যানজটে ঢাকায় বছরে ক্ষতি ২৫ হাজার কোটি টাকা-প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে ৪০ লাখ কর্মঘণ্টা by জিয়াউল হক মিজান
তীব্র যানজটে অচল হয়ে পড়েছে রাজধানীর জীবনযাত্রা। কেবল যানজটে নগরবাসীর ৪০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে।
যানজটে
জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়া, যাত্রীদের সময়ের অপচয়, গাড়ির ট্রিপ কমে
যাওয়া, মালিক-শ্রমিকদের আয় কমা, মালামাল পরিবহনে বিলম্ব, পরিবেশদূষণসহ
বিভিন্নভাবে কেবল ঢাকা শহরে বছরে ক্ষতি হচ্ছে ২৫ হাজার কোটি টাকা। সড়ক ও
জনপথ অধিদফতর পরিচালিত জরিপে বেরিয়ে এসেছে ভয়াবহ এ চিত্র। সরকারের
পরিকল্পনাহীনতা এবং সড়ক পরিবহনের সাথে যুক্তদের রাজনৈতিক প্রভাবে
পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত। জরিপে দেখা
গেছে, সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলাচলকারী যানবাহনগুলো যানজটে গড়ে
সাত থেকে সাড়ে সাত ঘণ্টা থেমে থাকে। রাজধানীর প্রধান চারটি সড়কে যে যানজট
হয়, তার কারণে বছরে আর্থিক তি হয় ১২ হাজার কোটি টাকা। সর্বনাশা এ যানজট
পুড়ে বাষ্প করে ৪৫ শতাংশ জ্বালানি এবং এর কারণে গাড়ির লুব্রিকেন্ট ও
স্পেয়ার পার্টস খরচ বাড়ে ১০ থেকে ১২ শতাংশ। প্রয়োজনীয় পরিকল্পনার অভাবে
এ সর্বনাশ হচ্ছে জানিয়ে জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার যানজট নিরসনে
সবার আগে দরকার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৭৪ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল মাত্র দুই লাখ। বর্তমানে এক কোটি ৪০ লাখ থেকে দেড় কোটি মানুষ বসবাস করছেন। আর প্রতিদিন ১০৩টি করে প্রাইভেট কারের অনুমোদন দিচ্ছে বিআরটিএ। এ লোকসংখ্যা ও গাড়ি বাড়ার তুলনায় রাস্তা বাড়েনি। ঢাকা শহরের আয়তনের মাত্র ৬ থেকে ৭ শতাংশ রাস্তা। অথচ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী যেকোনো বড় শহরের মোট আয়তনের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ সড়ক থাকার কথা। এ ছাড়া ঢাকা শহরের রাস্তার একটি বিশাল অংশ দখল করে থাকে হকার, অবৈধ পার্কিং ও অবৈধ স্থাপনা। যানজটের কারণ হিসেবে এসবকেই চিহ্নিত করে বিআরটিএ।
ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে ট্রাফিক পুলিশের অধীনে দুই হাজার ২৭৪ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এসব সড়কে রয়েছে ৬৫০টি ক্রসিং। এর মধ্যে ৩০০টি গুরুত্বপূর্ণ। এসব ক্রসিংয়ের মধ্যে মাত্র ৭০টিতে সঙ্কেত বাতি রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা শহরের ওপর দিয়ে রেলপথের রয়েছে ৩৬টি লেভেল ক্রসিং। রাস্তায় গাড়ি রয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ। ঢাকার ভেতরে ১৭০টি রুটে ছয় হাজার ১০০টি বাস চলাচল করছে। বাস কোম্পানি রয়েছে ১৩৭টি। ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত রয়েছেন তিন হাজার ৩৫৮ জন। বর্তমানে রাজধানীতে ৩৮টি ফুট ওভারব্রিজ ও তিনটি আন্ডারপাস রয়েছে। নির্মাণাধীন রয়েছে আরো ১০টি ওভারব্রিজ। ঢাকার জনসংখ্যা, এর আয়তন, গাড়ির সংখ্যা, ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা এবং সর্বোপরি গণপরিবহন ব্যবস্থাপনা বর্তমান চিত্র যেকোনো বিবেচনায় হতাশাজনক বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের।
গণপরিবহনের মালিকদের অনিয়ম এবং চালকদের স্বেচ্ছাচারিতাও যানজটের জন্য দায়ী উল্লেখ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপরে (বিআরটিএ) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, বাস-মিনিবাস বা সিএনজিচালিত অটোরিকশার বেশির ভাগ মালিকই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। এ কারণে যেকোনো অনিয়মই তাদের জন্য বৈধ। তাদের প্রভাবে কোনো গাড়ির অনুমোদন বাতিল করার সাহস দেখান না কেউ। গত বছর তিনবার ভাড়া বাড়ার পর প্রতিবার কয়েক দিন ধরে সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে কিছুটা উপকারও হয়। কিন্তু তা অব্যাহত রাখা যায়নি। বাড়তি ভাড়া আদায় বা অটোরিকশাচালকদের দৌরাত্ম্যে ওই সময় ৫০টি যানের অনুমোদন বাতিলের সুপারিশ করেছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু সেগুলো কখনোই বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমানে অনিয়মিতভাবে বিআরটিএর একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বিআরটিএর নথিপত্র অনুযায়ী, ঢাকায় প্রায় আট লাখ যানবাহন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত