গোপন মিশন- দেশ অস্থিতিশীল করতে হাজার কোটি টাকা লগ্নি- * জোট আমলের লুণ্ঠিত টাকা এখন রাজনীতির মাঠে * সরকারকে এসব মোকাবেলায় ব্যস্ত রেখে ব্যর্থ প্রমাণ করতে ব্যস্ত বিএনপি-জামায়াত- * যুদ্ধাপরাধী জঙ্গীদের সঙ্গে লন্ডনে এক বিশেষ নেতার মিশন
গোপন পরিকল্পনায় দেশকে অস্বাভাবিক ও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। লৰ্য বাস্তবায়নে জোট আমলের লুণ্ঠিত হাজার কোটি টাকা এখন রাজনীতির মাঠে! স্বনামে-বেনামে পর্দার আড়াল থেকে বিএনপি ও জামায়াত জোট রাজনীতিতে লগি্ন করছে অবৈধপথে অর্জিত এসব অর্থ।
উদ্দেশ্য পরিকল্পিত হত্যা, সন্ত্রাস ও আন্দোলনের নামে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ৰমতাসীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলা। উন্নয়নমূলক কর্মকা- ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে এনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যতিব্যস্ত রেখে সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করা।এ লৰ্য অর্জনে নানা প্রান্ত থেকে সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে চারদলীয় জোটের দলীয় সশস্ত্র ক্যাডার, ভাড়াটিয়া খুনী বাহিনী এবং প্রশাসনসহ সর্বসত্মরে ঘাপটি মেরে থাকা দলবাজদের। গোপন মিশন বাসত্মবায়নে জামায়াতের প্রত্যৰ ইন্ধন ও অর্থের প্রভাবে রাজপথে সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলকে। সুস্থ ধারায় ইসু্যভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের পরিবর্তে হত্যা, জিঘাংসা, নির্যাতন আর নাৎসি বর্বরতার কুৎসিত পথ ধরেই রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত, অস্থিতিশীল ও সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে লাশ ফেলে ইসু্য সৃষ্টির ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রও চলছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র থেকে এমন কিছু তথ্য সরকারের হাতে এসেছে বলে সংশিস্নষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। চিহ্নিত এ মহলটির হঠাৎ করেই এমন অপতৎপরতায় দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করেছে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার।
মাত্র ক'দিনের ব্যবধানে রাজশাহীতে নাৎসি কায়দায় শিবিরের তা-ব, চট্টগ্রামে লাশ নিয়ে জামায়াতের রাজনীতি, বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে প্রকাশ্য জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ, বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতা লন্ডনে গিয়ে আত্মস্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গীদের সঙ্গে রম্নদ্ধদ্বার বৈঠক আর সর্বশেষ সব দাবি ঝেড়ে ফেলে আপোসে বিএনপি-জামায়াত জোটের সংসদে যোগদান দেশকে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল করার আলামত হিসেবেই দেখছেন সংশিস্নষ্টরা। অনেকে এও বলছেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটিয়ে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা ভেসত্মে যাওয়ার পর এখন অপশক্তিগুলোর দ্বিতীয় মিশন শুরম্ন হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনও শনিবার অভিযোগ করেছেন, একটি চিহ্নিত মহল দেশকে অস্থিতিশীল ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে এসব হত্যাকা- ঘটাচ্ছে। জামায়াত-শিবির একাত্তরের কায়দায় ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এতদিন ভাল থাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কীভাবে অবনতি করা যায় সেই ষড়যন্ত্রও চলছে। তবে এসব কর্মকা-ের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
মহাজোট নেতা ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দ-াদেশ কার্যকরের পরই স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরচক্র সারাদেশে হত্যার রাজনীতি শুরম্ন করেছে; দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই জামায়াত-শিবিরচক্রের এসব হত্যার রাজনীতি মোকাবেলা করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের সশস্ত্র তা-ব, এক ছাত্রকে নির্মমভাবে হত্যার মাত্র ক'দিন আগে ১৮ জানুয়ারি ছাত্রশিবিরের সদস্য সম্মেলনে জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামী তাদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়ে আসেন। ওই অনুষ্ঠানেই ছাত্রশিবির সভাপতি রেজাউল করিম ঘোষণা দেন, মতিউর রহমান নিজামীর নির্দেশ পেলেই ছাত্রশিবির সারাদেশ অচল করে দেবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তার প্রতিক্রিয়া ছিল_ ইসলামী দল ও নেতৃত্বের বিরম্নদ্ধে কোন আঘাত এলে শিবিরের লাখো কমর্ী জীবন দিয়ে তা প্রতিহত করবে। শিবির সভাপতির এমন বক্তব্যের পর নিজামী বলেন, 'আমরা ছাত্রদের ৰমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাই না।...তবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যদি বিপদগ্রসত্ম হয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ঈমান-আকিদার ওপর আঘাত আসে, তখন কাকে কী করতে হবে, তা কি বলার অপেৰা রাখে?
