ওবামার মন্ত্রিসভায় বড় পরিবর্তনের আভাস-পররাষ্ট্র, অর্থ প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম মেয়াদের মন্ত্রিসভাটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে স্থিতিশীল পরিষদগুলোর একটি। অন্তত এ ক্ষেত্রে তেমন ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়নি তাঁকে। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে এ পরিষদে বড় ধরনের পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগবে। ইতিমধ্যে সরে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন পররাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন সদস্য।
তবে তাঁরা পদ ছাড়লে সে ক্ষেত্রে যে 'শূন্যতা' দেখা দেবে তা মোকাবিলায় সচেষ্ট আছেন ওবামার উপদেষ্টা ও নীতিনির্ধারকরা। মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার ব্যাপারে অনেক নতুন মুখ ইতিমধ্যে আগ্রহও প্রকাশ করেছেন।
পররাষ্ট্র দপ্তর : হিলারি ক্লিনটন (৬৫) বেশ আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, 'অনেক হয়েছে, আর না।' বরং বিশ্বের নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করতে চান তিনি। তবে ওবামা হিলারির যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি কাজ করে যাবেন। হিলারির জায়গায় বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় আছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সুসান রাইস ছাড়াও এ পদের জন্য ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর জন কেরির নামও শোনা যাচ্ছে। ওবামা সুসানকে বেছে নিলে কন্ডোলিৎসা রাইসের পর তিনিই হবেন দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অর্থ দপ্তর : দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেওয়ার পর ওবামা সম্ভবত টিমোথি গেইথনারের (৫১) পদত্যাগপত্রটিই প্রথম হাতে পাবেন। অর্থনীতি নিয়েই ওবামাকে সবচেয়ে বেশি সংকটের মোকাবিলা করতে হয়েছে এবং হবে। সে ক্ষেত্রে গেইথনারের চলে যাওয়া তাঁকে ভোগাবে। তাঁর জায়গায় সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে জ্যাকব লুয়ের নাম। তিনি বর্তমানে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফের দায়িত্বে আছেন।
প্রতিরক্ষ দপ্তর : এখুনি যেতে চান না লিওন প্যানেটা (৭৪)। কয়েক মাস কিংবা সর্বোচ্চ আরো এক বছর থাকার ইচ্ছা আছে। তারপর পদ ছাড়ার ইচ্ছা আছে তাঁর। সে ক্ষেত্রে এ পদে নতুন মুখ হিসেবে আসতে পারেন প্রতিরক্ষা নীতি বিষয়ক সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি মিশেল ফ্লোরনয়। সে ক্ষেত্রে ফ্লোরনয়ই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দপ্তর : জেনেট নাপোলিটানো (৫৪) সব সময়ই বলেছেন, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্ব রীতিমতো উপভোগ করেন তিনি। তার পরও আর থাকতে চাইছেন না। নিজ ভূমি অ্যারিজোনায় ফিরতে চান। তাঁর স্থলে ভাবা হচ্ছে নিউ ইয়র্কের পুলিশ দপ্তরের প্রধান রেমন্ড রে কেলিসহ বেশ কয়েকজনের নাম।
স্বরাষ্ট্র দপ্তর : অটিস্টিক নাতনিকে দেখাশোনার জন্য পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কেনেথ লি সালাজার (৫৭)। পদটি পেতে পারেন তাঁরই সহকারী ডেভিড হায়েস।
জ্বালানি দপ্তর : স্টিভেন চু-কে (৬৪) অবশ্য হোয়াইট হাউসই আর এ পদে দেখতে চায় না। দেউলিয়া হয়ে যাওয়া সৌর প্যানেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সোলিন্ড্রার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণের জামিনদার হয়ে গেল বছর সরকারকে বেশ বেকায়দায় ফেলেন তিনি। এ পদে আলোচনায় আছেন আল গোরের এক সময়ের সহযোগী ক্যাথি জোই।
তবে দ্বিতীয় মেয়াদেও ওবামার সঙ্গে থাকতে চান এমন মন্ত্রীদের সংখ্যাও কম নয়। তালিকায় আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার, শিক্ষামন্ত্রী ও ওবামার বাস্কেটবল খেলার সঙ্গী আর্নে ডানকান, স্বাস্থ্য ও মানবিক সেবা বিষয়কমন্ত্রী ক্যাথলিন সেবেলিয়াস (৬৪) ও শ্রমমন্ত্রী হিলদা লুসিয়া সলিস (৫৫)।
