ইসিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করল ২৫ রাজনৈতিক দল
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছে নতুন ২৫টি
রাজনৈতিক দল। তবে এদের বেশির ভাগই নামসর্বস্ব। ইসি ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের শেষ সময় ছিল গতকাল।
এ ব্যাপারে
নির্বাচন কমিশনার মো: শাহনেওয়াজ জানান, আইন অনুযায়ী শর্ত পূরণকারী
দলগুলোকেই নিবন্ধন দেয়া হবে। যেসব দল শর্ত পূরণে ব্যর্থ হবে সেগুলোকে
নিবন্ধন দেয়া হবে না। ইসির তথ্যানুযায়ী, নতুন করে নিবন্ধনের জন্য
আবেদনকৃত ২৫টি দল হচ্ছেÑ পিপলস্ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (বিপিডিপি), বাংলাদেশ
মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ নিউ সংসদ দল, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট
(বিএনএফ), বাংলাদেশ জাতীয় দল (বিজেডি), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট,
গণ-অধিকার পার্টি (পিআরপি), বাংলাদেশ গণসেবা আন্দোলন (বিজিএ), বাংলাদেশ
জনতা দল, বাংলাদেশ প্রবাসী দল, বাংলাদেশ তৃণমূল লীগ, আঞ্জুমানে আল ইসলাম,
গণতান্ত্রিক ইসলামিক মুভমেন্ট, মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন, জাতীয়
মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, জমিয়েতে উলামায়ে
ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ পিপলস লীগ, পাবলিক পার্টি, বাংলাদেশ
জন গণতান্ত্রিক দল, মাতৃভূমি দল, বাংলাদেশ গণ-অধিকার দল, বাংলাদেশ গণশক্তি
দল, বাংলাদেশ বাম ফ্রন্ট ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
নির্বাচন কমিশনার মো: শাহনেওয়াজ বলেন, আবেদনকারী দলগুলো সব শর্ত ঠিকভাবে পূরণ করছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। বিশেষ করে তৃণমূলপর্যায়ে অফিস আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেয়া হবে। তবে কত দিনের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে সে বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি।
এ দিকে কয়েকটি দলের সময় বাড়ানোর আবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, আবেদনের সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ নতুন দলের আবেদনের জন্য যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছিল। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিবন্ধন দিতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। এই মুহূর্তে সময় বাড়ানোর চিন্তাভাবনা নেই।
কমিশন থেকে নিবন্ধন শাখাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, একটি শর্ত বাদ পড়লেও কোনো দলকে এবার নিবন্ধন দেয়া হবে না। কারণ ২০০৮ সালে বেশ কিছু নামসর্বস্ব দল নিবন্ধিত হয়েছে। নিয়মনীতি না মানলেও সহজেই এদের নিবন্ধন বাতিল করতে পারছে না ইসি। নামসর্বস্ব এসব দল নিয়ে অনেকটা সমালোচনার মুখে রয়েছে কমিশন। এ বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চাইলেই নিবন্ধিত কোনো দলের নিবন্ধন বাতিল করা সম্ভব নয়। যাতে কোনো নামসর্বস্ব দল নিবন্ধিত হতে না পারে, সে জন্য এবার নিবন্ধন দেয়ার আগে থেকেই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে ইসি।
ইসির গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা শর্তানুযায়ী, নিবন্ধনে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দলকে নিজ দলের প্যাডে দরখাস্ত করতে হবে। একই সাথে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার (যদি থাকে), দলের বিধিমালা (যদি থাকে), লোগো, দলীয় পতাকার ছবি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বা সমমানের কমিটির সব সদস্যের পদবিসহ নামের তালিকা, দলের নামে রক্ষিত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ব্যাংকের নাম এবং ওই অ্যাকাউন্টের সর্বশেষ স্থিতি, দলের তহবিলের বিবরণ, নিবন্ধনের দরখাস্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুকূলে প্রদত্ত ক্ষমতাপত্র, নিবন্ধন ফি, স্বাধীনতার পর থেকে দরখাস্ত দাখিল করার তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের যেকোনো একটিতে