সত্যিই বলার অপেৰা রাখেনি। জামায়াত আমির রাজশাহী ঘুরে আসার একদিন পরেই রক্তের নেশায় মরিয়া হয়ে ওঠে শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা। সঙ্গে যোগ দেয় নিজামীর জনসভায় আসা উত্তরবঙ্গের সশস্ত্র জামায়াত ক্যাডাররাও। মধ্যরাতে অত্যাধুনিক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মেধাবী ছাত্রলীগ নেতাকে নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করে লাশ ম্যানহোলে ফেলে দেয়। একাত্তরের বর্বরতায় ছাত্রলীগ নেতাদের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়া, কুপিয়ে অর্ধশতাধিক ছাত্রকে আহত এবং পুলিশের ওপর নির্বিচারে গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দেয় জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা।
এখানেই শেষ নয়, রাজশাহীর পরপরই ঢাকায় অজ্ঞাত খুনীদের হাতে তিনটি বড় হত্যাকা-, চট্টগ্রামে এক ছাত্রলীগকমর্ীকে হত্যা করে লাশ নিজেদের দাবি করে জামায়াত-শিবিরের প্রকাশ্য পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া, ঢাকায় ক্যান্টনমেন্ট থানা ছাত্রলীগ নেতা হত্যা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ উগ্র গোষ্ঠীর সশস্ত্র মহড়ার মাধ্যমে দেশকে হঠাৎ করেই অস্থিতিশীল করে তোলে। বাংলাদেশে যখন জামায়াত-শিবিরের তা-ব চলছে, ঠিক তখন লন্ডনে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন বিএনপির প্রভাবশালী সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরম্নল ইসলাম। জানা গেছে, ওই বৈঠকে একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মঈনুদ্দিনসহ মাওলানা আবু সাঈদ, নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীর অন্যতম এক নেতাসহ ২৫/৩০ উগ্র মৌলবাদী নেতা উপস্থিত ছিলেন। লন্ডন প্রবাসী অনেক বাঙালী নেতার দাবি, লন্ডনে বসবাসরত তারেক জিয়ার উদ্যোগেই এ বৈঠকটি হয়।
সূত্র জানায়, এসব বিষয় থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে ১০ দফা দাবি ছেড়ে অনেকটা আপোসেই সংসদে যোগ দেয় বিএনপি-জামায়াত জোট। সংসদে যোগ দিয়েই ভারতসহ বিভিন্ন ইসু্যতে সংসদকে উত্তপ্ত করে তোলে এবং পস্নাস্টিকের ফাইল, কাগজপত্র ছুড়ে, গালিগালাজ করে ওয়াকআউট করে সংসদ থেকে। সরকারী দল অভিযোগ করেছে, সদস্যপদ রৰা আর ইসু্য সৃষ্টি করে রাজপথ উত্তপ্ত করার টার্গেট থেকে বিএনপি-জামায়াত সংসদে যোগ দেয়। এসব ধারাবাহিক ঘটনাপ্রবাহে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে, রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘোলাটে ও মহাজোট সরকারকে অস্থিতিশীল করতেই বিএনপি-জামায়াত নেতারা দেশ-বিদেশে এমন গোপন মিশন শুরম্ন করেছে।
এ প্রসঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দেশকে পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে অস্থিতিশীল ও অস্থিরতার সৃষ্টি করা হচ্ছে। যে কারণে দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকা- বাধাগ্রসত্ম হচ্ছে। একের পর এক পরিকল্পিত এসব পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে ভাল কাজের সময় পাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ সরকারের ভাল ও উন্নয়নমূলক কাজকে নানাভাবে বাধাগ্রসত্ম ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের অভিমত, গত কয়েক দিনে দেশে যা ঘটছে তা দ্রম্নত উত্তরণ ঘটাতে না পারলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের উচিত শক্ত হাতে এসব ষড়যন্ত্র দমন করা।
হঠাৎ করেই কেন রাজনীতিতে এমন অস্থিতিরতার সৃষ্টি হলো_ এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সব মহলেই চুলচেরা বিশেস্নষণ শুরম্ন হয়েছে। এসব বিশেস্নষণ আর গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে সন্দেহের তীর স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের দিকে। নেপথ্যে অর্থ ও সাংগঠনিক শক্তি দিয়ে এদের সাহায্য-সহযোগিতা করছে সাবেক ৰমতাসীন দল বিএনপি। এমন অভিযোগ করে সরকারী একাধিক সূত্র জানায়, একটি বিশেষ মহল শিৰাঙ্গনসহ সারাদেশের পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে আল্টিমেটাম নিয়ে মাঠে নেমেছে। জোট আমলে বল্গাহীন দলীয়করণের কুফলে পুলিশ, আমলাসহ প্রশাসনের সর্বসত্মরে বর্তমানে ঘাপটি মেরে থাকা দলবাজরাও নানাভাবে ইন্ধন যোগাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত জোটের ষড়যন্ত্র বাসত্মবায়নে।
