স্মরণ-অধ্যাপক মোবাশ্বের আলী by এইচ এম আশিকুর রহমান
অধ্যাপক মোবাশ্বের আলী একজন বড় মাপের শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য সমালোচক ছিলেন। ২০১২ সালের ৯ নভেম্বর তাঁর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হবে। তাঁর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তিনি যশোর এমএম কলেজে যখন অধ্যাপনা করতেন তখন তাঁকে কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল।
ক্লাসকে তিনি মনোমুঙ্কর করে তুলতেন। তাঁর প্রতিটি শব্দ চয়নে বিষয়ের সাযুজ্য ও গভীরতা আমাদের মুগ্ধ করত। অসাধারণ পণ্ডিত এবং জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন অধ্যাপক মোবাশ্বের আলী। তাঁর পাণ্ডিত্য তাঁকে মধুসূদন ও নবজাগৃতি, বিশ্বসাহিত্যের মতো জ্ঞানগভীর বই রচনায় সহায়তা করেছিল। তিনি অনুবাদ কর্মেও যথেষ্ট পারঙ্গম ছিলেন। তাঁর রচিত বইগুলো বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে। মোবাশ্বের আলীর মতো বড় মাপের গুরুদের আজ বড্ড প্রয়োজন। তাঁরা আলোর দিশারি হিসেবে কাজ করে থাকেন। আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন দেশের মানবসম্পদ গড়ার ক্ষেত্রে বেশ সুনাম কুড়াচ্ছে। আমার মনে হয়, মোবাশ্বের আলীর মতো জ্ঞানী শিক্ষকের বর্তমানে থাকা দরকার ছিল। তাঁর মতো শিক্ষকরা আদর্শ ও নৈতিকতার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের জীবনে আলোকবর্তিকা নিয়ে আসেন। আজকের তরুণরাই ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে- দেশের একটি সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
মোবাশ্বের আলীর ওপর স্টুডেন্ট ওয়েজ কর্তৃক প্রকাশিত 'মোবাশ্বের আলী : সাহিত্যকর্ম ও স্মারক' গ্রন্থটি দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের অনেক প্রথিতযশা ব্যক্তি তাঁর ওপর লিখেছেন। তাঁর রচিত অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে : বাংলাদেশের সন্ধানে, গ্রিক ট্র্যাজেডি, শিল্পীর ট্র্যাজেডি, শিল্পীর ভুবনে প্রভৃতি। মুক্ত চিন্তার মানুষ হিসেবে মানুষের কল্যাণের জন্য তিনি নিবেদিত ছিলেন।
আমার মনে হয়, মোবাশ্বের আলী ফাউন্ডেশন যথাযোগ্যভাবে তাঁর আদর্শগুলো তুলে ধরবে। নতুন প্রজন্ম মোবাশ্বের আলীকে আবিষ্কার করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। মোবাশ্বের আলী একজন ভাষাসৈনিক ছিলেন। আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করছি। স্বাধীনতাপ্রাপ্তি আমাদের অনেক কিছুর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন। এই অর্জনকে যত বেশি সুন্দরভাবে বিস্তৃত করতে পারব তত জাতি হিসেবে আমাদের উন্নতি সম্ভব হবে। বাঙালি জাতির বিকাশ সাধনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন করা যাবে।
মোবাশ্বের আলীর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধাবোধ জানাই। বর্তমান সময়ে মোবাশ্বের আলীর মতো বড় মাপের জ্ঞানী ব্যক্তিদের বড় প্রয়োজন। এ ধরনের গুরুরা বর্তমান প্রজন্মকে আগামী দিনের সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। মোবাশ্বের আলী নিজেকে সত্যিকার অর্থে একজন মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে নিজেকে প্রমাণিত করেছেন। তাঁর জীবনাদর্শ সত্যিকার অর্থে আগামী দিনের তরুণ প্রজন্মকে উদ্ভাসিত করবে।
এইচ এম আশিকুর রহমান
মোবাশ্বের আলীর ওপর স্টুডেন্ট ওয়েজ কর্তৃক প্রকাশিত 'মোবাশ্বের আলী : সাহিত্যকর্ম ও স্মারক' গ্রন্থটি দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের অনেক প্রথিতযশা ব্যক্তি তাঁর ওপর লিখেছেন। তাঁর রচিত অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে : বাংলাদেশের সন্ধানে, গ্রিক ট্র্যাজেডি, শিল্পীর ট্র্যাজেডি, শিল্পীর ভুবনে প্রভৃতি। মুক্ত চিন্তার মানুষ হিসেবে মানুষের কল্যাণের জন্য তিনি নিবেদিত ছিলেন।
আমার মনে হয়, মোবাশ্বের আলী ফাউন্ডেশন যথাযোগ্যভাবে তাঁর আদর্শগুলো তুলে ধরবে। নতুন প্রজন্ম মোবাশ্বের আলীকে আবিষ্কার করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। মোবাশ্বের আলী একজন ভাষাসৈনিক ছিলেন। আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করছি। স্বাধীনতাপ্রাপ্তি আমাদের অনেক কিছুর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন। এই অর্জনকে যত বেশি সুন্দরভাবে বিস্তৃত করতে পারব তত জাতি হিসেবে আমাদের উন্নতি সম্ভব হবে। বাঙালি জাতির বিকাশ সাধনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন করা যাবে।
মোবাশ্বের আলীর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধাবোধ জানাই। বর্তমান সময়ে মোবাশ্বের আলীর মতো বড় মাপের জ্ঞানী ব্যক্তিদের বড় প্রয়োজন। এ ধরনের গুরুরা বর্তমান প্রজন্মকে আগামী দিনের সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। মোবাশ্বের আলী নিজেকে সত্যিকার অর্থে একজন মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে নিজেকে প্রমাণিত করেছেন। তাঁর জীবনাদর্শ সত্যিকার অর্থে আগামী দিনের তরুণ প্রজন্মকে উদ্ভাসিত করবে।
এইচ এম আশিকুর রহমান
No comments