বিপুল যানবাহনের শৃঙ্খলা রায় মাত্র একজন ম্যাজিস্ট্রেটের এই ভ্রাম্যমাণ আদালত কেবল জরিমানাতেই সীমাবদ্ধ থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যানজটে মানুষের জীবনমান কমছে, বাড়ছে পরিবেশদূষণ। উন্নয়নের অন্যতম প্রধান বাধা এ যানজট। অপরিকল্পিত নগরায়ন, অপর্যাপ্ত রাস্তাঘাট, সীমাহীন জনসংখ্যা ও মাত্রাতিরিক্ত যানবাহনে ঢাকায় যানজট দিন দিন বাড়ছে। পরিকল্পনাহীনতা, আইনের বাস্তবায়ন না থাকা, অবৈধ দখল, অতিরিক্ত জনগণ ও যানবাহনে যানজট বাড়ছে। পাশাপাশি এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মানুষের জীবনযাত্রার ওপর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ারও একটি কারণ যানজট। যানজট কমাতে রাজধানীতে গাড়ি কমানোর এবং প্রাইভেট কারের আমদানি শুল্ক ও রোড পারমিট ফি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তারা। একই সাথে বিভিন্ন শিল্পকারখানা, ক্যান্টনমেন্ট, বিশ্ববিদ্যালয়, নেভি হেডকোয়ার্টার্সের মতো প্রতিষ্ঠান রাজধানীর বাইরে সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকার যানজট নিরসনে সরকার পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফাইওভার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে বনানী ফাইওভার গত সপ্তাহে খুলে দেয়া হয়েছে। উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে কুড়িল ক্রসিং ও যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফাইওভার। মগবাজার-মৌচাক ফাইওভারের কাজ শিগগির শুরু হবে। এ ছাড়া উত্তরা-যাত্রাবাড়ী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে। রেলভিত্তিক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ২০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। চলছে পাতাল রেল নির্মাণের মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজও। তবে জনসংখ্যার চাপ যে হারে বাড়ছে, সরকারের উদ্যোগগুলো এগোচ্ছে এর এক-দশমাংশ গতিতে।
ঢাকার যানজট নিরসনের অনেক প্রকল্প কাগজে-কলমে নেয়া হয়েছে এবং সেগুলো ফাইলবন্দী হয়ে আছে মন্তব্য করে ডিএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেনÑ রিকশা ও হকার তুলে দেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু তাদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেই। প্রতিদিন সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ধানমন্ডিতে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার প্রাইভেট কার আসে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীদের নিয়ে। বিআরটিএ প্রতিদিন ১৮০টি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছে। যানজটের জন্য এটিও একটি কারণ। স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ পরিবহন চালু এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেয়ার েেত্র আইন আরো কঠোর করার ওপর জোর দেন তিনি।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৭৪ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল মাত্র দুই লাখ। বর্তমানে এক কোটি ৪০ লাখ থেকে দেড় কোটি মানুষ বসবাস করছেন। আর প্রতিদিন ১০৩টি করে প্রাইভেট কারের অনুমোদন দিচ্ছে বিআরটিএ। এ লোকসংখ্যা ও গাড়ি বাড়ার তুলনায় রাস্তা বাড়েনি। ঢাকা শহরের আয়তনের মাত্র ৬ থেকে ৭ শতাংশ রাস্তা। অথচ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী যেকোনো বড় শহরের মোট আয়তনের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ সড়ক থাকার কথা। এ ছাড়া ঢাকা শহরের রাস্তার একটি বিশাল অংশ দখল করে থাকে হকার, অবৈধ পার্কিং ও অবৈধ স্থাপনা। যানজটের কারণ হিসেবে এসবকেই চিহ্নিত করে বিআরটিএ।
ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে ট্রাফিক পুলিশের অধীনে দুই হাজার ২৭৪ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এসব সড়কে রয়েছে ৬৫০টি ক্রসিং। এর মধ্যে ৩০০টি গুরুত্বপূর্ণ। এসব ক্রসিংয়ের মধ্যে মাত্র ৭০টিতে সঙ্কেত বাতি রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা শহরের ওপর দিয়ে রেলপথের রয়েছে ৩৬টি লেভেল ক্রসিং। রাস্তায় গাড়ি রয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ। ঢাকার ভেতরে ১৭০টি রুটে ছয় হাজার ১০০টি বাস চলাচল করছে। বাস কোম্পানি রয়েছে ১৩৭টি। ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত রয়েছেন তিন হাজার ৩৫৮ জন। বর্তমানে রাজধানীতে ৩৮টি ফুট ওভারব্রিজ ও তিনটি আন্ডারপাস রয়েছে। নির্মাণাধীন রয়েছে আরো ১০টি ওভারব্রিজ। ঢাকার জনসংখ্যা, এর আয়তন, গাড়ির সংখ্যা, ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা এবং সর্বোপরি গণপরিবহন ব্যবস্থাপনা বর্তমান চিত্র যেকোনো বিবেচনায় হতাশাজনক বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের।
