আর্জেন্টিনায় শেভরনের সম্পদ জব্দের নির্দেশ
তেল-গ্যাস উত্তোলনকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক সংস্থা শেভরনের এক হাজার ৯০০ কোটি ডলারের সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আর্জেন্টিনার একটি আদালত। কম্পানিটির কাছ থেকে ইকুয়েডরের আমাজন এলাকার পরিবেশ দূষণের ক্ষতিপূরণ আদায়ে এই আদেশ দেওয়া হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী গত বুধবার এ কথা জানিয়েছেন।
প্রায় তিন দশক ধরে আমাজন এলাকার পরিবেশ দূষণের দায়ে এর আগে ইকুয়েডরের আদালত শেভরনকে একই পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, ইকুয়েডরের আমাজন এলাকায় ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে টেক্সাকো তেল কম্পানি। এর ফলে ওই এলাকার মাটি ও পানি দূষিত হয়ে পড়ে। ২০০১ সালে টেক্সাকো কম্পানি শেভরনের অঙ্গীভূত হয়। গত বছর ইকুয়েডরের আদালত পরিবেশ দূষণের দায়ে শেভরনকে ৮৬০ কোটি ডলার জরিমানা এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেন। শেভরন তা না করায় জরিমানার অর্থ দ্বিগুণেরও বেশি ধার্য করেন আদালত। কিন্তু ইকুয়েডরে কম্পানিটির তেমন সম্পদ না থাকায় দেশটি বিদেশে অবস্থিত এর সম্পদ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় আর্জেন্টিনার আদালত এই আদেশ দিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এনরিক ব্রুচো জানান, ইকুয়েডরের কম্পানির কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা সম্ভব হচ্ছিল না বলে তারা আর্জেন্টিনার আদালতের দ্বারস্থ হন। শেভরনের সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়ে আর্জেন্টিনার আদালত তাদের সে অনুরোধ রেখেছে।
শেভরন জানিয়েছে, নব্বইয়ের দশকে টেক্সাকো আমাজন এলাকায় দূষণ পরিষ্কারে চার কোটি ডলার ব্যয় করে। এরপর ১৯৯৮ সালে ইকুয়েডরের সঙ্গে তাদের একটি চুক্তি হয় যে, ভবিষ্যতে কম্পানিটির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আর তোলা হবে না। তারা এর আগে আদালতের মূল আদেশ নিয়েও মন্তব্য করে। তারা জানায়, ঘুষ দুর্নীতির প্রভাবে ওই আদেশ দেওয়া হয়। বিদেশের আদালতে মামলার বিষয়ে শেভরন বলে, যদি ইকুয়েডরের বাদী মনে করেন, বিষয়টি নিয়ে বিদেশের আদালতে যাবেন তবে তাদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে যেতে হবে। সূত্র : বিবিসি।
অভিযোগ রয়েছে, ইকুয়েডরের আমাজন এলাকায় ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে টেক্সাকো তেল কম্পানি। এর ফলে ওই এলাকার মাটি ও পানি দূষিত হয়ে পড়ে। ২০০১ সালে টেক্সাকো কম্পানি শেভরনের অঙ্গীভূত হয়। গত বছর ইকুয়েডরের আদালত পরিবেশ দূষণের দায়ে শেভরনকে ৮৬০ কোটি ডলার জরিমানা এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেন। শেভরন তা না করায় জরিমানার অর্থ দ্বিগুণেরও বেশি ধার্য করেন আদালত। কিন্তু ইকুয়েডরে কম্পানিটির তেমন সম্পদ না থাকায় দেশটি বিদেশে অবস্থিত এর সম্পদ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় আর্জেন্টিনার আদালত এই আদেশ দিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এনরিক ব্রুচো জানান, ইকুয়েডরের কম্পানির কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা সম্ভব হচ্ছিল না বলে তারা আর্জেন্টিনার আদালতের দ্বারস্থ হন। শেভরনের সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়ে আর্জেন্টিনার আদালত তাদের সে অনুরোধ রেখেছে।
শেভরন জানিয়েছে, নব্বইয়ের দশকে টেক্সাকো আমাজন এলাকায় দূষণ পরিষ্কারে চার কোটি ডলার ব্যয় করে। এরপর ১৯৯৮ সালে ইকুয়েডরের সঙ্গে তাদের একটি চুক্তি হয় যে, ভবিষ্যতে কম্পানিটির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আর তোলা হবে না। তারা এর আগে আদালতের মূল আদেশ নিয়েও মন্তব্য করে। তারা জানায়, ঘুষ দুর্নীতির প্রভাবে ওই আদেশ দেওয়া হয়। বিদেশের আদালতে মামলার বিষয়ে শেভরন বলে, যদি ইকুয়েডরের বাদী মনে করেন, বিষয়টি নিয়ে বিদেশের আদালতে যাবেন তবে তাদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে যেতে হবে। সূত্র : বিবিসি।
No comments