দান-খয়রাত একটি উত্তম ইবাদত by মুফতি মাহফূযুল হক
আল্লাহতায়ালা সব বান্দাকে সমান সম্পদ দেননি। তিনি পরীক্ষা করেন, সম্পদশীলরা দান-খয়রাত করে কি-না। এ পরীক্ষায় বিজয়ী হওয়ার জন্য মহানবী (সা.) অকাতরে দান করতেন। নববী আদর্শে উজ্জীবিত সাহাবাদের অনেকেই সম্পদ দান করতে করতে নিজের প্রয়োজনের কথা পর্যন্ত ভুলে যেতেন।
মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, 'দান প্রভুর রাগ ঠাণ্ডা করে ও হঠাৎ মৃত্যু থেকে রক্ষা করে।' যদিও মরণ সব জীবনে অবধারিত, তবুও মৃত্যুর আকস্মিকতা দুই কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত। যথা_ ক. আল্লাহতায়ালার কাছে গুনাহের মাফ চাওয়ার সুযোগ না হওয়া; খ. দেনা-পাওনাসহ বিভিন্ন জরুরি বিষয়ে ওসিয়ত করে যাওয়ার সুযোগ না হওয়া।
গ্রহীতার বিবেচনায় দান দুই ধরনের। যথা_ ক. বিপদগ্রস্ত মানুষকে দান করা; খ. ইসলামের যে কোনো ধরনের খেদমতে রত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দান করা। যদিও উভয় প্রকার দানই ইসলামে কাম্য ও প্রশংসনীয়, তবু দানের দ্বিতীয় প্রকারের রয়েছে স্বতন্ত্র মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব। কোরআনে কারিমে অসংখ্য জায়গায় ইনফাক ফি সাবিলিল্লাহ বলে এবং আল্লাহকে কর্জ দেওয়া বলে দানের এ দ্বিতীয় প্রকারকে বোঝানো হয়েছে। সাধারণ দানের চেয়ে ইসলামের খেদমতে কৃত দানের সওয়াব সাতশ' গুণ বেশি। আল্লাহতায়ালা সূরায়ে বাকারাতে ইরশাদ করছেন, ইসলামের খেদমতে দান করা সম্পদের দৃষ্টান্ত ওই শস্য দানা, যা এমন সাতটি শীষ উৎপন্ন করে যার প্রত্যকটিতে থাকে শত দানা।
আল্লাহর দরবারে বান্দার দান কবুল হওয়ার জন্য রয়েছে দুটি শর্ত। যথা_ ক. সম্পূর্ণরূপে লৌকিকতা ও স্বার্থমুক্ত হয়ে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় দান করা; খ. দান করা সম্পদ সম্পূর্ণ হালালপন্থায় উপার্জিত হওয়া। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত : মহানবী (সা.) বলেছেন, 'অবশ্যই মহান আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র ছাড়া কোনো কিছু কবুল করেন না।' হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) সূত্রে বর্ণিত : মহানবী (সা.) বলেছেন, 'মানুষ হারাম মাল উপার্জন করে তা থেকে দান করলে তার দান কবুল করা হয় না, নিজের প্রয়োজনে খরচ করলে তার খরচে বরকত দেওয়া হয় না, মরার সময় রেখে গেলে এটা তার জাহান্নামের শাস্তি বাড়ায়। হারাম মাল দান করার কারণে আল্লাহ গুনাহ মার্জনা করেন না। বরং হালাল মাল দান করার কারণে গুনাহ মার্জনা করেন।' হারাম মাল দান করে সওয়াবের আশা করাকে ফকিহরা কুফরি কাজ আখ্যা দিয়েছেন।
চাষ করে ফসল পাওয়ার জন্য যেমন ঘরে তোলা পর্যন্ত ফসলের হেফাজত করতে হয়, তেমনি দান করে আখেরাতে সওয়াব পাওয়ার জন্য মৃত্যু পর্যন্ত দানকে হেফাজত করতে হয়। পবিত্র কোরআনের ভাষ্যমতে, দান হেফাজতের জন্য দাতাকে দুটি কাজ সযত্নে বর্জন করতে হয়। যথা_ ক. প্রকাশ করা; খ. গ্রহীতাকে কষ্ট দেওয়া। হাদিসে আছে, যে দান করে খোঁটা দেয় সে কখনও জান্নাতে যাবে না। যারা মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান করার পরে প্রচারপত্রে ওই দানের প্রকাশকে পছন্দ করেন, পদ পাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন, তাদের মহান আল্লাহ তুলনা করেছেন ওই বৃদ্ধের সঙ্গে, যিনি যৌবনের কর্মক্ষমতা ব্যয় করে ফলের বাগান তৈরি করে অক্ষম হয়ে পড়েছেন। তার সন্তানরাও কর্মক্ষম সাবালক হয়ে ওঠেনি। সবেমাত্র বাগানে উৎপাদন শুরু হয়েছে। মুহূর্তের একটি ঘূর্ণিঝড় ও বজ্র তার দীর্ঘদিনের গড়ে তোলা বাগানের সাঙ্গলীলা খতম করে দিল।