গণপরিবহনের মালিকদের অনিয়ম এবং চালকদের স্বেচ্ছাচারিতাও যানজটের জন্য দায়ী উল্লেখ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপরে (বিআরটিএ) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, বাস-মিনিবাস বা সিএনজিচালিত অটোরিকশার বেশির ভাগ মালিকই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। এ কারণে যেকোনো অনিয়মই তাদের জন্য বৈধ। তাদের প্রভাবে কোনো গাড়ির অনুমোদন বাতিল করার সাহস দেখান না কেউ। গত বছর তিনবার ভাড়া বাড়ার পর প্রতিবার কয়েক দিন ধরে সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে কিছুটা উপকারও হয়। কিন্তু তা অব্যাহত রাখা যায়নি। বাড়তি ভাড়া আদায় বা অটোরিকশাচালকদের দৌরাত্ম্যে ওই সময় ৫০টি যানের অনুমোদন বাতিলের সুপারিশ করেছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু সেগুলো কখনোই বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমানে অনিয়মিতভাবে বিআরটিএর একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বিআরটিএর নথিপত্র অনুযায়ী, ঢাকায় প্রায় আট লাখ যানবাহন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত বিপুল যানবাহনের শৃঙ্খলা রায় মাত্র একজন ম্যাজিস্ট্রেটের এই ভ্রাম্যমাণ আদালত কেবল জরিমানাতেই সীমাবদ্ধ থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যানজটে মানুষের জীবনমান কমছে, বাড়ছে পরিবেশদূষণ। উন্নয়নের অন্যতম প্রধান বাধা এ যানজট। অপরিকল্পিত নগরায়ন, অপর্যাপ্ত রাস্তাঘাট, সীমাহীন জনসংখ্যা ও মাত্রাতিরিক্ত যানবাহনে ঢাকায় যানজট দিন দিন বাড়ছে। পরিকল্পনাহীনতা, আইনের বাস্তবায়ন না থাকা, অবৈধ দখল, অতিরিক্ত জনগণ ও যানবাহনে যানজট বাড়ছে। পাশাপাশি এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মানুষের জীবনযাত্রার ওপর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ারও একটি কারণ যানজট। যানজট কমাতে রাজধানীতে গাড়ি কমানোর এবং প্রাইভেট কারের আমদানি শুল্ক ও রোড পারমিট ফি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তারা। একই সাথে বিভিন্ন শিল্পকারখানা, ক্যান্টনমেন্ট, বিশ্ববিদ্যালয়, নেভি হেডকোয়ার্টার্সের মতো প্রতিষ্ঠান রাজধানীর বাইরে সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকার যানজট নিরসনে সরকার পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফাইওভার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে বনানী ফাইওভার গত সপ্তাহে খুলে দেয়া হয়েছে। উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে কুড়িল ক্রসিং ও যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফাইওভার। মগবাজার-মৌচাক ফাইওভারের কাজ শিগগির শুরু হবে। এ ছাড়া উত্তরা-যাত্রাবাড়ী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে। রেলভিত্তিক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ২০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। চলছে পাতাল রেল নির্মাণের মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজও। তবে জনসংখ্যার চাপ যে হারে বাড়ছে, সরকারের উদ্যোগগুলো এগোচ্ছে এর এক-দশমাংশ গতিতে।
ঢাকার যানজট নিরসনের অনেক প্রকল্প কাগজে-কলমে নেয়া হয়েছে এবং সেগুলো ফাইলবন্দী হয়ে আছে মন্তব্য করে ডিএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেনÑ রিকশা ও হকার তুলে দেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু তাদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেই। প্রতিদিন সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ধানমন্ডিতে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার প্রাইভেট কার আসে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীদের নিয়ে। বিআরটিএ প্রতিদিন ১৮০টি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছে। যানজটের জন্য এটিও একটি কারণ। স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ পরিবহন চালু এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেয়ার েেত্র আইন আরো কঠোর করার ওপর জোর দেন তিনি।
No comments