দীর্ঘ প্রায় তিন যুগ ধরে অর্থবিত্তে ও বিশেষ কিছু রাষ্ট্রের অনুকম্পায় বঙ্গবন্ধুর খুনীচক্র, মদদদাতা ও বেনিফিশিয়ারিদের ধারণা ছিল কেউই তাদের গায়ে হাত দিতে পারবে না। কিন্তু বর্তমান সরকার ৰমতায় আসার পর তাদের সেই ভুল ভেঙ্গে যায়। আইনের প্রচলিত ধারায় বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে খুনীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দ- কার্যকর করেছে সরকার। এরপর থেকেই মহা আতঙ্কে এখন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসররা। বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় কার্যকরের পর নির্বাচনী প্রতিশ্রম্নতি বাসত্মবায়নে বর্তমান সরকার এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় হাত দিয়েছে।
সূত্র মতে, দেশ স্বাভাবিক গতিতে চললে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের মতো যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার সম্পন্ন করে দ- কার্যকর করবে এ সরকার। আর এ যুদ্ধাপরাধী হিসেবে যারা চিহ্নিত তারা প্রত্যেকেই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই অনিশ্চিত রাজনৈতিক ভবিষ্যতের প্রেৰাপটে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্বাধীনতাবিরোধী এ দলটি। গুপ্ত হত্যা, সশস্ত্র সন্ত্রাস, রগ কাটার কুৎসিত বর্বরতাসহ সারাদেশে পুলিশের সঙ্গে প্রকাশ্য সংঘর্ষে জড়িয়ে যে কোন মূল্যে দেশকে সংঘাতময় ও অস্থিতিশীল করে তুলতে ছাত্রশিবিরের সশস্ত্র ক্যাডারদের এ পরিকল্পনা বা আল্টিমেটাম দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। ঢালা হচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা। হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। নেপথ্যে নৈতিক সমর্থন ও শক্তি দিয়ে সাহায্য করছে দেশের একটি বৃহৎ দল ও ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন উগ্র রাজনৈতিক দল।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও নিজস্ব সোর্সে এসব তথ্য পেয়ে টনক নড়েছে সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে। শক্ত হাতে দেশকে অস্থিতিশীল করার সঙ্গে জড়িতদের দমনের পাশাপাশি সরকার অত্যনত্ম সতর্কতার সঙ্গে নেপথ্যের মদদদাতা ও প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থেকে কারা ইন্ধন যোগাচ্ছে সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নিচ্ছে। পুলিশসহ প্রশাসনের উচ্চপদে থাকা সন্দেহপ্রবণ কর্মকর্তারা ছাত্রজীবনে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান কী এবং কেমন ছিল, আত্মীয়স্বজন কোন্ মতাদর্শে বিশ্বাসী ও কোন আমলে নিয়োগ পেয়েছেন সে ব্যাপারে বিসত্মারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরম্ন হয়েছে। পাশাপাশি মৌলবাদী অপশক্তির বিপুল অর্থের সন্ধানেও নেমেছে বলে সরকারী সূত্রে জানা গেছে। পাশাপাশি দলগতভাবেও আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইসু্যতে দেশব্যাপী জনমত গঠনে কেন্দ্রীয় নেতাদের মাঠে নামাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশেস্নষকদের মতে, দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন মিত্র দেশগুলোর গোপন অর্থায়নে বলিয়ান স্বাধীনতাবিরোধী এ অপশক্তিগুলোর অর্থনৈতিক ভিত্তি ও অর্থ আসার পাইপলাইন বন্ধ করতে না পারলে এদের দমানো যাবে না। কারণ এসব দল বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে অর্থবিত্তে বলিয়ান হয়ে গেছে। অন্যদিকে ওয়ান ইলেভেনের সময় লুকিয়ে রাখা বিএনপি-জামায়াত জোটের লুণ্ঠিত হাজার হাজার কোটি টাকা দেশকে অস্থিতিশীল করতে লগি্ন শুরম্ন করেছে। সরকারের উচিত হবে, শক্ত হাতে এসব দমন করা এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গীগোষ্ঠীর অর্থদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রম্নত চিহ্নিত করে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে নামে-বেনামে থাকা এসব বিপুল অর্থ বাজেয়াফত করা। আর এটা করতে পারলে এ অপশক্তিগুলো অতীতের মতো আবারও গর্তে ঢুকে যাবে, রাজপথে হত্যা, সন্ত্রাস, রগ কাটার রাজনীতি করার দুঃসাহস দেখাতে পারবে না।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জনকণ্ঠকে জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে পরিকল্পিতভাবেই দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রানত্ম চলছে। তবে সরকার সকল ষড়যন্ত্র-চক্রানত্মের বেড়াজাল ছিন্ন করে দেশের মাটিতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পৰে জনমত গঠনে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় নেতারা সারাদেশে সাংগঠনিক সফর করবেন। শুধু আওয়ামী লীগই নয়, দেশপ্রেমিক সকল নাগরিকও ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতাবিরোধী এ অপশক্তিকে সর্বত্র মোকাবেলা করবে।
No comments