দলীয় নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে কমপক্ষে একটি আসন লাভের সমর্থনে প্রামাণিক দলিল অথবা সংসদ নির্বাচনের যেকোনো একটিতে দরখাস্তকারী দল কর্তৃক নির্বাচনে অংশগ্রহণকৃত নির্বাচনী এলাকায় প্রদত্ত মোট ভোটসংখ্যার শতকরা ৫ ভাগ ভোট লাভের সমর্থন। এ ছাড়া কমিশন বা কর্মকর্তা কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়নপত্র অথবা কেন্দ্রীয় কমিটি, একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় দফতর, অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর জেলা দফতর এবং অন্যূন ১০০টি উপজেলা বা ক্ষেত্র মতে, মেট্রোপলিটন থানায় কার্যকর দফতর এবং প্রতি উপজেলায় বা ক্ষেত্র মতে, থানায় অন্যূন ২০০ ভোটার সদস্য হিসেবে দলের তালিকাভুক্তির সমর্থনে প্রামাণিক দলিল সংযুক্ত করা।
নির্বাচন কমিশনার মো: শাহনেওয়াজ বলেন, আবেদনকারী দলগুলো সব শর্ত ঠিকভাবে পূরণ করছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। বিশেষ করে তৃণমূলপর্যায়ে অফিস আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেয়া হবে। তবে কত দিনের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে সে বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি।
এ দিকে কয়েকটি দলের সময় বাড়ানোর আবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, আবেদনের সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ নতুন দলের আবেদনের জন্য যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছিল। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিবন্ধন দিতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। এই মুহূর্তে সময় বাড়ানোর চিন্তাভাবনা নেই।
কমিশন থেকে নিবন্ধন শাখাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, একটি শর্ত বাদ পড়লেও কোনো দলকে এবার নিবন্ধন দেয়া হবে না। কারণ ২০০৮ সালে বেশ কিছু নামসর্বস্ব দল নিবন্ধিত হয়েছে। নিয়মনীতি না মানলেও সহজেই এদের নিবন্ধন বাতিল করতে পারছে না ইসি। নামসর্বস্ব এসব দল নিয়ে অনেকটা সমালোচনার মুখে রয়েছে কমিশন। এ বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চাইলেই নিবন্ধিত কোনো দলের নিবন্ধন বাতিল করা সম্ভব নয়। যাতে কোনো নামসর্বস্ব দল নিবন্ধিত হতে না পারে, সে জন্য এবার নিবন্ধন দেয়ার আগে থেকেই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে ইসি।
ইসির গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা শর্তানুযায়ী, নিবন্ধনে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দলকে নিজ দলের প্যাডে দরখাস্ত করতে হবে। একই সাথে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার (যদি থাকে), দলের বিধিমালা (যদি থাকে), লোগো, দলীয় পতাকার ছবি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বা সমমানের কমিটির সব সদস্যের পদবিসহ নামের তালিকা, দলের নামে রক্ষিত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ব্যাংকের নাম এবং ওই অ্যাকাউন্টের সর্বশেষ স্থিতি, দলের তহবিলের বিবরণ, নিবন্ধনের দরখাস্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুকূলে প্রদত্ত ক্ষমতাপত্র, নিবন্ধন ফি, স্বাধীনতার পর থেকে দরখাস্ত দাখিল করার তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের যেকোনো একটিতে দলীয় নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে কমপক্ষে একটি আসন লাভের সমর্থনে প্রামাণিক দলিল অথবা সংসদ নির্বাচনের যেকোনো একটিতে দরখাস্তকারী দল কর্তৃক নির্বাচনে অংশগ্রহণকৃত নির্বাচনী এলাকায় প্রদত্ত মোট ভোটসংখ্যার শতকরা ৫ ভাগ ভোট লাভের সমর্থন। এ ছাড়া কমিশন বা কর্মকর্তা কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়নপত্র অথবা কেন্দ্রীয় কমিটি, একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় দফতর, অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর জেলা দফতর এবং অন্যূন ১০০টি উপজেলা বা ক্ষেত্র মতে, মেট্রোপলিটন থানায় কার্যকর দফতর এবং প্রতি উপজেলায় বা ক্ষেত্র মতে, থানায় অন্যূন ২০০ ভোটার সদস্য হিসেবে দলের তালিকাভুক্তির সমর্থনে প্রামাণিক দলিল সংযুক্ত করা।
No comments