিষয়ে তরল জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকেই দায়ী করা হয়েছিল। অর্থাৎ তরল জ্বালানিভিত্তিক কুইক রেন্টাল, রেন্টাল ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দায় এখন পরিশোধ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সরকারের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বা পিডিবির প্রতি মাসে লোকসান হচ্ছে গড়ে ৬০০ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বরেও এ লোকসানের পরিমাণ ছিল ৬৩৪ কোটি টাকা। সেচকাজের কারণে পরের দুই মাসে লোকসান আরো বেড়ে গেছে।
সরকার যখন একের পর এক রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দিয়ে বিদ্যুৎ কেনার পরিকল্পনা নিয়েছিল, তখন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছিলেন এর বোঝা জনগণের কাঁধে চেপে বসবে। পিডিবির নিজস্ব উৎপাদন ব্যয় এখনো গড়ে তিন টাকার নিচে রয়েছে। কিন্তু তেলভিত্তিক কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে প্রতি ইউনিটের জন্য ক্ষেত্রবিশেষে পরিশোধ করতে হচ্ছে ২২ টাকা। নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয় ও কুইক রেন্টাল থেকে বিদ্যুৎ কেনার ব্যয় যোগ করেই পিডিবির গড় ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। এ কারণে পিডিবির বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যয় বেড়ে গেছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার নামে ব্যাপক দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। সরকারকে এক দিকে ভর্তুকি মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ করতে হয়েছে, অপর দিকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে গ্রাহকদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এর সাথে দুর্নীতির দায় এখন জনগণকে বহন করতে হচ্ছে।
আমরা মনে করি, এভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের বোঝা এখন জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সরকারের এসব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। সরকারের উচিত বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা।
idi-lanN�e (E� P� গোপনে বা প্রকাশ্যে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে একটি সমঝোতা হওয়ার পর সে প্রস্তাবের আনুষ্ঠানিক বাস্তবায়নের জন্য অবশ্যই সংসদে যেতে হবে সব পক্ষকে। এসব ব্যাপারে কোনো পক্ষেরই একগুঁয়েমি ভূমিকা পালনের অবকাশ নেই। আমরা আরো মনে করি, সমঝোতার আলোচনা দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি হওয়াই ভালো। তা না হলে সুশীলসমাজ বা ব্যবসায়ী নেতারা যদি এতে কোনো ভূমিকা রাখতে চান তাকেও স্বাগত জানানো যেতে পারে। এমনকি পরোক্ষ অনুঘটকের ভূমিকা যদি কোনো কূটনৈতিক অংশীদারের নেয়ার প্রয়োজন হয়, তাতেও আপত্তি জানানোর কারণ থাকতে পারে না।
No comments