প্রশাসনে পদোন্নতি-ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টির আশঙ্কা
রাজনৈতিক সরকারগুলোর আমলে প্রশাসন দলীয়করণের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। জ্যেষ্ঠ ও মেধাবী কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে দলীয় আশীর্বাদপুষ্ট কর্মকর্তাদের পদোন্নতি আলোচিত একটি বিষয়। যে দল যখন ক্ষমতায় আসে, তখন প্রজাতন্ত্রের স্থায়ী কিছু কর্মকর্তা ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আনুগত্যের দাবি নিয়ে নিজেদের পদোন্নতি ও পোস্টিংসহ নানাভাবে আখের গুছিয়ে থাকেন।
এটা আর অভিযোগ নয়, বিদ্যমান বাস্তবতা। অল্পদিনে পদোন্নতি পেয়ে শীর্ষ পদে চলে যাওয়ার নজির যেমন আছে, তেমনি যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি-বঞ্চিত হওয়ার নজিরও প্রশাসনে খুঁজে পাওয়া যাবে। বলা হয়, সিনিয়রিটি নয়, যোগ্যতা বিচার করে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। সেই যোগ্যতার মাপকাঠি কী, সেটা তাঁরাই জানেন, যাঁরা যোগ্যতা বিচার করেন। তবে এই যোগ্যতা প্রমাণের অন্যতম মানদণ্ড যে দলীয় আনুগত্য, বাংলাদেশের প্রশাসনে অনেক আগেই সেটা প্রমাণিত। ফলে পদোন্নতি নিয়ে জনপ্রশাসনে অসন্তোষ রয়েছে। দিনে দিনে সেই অসন্তোষ বাড়ছে। পদ না থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। ফলে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের পদায়ন হচ্ছে না। আগের পদে থেকেই কাজ করছেন সবাই। নতুন পদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ না থাকলেও পদোন্নতি থেমে নেই।
দেশের জনপ্রশাসনে উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি কর্মকর্তা রয়েছেন। এসব অতিরিক্ত কর্মকর্তার পদায়ন করা যায়নি বা করা সম্ভব হবে না। কিন্তু নতুন করে আবার পদোন্নতির কথা শোনা যাচ্ছে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকির জায়গাটি হচ্ছে, সিনিয়রিটির পরিবর্তে তথাকথিত যোগ্যতা যাচাই। সেই যোগ্যতার মাপকাঠি যখন হয় দলীয় কিংবা রাজনৈতিক আনুগত্য, তখন সেই যোগ্যতা দিয়ে আর যা-ই হোক, দক্ষতার সঙ্গে প্রশাসন চালানো সম্ভব হয় না। রাজনৈতিক বা দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দিয়ে নিরপেক্ষ প্রশাসন নিশ্চিত করা যায় না। অন্যদিকে দক্ষ ও যোগ্য হওয়ার পরও পদোন্নতি-বঞ্চিত হলে সে ক্ষেত্রে মেধা ও দক্ষতা থেকে বঞ্চিত হয় দেশ। অদক্ষ ও মেধাহীন প্রশাসনের কাছ থেকে কিছু আশা করা যায় না। অন্যদিকে সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে দলীয় ও রাজনৈতিক বিবেচনায় পদোন্নতি দেওয়ার ফলে কনিষ্ঠরাও জ্যেষ্ঠদের ডিঙিয়ে যান। ফলে স্পষ্টতই একটি ভারসাম্যহীন অবস্থার সৃষ্টি হয়। আবার পদের চেয়ে কর্মকর্তার সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে পদায়ন নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। অনেক কর্মকর্তা যথার্থ অর্থে দক্ষ ও যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও বছরের পর বছর ওএসডি হয়ে চাকরিজীবনের অবসান ঘটান।
ইদানীং আবারও পদোন্নতির বিষয়টি জনপ্রশাসনে আলোচিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে দলীয় ও রাজনৈতিক বিবেচনা ও আনুগত্যের ভিত্তিতেই পদোন্নতি হবে। আর তা যদি হয়, তাহলে ক্ষমতাসীন দল নিজেদের সুবিধামতো জনপ্রশাসন সাজিয়ে নিতে পারবে। মাঠপর্যায়ের প্রশাসনেও পরিবর্তন আনা সহজ হবে। এবারের পদোন্নতি সেদিকেই যাচ্ছে বলে অনেকের ধারণা।
