মাছি মানব ওবামা by মাহমুদ মেনন
সিক্রেট সার্ভিসের কর্মীরা মার্কিন
প্রেসিডেন্টকে সদানিরাপত্তা দিতে সক্ষম হলেও কোনোভাবেই তাকে মাছির হামলা
থেকে সুরক্ষা দিতে পারছে না।
বার বারই ঘটে চলেছে একই ধরনের ঘটনা। ক্ষুদ্র প্রাণীটি ত্যক্ত বিরক্ত করে ছাড়ছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই মানুষটিকে।
বৃহস্পতিবার
ওবামা যখন তার দ্বিতীয় দফার সরকারে নতুন দুটি গুরুত্বপূর্ণ নাম যোগ করার
ঘোষণা দিচ্ছিলেন তখন ভন ভন শব্দে উড়ে এসে চারিদিকে গোটা দুই চক্কর মেরে তার
কপালের ওপর বসলো একটি মাছি। ওবামা তখন সেটিকে উড়িয়ে দিতে হাত নেড়ে বলে
উঠলেন, এই ব্যাটাতো আমাকে ত্যক্ত করে ছাড়লো। তবে মাছিটি নাছোরবান্দা। এই
সময় টানা পাঁচ মিনিটের বক্তৃতা দিলেন ওবামা। আর পুরোটা সময়ই মাছিটি তার
আশেপাশে উড়ে বেড়াচ্ছিলো।
মাছি নিয়ে এমন ঘটনা যে এটাই প্রথম ঘটলো তা নয়। এর আগেও ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বারাক ওবামাকে যুঝতে হয়েছে মাছির সঙ্গে। ২০০৯ সালের জুনের ঘটনা। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে বসে একটি মাছির সঙ্গে লড়াই করেছেন প্রায় মিনিট খানেক ধরে।
এরপর ২০১০ সালে যেদিন স্বাস্থ্যসেবার সংস্কারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছিলেন ঠিক তখনই তাকে হামলা করে বসে এই অস্বাস্থ্যকর প্রাণীটি। ওবামা তখন স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে একজন আমেরিকান কেমন কষ্টের জীবন যাপন করেন তার করুণ গল্প বলছিলেন। বেয়াদব মাছির হামলায় আবেগময় সেই বর্ণনায় ছেদ পড়ে। মাছিটি সেবার ওবামার মুখের উপরের ঠোঁটের ওপর নাকের বামপাশে বসে পড়ে। যা টেলিভিশন ক্যামেরার কল্যাণে দৃষ্টিগোচর হয় বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের।
কিন্তু মাছিমারা কেরাণীকে নিয়ে ঠাট্টা-রসিকতার কথা এবং সৈয়দ মুজতবা আলীর মাছি ধরা কঠিন কাজ বলে মত দেওয়ার বিষয়টি যে বারাক ওবামার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় সেটি প্রমাণ হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে। সেদিন ওবামা তার বাম হাতের ওপর বসা মাছিটিকে ডান হাতে এক থাপ্পড়ে কুপোকাত করেছিলেন। সে দৃশ্যও দেখেছে অনেকে।
মাছি নাকি আচক্রবালবিস্তৃত বিশ্বের অর্ধেকটা একবারে দেখতে পায়। কিন্তু সে কথা খাটেনি ওবামার সেই মক্ষিকা নিধনের দৃশ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে কত কিই যে শিখতে হয়!!
মাছি নিয়ে এমন ঘটনা যে এটাই প্রথম ঘটলো তা নয়। এর আগেও ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বারাক ওবামাকে যুঝতে হয়েছে মাছির সঙ্গে। ২০০৯ সালের জুনের ঘটনা। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে বসে একটি মাছির সঙ্গে লড়াই করেছেন প্রায় মিনিট খানেক ধরে।
এরপর ২০১০ সালে যেদিন স্বাস্থ্যসেবার সংস্কারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছিলেন ঠিক তখনই তাকে হামলা করে বসে এই অস্বাস্থ্যকর প্রাণীটি। ওবামা তখন স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে একজন আমেরিকান কেমন কষ্টের জীবন যাপন করেন তার করুণ গল্প বলছিলেন। বেয়াদব মাছির হামলায় আবেগময় সেই বর্ণনায় ছেদ পড়ে। মাছিটি সেবার ওবামার মুখের উপরের ঠোঁটের ওপর নাকের বামপাশে বসে পড়ে। যা টেলিভিশন ক্যামেরার কল্যাণে দৃষ্টিগোচর হয় বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের।
কিন্তু মাছিমারা কেরাণীকে নিয়ে ঠাট্টা-রসিকতার কথা এবং সৈয়দ মুজতবা আলীর মাছি ধরা কঠিন কাজ বলে মত দেওয়ার বিষয়টি যে বারাক ওবামার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় সেটি প্রমাণ হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে। সেদিন ওবামা তার বাম হাতের ওপর বসা মাছিটিকে ডান হাতে এক থাপ্পড়ে কুপোকাত করেছিলেন। সে দৃশ্যও দেখেছে অনেকে।
মাছি নাকি আচক্রবালবিস্তৃত বিশ্বের অর্ধেকটা একবারে দেখতে পায়। কিন্তু সে কথা খাটেনি ওবামার সেই মক্ষিকা নিধনের দৃশ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে কত কিই যে শিখতে হয়!!
No comments