সম্পর্ক মেরামতে তৎপর নেতানিয়াহু : নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে মিট রমনির প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ওবামার সঙ্গে ইরান, ফিলিস্তিনসহ নানা ইস্যুতে মতভিন্নতার বিষয়টিও নজরে আসে তখনই। বুধবার সকালে নেতানিয়াহু বুঝতে পারেন, 'ভুল ঘোড়ায় বাজি ধরেছিলেন'। তবে পুরো বিষয়টি সামলে নিতে দ্রুতই তৎপর হয়ে ওঠেন তিনি। ইসরায়েলে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে নিজ দপ্তরে ডেকে ওবামার জয়ে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে জড়িয়ে ধরেন, দুই দেশের 'প্রস্তর কঠিন' সম্পর্কের ঘোষণা দিয়ে বিবৃতিও দেন। সূত্র : এবিসি নিউজ, নিউ ইয়র্ক টাইমস।
পররাষ্ট্র দপ্তর : হিলারি ক্লিনটন (৬৫) বেশ আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, 'অনেক হয়েছে, আর না।' বরং বিশ্বের নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করতে চান তিনি। তবে ওবামা হিলারির যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি কাজ করে যাবেন। হিলারির জায়গায় বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় আছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সুসান রাইস ছাড়াও এ পদের জন্য ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর জন কেরির নামও শোনা যাচ্ছে। ওবামা সুসানকে বেছে নিলে কন্ডোলিৎসা রাইসের পর তিনিই হবেন দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অর্থ দপ্তর : দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেওয়ার পর ওবামা সম্ভবত টিমোথি গেইথনারের (৫১) পদত্যাগপত্রটিই প্রথম হাতে পাবেন। অর্থনীতি নিয়েই ওবামাকে সবচেয়ে বেশি সংকটের মোকাবিলা করতে হয়েছে এবং হবে। সে ক্ষেত্রে গেইথনারের চলে যাওয়া তাঁকে ভোগাবে। তাঁর জায়গায় সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে জ্যাকব লুয়ের নাম। তিনি বর্তমানে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফের দায়িত্বে আছেন।
প্রতিরক্ষ দপ্তর : এখুনি যেতে চান না লিওন প্যানেটা (৭৪)। কয়েক মাস কিংবা সর্বোচ্চ আরো এক বছর থাকার ইচ্ছা আছে। তারপর পদ ছাড়ার ইচ্ছা আছে তাঁর। সে ক্ষেত্রে এ পদে নতুন মুখ হিসেবে আসতে পারেন প্রতিরক্ষা নীতি বিষয়ক সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি মিশেল ফ্লোরনয়। সে ক্ষেত্রে ফ্লোরনয়ই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দপ্তর : জেনেট নাপোলিটানো (৫৪) সব সময়ই বলেছেন, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্ব রীতিমতো উপভোগ করেন তিনি। তার পরও আর থাকতে চাইছেন না। নিজ ভূমি অ্যারিজোনায় ফিরতে চান। তাঁর স্থলে ভাবা হচ্ছে নিউ ইয়র্কের পুলিশ দপ্তরের প্রধান রেমন্ড রে কেলিসহ বেশ কয়েকজনের নাম।
স্বরাষ্ট্র দপ্তর : অটিস্টিক নাতনিকে দেখাশোনার জন্য পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কেনেথ লি সালাজার (৫৭)। পদটি পেতে পারেন তাঁরই সহকারী ডেভিড হায়েস।
জ্বালানি দপ্তর : স্টিভেন চু-কে (৬৪) অবশ্য হোয়াইট হাউসই আর এ পদে দেখতে চায় না। দেউলিয়া হয়ে যাওয়া সৌর প্যানেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সোলিন্ড্রার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণের জামিনদার হয়ে গেল বছর সরকারকে বেশ বেকায়দায় ফেলেন তিনি। এ পদে আলোচনায় আছেন আল গোরের এক সময়ের সহযোগী ক্যাথি জোই।
তবে দ্বিতীয় মেয়াদেও ওবামার সঙ্গে থাকতে চান এমন মন্ত্রীদের সংখ্যাও কম নয়। তালিকায় আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার, শিক্ষামন্ত্রী ও ওবামার বাস্কেটবল খেলার সঙ্গী আর্নে ডানকান, স্বাস্থ্য ও মানবিক সেবা বিষয়কমন্ত্রী ক্যাথলিন সেবেলিয়াস (৬৪) ও শ্রমমন্ত্রী হিলদা লুসিয়া সলিস (৫৫)।
সম্পর্ক মেরামতে তৎপর নেতানিয়াহু : নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে মিট রমনির প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ওবামার সঙ্গে ইরান, ফিলিস্তিনসহ নানা ইস্যুতে মতভিন্নতার বিষয়টিও নজরে আসে তখনই। বুধবার সকালে নেতানিয়াহু বুঝতে পারেন, 'ভুল ঘোড়ায় বাজি ধরেছিলেন'। তবে পুরো বিষয়টি সামলে নিতে দ্রুতই তৎপর হয়ে ওঠেন তিনি। ইসরায়েলে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে নিজ দপ্তরে ডেকে ওবামার জয়ে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে জড়িয়ে ধরেন, দুই দেশের 'প্রস্তর কঠিন' সম্পর্কের ঘোষণা দিয়ে বিবৃতিও দেন। সূত্র : এবিসি নিউজ, নিউ ইয়র্ক টাইমস।
No comments