গ্রহীতার বিবেচনায় দান দুই ধরনের। যথা_ ক. বিপদগ্রস্ত মানুষকে দান করা; খ. ইসলামের যে কোনো ধরনের খেদমতে রত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দান করা। যদিও উভয় প্রকার দানই ইসলামে কাম্য ও প্রশংসনীয়, তবু দানের দ্বিতীয় প্রকারের রয়েছে স্বতন্ত্র মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব। কোরআনে কারিমে অসংখ্য জায়গায় ইনফাক ফি সাবিলিল্লাহ বলে এবং আল্লাহকে কর্জ দেওয়া বলে দানের এ দ্বিতীয় প্রকারকে বোঝানো হয়েছে। সাধারণ দানের চেয়ে ইসলামের খেদমতে কৃত দানের সওয়াব সাতশ' গুণ বেশি। আল্লাহতায়ালা সূরায়ে বাকারাতে ইরশাদ করছেন, ইসলামের খেদমতে দান করা সম্পদের দৃষ্টান্ত ওই শস্য দানা, যা এমন সাতটি শীষ উৎপন্ন করে যার প্রত্যকটিতে থাকে শত দানা।
আল্লাহর দরবারে বান্দার দান কবুল হওয়ার জন্য রয়েছে দুটি শর্ত। যথা_ ক. সম্পূর্ণরূপে লৌকিকতা ও স্বার্থমুক্ত হয়ে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় দান করা; খ. দান করা সম্পদ সম্পূর্ণ হালালপন্থায় উপার্জিত হওয়া। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত : মহানবী (সা.) বলেছেন, 'অবশ্যই মহান আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র ছাড়া কোনো কিছু কবুল করেন না।' হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) সূত্রে বর্ণিত : মহানবী (সা.) বলেছেন, 'মানুষ হারাম মাল উপার্জন করে তা থেকে দান করলে তার দান কবুল করা হয় না, নিজের প্রয়োজনে খরচ করলে তার খরচে বরকত দেওয়া হয় না, মরার সময় রেখে গেলে এটা তার জাহান্নামের শাস্তি বাড়ায়। হারাম মাল দান করার কারণে আল্লাহ গুনাহ মার্জনা করেন না। বরং হালাল মাল দান করার কারণে গুনাহ মার্জনা করেন।' হারাম মাল দান করে সওয়াবের আশা করাকে ফকিহরা কুফরি কাজ আখ্যা দিয়েছেন।
চাষ করে ফসল পাওয়ার জন্য যেমন ঘরে তোলা পর্যন্ত ফসলের হেফাজত করতে হয়, তেমনি দান করে আখেরাতে সওয়াব পাওয়ার জন্য মৃত্যু পর্যন্ত দানকে হেফাজত করতে হয়। পবিত্র কোরআনের ভাষ্যমতে, দান হেফাজতের জন্য দাতাকে দুটি কাজ সযত্নে বর্জন করতে হয়। যথা_ ক. প্রকাশ করা; খ. গ্রহীতাকে কষ্ট দেওয়া। হাদিসে আছে, যে দান করে খোঁটা দেয় সে কখনও জান্নাতে যাবে না। যারা মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান করার পরে প্রচারপত্রে ওই দানের প্রকাশকে পছন্দ করেন, পদ পাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন, তাদের মহান আল্লাহ তুলনা করেছেন ওই বৃদ্ধের সঙ্গে, যিনি যৌবনের কর্মক্ষমতা ব্যয় করে ফলের বাগান তৈরি করে অক্ষম হয়ে পড়েছেন। তার সন্তানরাও কর্মক্ষম সাবালক হয়ে ওঠেনি। সবেমাত্র বাগানে উৎপাদন শুরু হয়েছে। মুহূর্তের একটি ঘূর্ণিঝড় ও বজ্র তার দীর্ঘদিনের গড়ে তোলা বাগানের সাঙ্গলীলা খতম করে দিল।
No comments