চাকরিক্ষেত্রে পদোন্নতি যেকোনো কর্মকর্তার জন্য প্রণোদনা হিসেবে কাজ করে। তবে পদোন্নতি পুরস্কার নয়, এটা চাকরির শর্ত এবং তা নানা শর্ত পূরণ করে অর্জন করতে হয়। তাই পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের নিয়মনীতি মেনে চলা উচিত। পদোন্নতি দিতে গিয়ে জনপ্রশাসনে আরো ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হোক_এটা কাম্য নয়। আমরা চাই প্রশাসন চলবে দক্ষ ও যোগ্য মানুষ নিয়ে, বর্তমানের মতো দলবাজদের দিয়ে নয়। প্রশাসনে নতুন নেতৃত্ব আসবে; তবে সেই নেতৃত্ব সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি যেন বিতর্কিত না হয়।
দেশের জনপ্রশাসনে উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি কর্মকর্তা রয়েছেন। এসব অতিরিক্ত কর্মকর্তার পদায়ন করা যায়নি বা করা সম্ভব হবে না। কিন্তু নতুন করে আবার পদোন্নতির কথা শোনা যাচ্ছে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকির জায়গাটি হচ্ছে, সিনিয়রিটির পরিবর্তে তথাকথিত যোগ্যতা যাচাই। সেই যোগ্যতার মাপকাঠি যখন হয় দলীয় কিংবা রাজনৈতিক আনুগত্য, তখন সেই যোগ্যতা দিয়ে আর যা-ই হোক, দক্ষতার সঙ্গে প্রশাসন চালানো সম্ভব হয় না। রাজনৈতিক বা দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দিয়ে নিরপেক্ষ প্রশাসন নিশ্চিত করা যায় না। অন্যদিকে দক্ষ ও যোগ্য হওয়ার পরও পদোন্নতি-বঞ্চিত হলে সে ক্ষেত্রে মেধা ও দক্ষতা থেকে বঞ্চিত হয় দেশ। অদক্ষ ও মেধাহীন প্রশাসনের কাছ থেকে কিছু আশা করা যায় না। অন্যদিকে সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে দলীয় ও রাজনৈতিক বিবেচনায় পদোন্নতি দেওয়ার ফলে কনিষ্ঠরাও জ্যেষ্ঠদের ডিঙিয়ে যান। ফলে স্পষ্টতই একটি ভারসাম্যহীন অবস্থার সৃষ্টি হয়। আবার পদের চেয়ে কর্মকর্তার সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে পদায়ন নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। অনেক কর্মকর্তা যথার্থ অর্থে দক্ষ ও যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও বছরের পর বছর ওএসডি হয়ে চাকরিজীবনের অবসান ঘটান।
ইদানীং আবারও পদোন্নতির বিষয়টি জনপ্রশাসনে আলোচিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে দলীয় ও রাজনৈতিক বিবেচনা ও আনুগত্যের ভিত্তিতেই পদোন্নতি হবে। আর তা যদি হয়, তাহলে ক্ষমতাসীন দল নিজেদের সুবিধামতো জনপ্রশাসন সাজিয়ে নিতে পারবে। মাঠপর্যায়ের প্রশাসনেও পরিবর্তন আনা সহজ হবে। এবারের পদোন্নতি সেদিকেই যাচ্ছে বলে অনেকের ধারণা।
চাকরিক্ষেত্রে পদোন্নতি যেকোনো কর্মকর্তার জন্য প্রণোদনা হিসেবে কাজ করে। তবে পদোন্নতি পুরস্কার নয়, এটা চাকরির শর্ত এবং তা নানা শর্ত পূরণ করে অর্জন করতে হয়। তাই পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের নিয়মনীতি মেনে চলা উচিত। পদোন্নতি দিতে গিয়ে জনপ্রশাসনে আরো ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হোক_এটা কাম্য নয়। আমরা চাই প্রশাসন চলবে দক্ষ ও যোগ্য মানুষ নিয়ে, বর্তমানের মতো দলবাজদের দিয়ে নয়। প্রশাসনে নতুন নেতৃত্ব আসবে; তবে সেই নেতৃত্ব সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি যেন বিতর্কিত না হয়।
No comments