নার্সদের আন্দোলন
সুস্থ দেহ, সুস্থ মন_প্রবাদটি অনেক পুরনো। কিন্তু এ পুরনো প্রবাদ অনেক সময় নতুন হয়ে দেখা দেয়। নার্সিং একটি মহৎ পেশা। একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে সে বুঝতে পারে অসুস্থ রোগীর জন্য নার্স কত অপরিহার্য।
একজন অসুস্থ রোগীর জন্য ডাক্তারের ভূমিকার তুলনায় একজন নার্সের ভূমিকা কোন অংশে কম নয়। কারণ রোগীর কাছে একজন নার্স সর্বণিক দায়িত্ব পালন করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, যারা সর্বণিক রোগীর সেবা-যত্ন ও মঙ্গল কামনা করে তারাই আজ অবহেলিত।দীর্ঘদিন ধরে সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে কোন নিয়োগ দেয়া হয়নি। সর্বশেষ নিয়োগ দেয়া হয়েছিল জোট সরকারের প্রথম দিকে অর্থাৎ ২০০৩ সালে। তার পরে আর কোন নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে দেশে হাজার হাজার ডিপেস্নামাধারী নার্স বেকার হয়ে আছে। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ ধরে নার্সরা সিনিয়রিটি, মেধা ও ব্যাচভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে আসছে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নার্সিং কাউন্সিলের এক শ্রেণীর দালাল তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য ব্যাচ, মেধা ও সিনিয়রিটি বাদ দিয়ে শুধুমাত্রা পরীা ও কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর বিরম্নদ্ধে প্রবল আন্দোলনের মুখে বর্তমান সরকার পূর্বের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ব্যাচ, মেধা ও সিনিয়রিটির ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেয়। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেকার নার্সদের বয়স সীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৬ বছর করার ঘোষণা দেন এবং নার্সদের পদ মর্যাদা ৩য় শ্রেণী থেকে ২য় শ্রেণীতে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পরেও বেকার নার্সদের নিয়োগের কোন লণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে গত কয়েকদিন ধরে বেকার নার্সরা তাদের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় অনতিবিলম্বে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ব্যাচভিত্তিক নিয়োগের জন্য আমরণ অনশন শুরম্ন করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আপনার প্রতিশ্রম্নতি অনুযায়ী বেকার নার্সদের সমস্যা সমাধান করা হোক।
অরূপ রতন দাস
নিউ ইস্কাটন, ঢাকা।
No comments