জেরায় শাহীন রেজা নূর- সিরাজুদ্দীন হোসেনকে আলবদররা অপহরণের পর হত্যা করেছে
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের জেরায় সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর বলেছেন, তাঁর বাবা সিরাজুদ্দীন হোসেনকে আলবদররা অপহরণের পর হত্যা করেছে। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন।
শাহীন রেজা নূর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের চতুর্থ সাক্ষী। গতকাল তাঁকে তৃতীয় ও শেষ দিনের মতো জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান। মুজাহিদ এ সময় আসামির কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
শাহীন রেজা দৈনিক ইত্তেফাক-এর কার্যনির্বাহী সম্পাদক। তাঁর বাবা শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন একাত্তরে ওই পদে কর্মরত ছিলেন।
সিরাজুদ্দীন হোসেন ইত্তেফাক-এ যেসব রাজনৈতিক নিবন্ধ লিখতেন, সেগুলোতে কি তাঁর নাম থাকত— আইনজীবীর এ প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী বলেন, কয়েকটিতে নাম থাকত, কয়েকটিতে ‘রাজনৈতিক ভাষ্যকার’ এবং ‘অনামী’ লেখা হতো। একাত্তরে সংগ্রাম-এ প্রকাশিত ‘অতএব ঠগ বাছিও না’ শীর্ষক নিবন্ধে কি সাক্ষীর বাবার নাম বা ছদ্মনাম ছিল—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। তবে লেখাটি ছিল ইঙ্গিতপূর্ণ।
সিরাজুদ্দীন হোসেনকে অপহরণের পর কোনো মামলা করা হয়েছিল—এ প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, ১৯৭২ বা ১৯৭৩ সালে রমনা থানায় দালাল আইনে মামলা করা হয়েছিল। ওই মামলায় খলিল নামের একজনের শাস্তি হয়। ওই বিচারের খবর তৎকালীন পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল।
মিজানুর রহমান মত (সাজেশন) দেন, সাক্ষী তাঁর বাবার অপহরণের বিষয়ে কোনো লেখা লেখেননি। শাহীন রেজা নূর বলেন, ‘এটা সত্য নয়। আলবদররা আমার বাবাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে।’
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
আবদুস সামাদ মণ্ডলকে জেরা চলছে: একই ট্রাইব্যুনালে গতকাল বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পঞ্চম সাক্ষী আবদুস সামাদ মণ্ডলকে দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী খলিলুর রহমান। শারীরিক কারণে জামিনে থাকা আলীম এ সময় ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি কর্নেলকে কোন ভাষায় করজোড়ে অনুরোধ করেছিলেন?’ সাক্ষী বলেন, ‘আমি বাংলায় বলেছিলাম, আলীম তা উর্দুতে কর্নেলকে বলেছিলেন।’ সাক্ষী জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানা আওয়ামী লীগের কোন পদে আছেন—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় এ মামলার কার্যক্রম ১১ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
শাহীন রেজা দৈনিক ইত্তেফাক-এর কার্যনির্বাহী সম্পাদক। তাঁর বাবা শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন একাত্তরে ওই পদে কর্মরত ছিলেন।
সিরাজুদ্দীন হোসেন ইত্তেফাক-এ যেসব রাজনৈতিক নিবন্ধ লিখতেন, সেগুলোতে কি তাঁর নাম থাকত— আইনজীবীর এ প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী বলেন, কয়েকটিতে নাম থাকত, কয়েকটিতে ‘রাজনৈতিক ভাষ্যকার’ এবং ‘অনামী’ লেখা হতো। একাত্তরে সংগ্রাম-এ প্রকাশিত ‘অতএব ঠগ বাছিও না’ শীর্ষক নিবন্ধে কি সাক্ষীর বাবার নাম বা ছদ্মনাম ছিল—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। তবে লেখাটি ছিল ইঙ্গিতপূর্ণ।
সিরাজুদ্দীন হোসেনকে অপহরণের পর কোনো মামলা করা হয়েছিল—এ প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, ১৯৭২ বা ১৯৭৩ সালে রমনা থানায় দালাল আইনে মামলা করা হয়েছিল। ওই মামলায় খলিল নামের একজনের শাস্তি হয়। ওই বিচারের খবর তৎকালীন পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল।
মিজানুর রহমান মত (সাজেশন) দেন, সাক্ষী তাঁর বাবার অপহরণের বিষয়ে কোনো লেখা লেখেননি। শাহীন রেজা নূর বলেন, ‘এটা সত্য নয়। আলবদররা আমার বাবাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে।’
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
আবদুস সামাদ মণ্ডলকে জেরা চলছে: একই ট্রাইব্যুনালে গতকাল বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পঞ্চম সাক্ষী আবদুস সামাদ মণ্ডলকে দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী খলিলুর রহমান। শারীরিক কারণে জামিনে থাকা আলীম এ সময় ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি কর্নেলকে কোন ভাষায় করজোড়ে অনুরোধ করেছিলেন?’ সাক্ষী বলেন, ‘আমি বাংলায় বলেছিলাম, আলীম তা উর্দুতে কর্নেলকে বলেছিলেন।’ সাক্ষী জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানা আওয়ামী লীগের কোন পদে আছেন—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় এ মামলার কার্যক্রম ১১ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
No comments