ধ্বংসাত্মক তৎপরতা ঠেকাতে সোচ্চার হোন : প্রধানমন্ত্রী
ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যারা একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের রক্ষা করতে চায়, তাদের নীলনকশার ব্যাপারে সজাগ থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ভণ্ডুল করতে চায়। কিন্তু আমি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই।'
গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, যতই অপতৎপরতা চালানো হোক না কেন, দেশের মানুষ সজাগ থাকলে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কিছুই করতে পারবে না। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সব ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী করে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিজেদের নিয়োজিত করতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে। অন্যথায় আমাদের স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে যাবে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মাথা উঁচু রেখে দেশকে বিশ্ব মঞ্চে একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই হচ্ছে বর্তমান সরকারের নীতি। আমরা বিশ্বে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরে বেড়াতে চাই না। তিনি সীমিত সম্পদের যথাযথ ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, 'প্রযুক্তি হচ্ছে দিনবদলের প্রধান হাতিয়ার। প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার ও উৎকর্ষতার মাধ্যমে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জনে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অপরিসীম।' দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং উৎপাদন কর্মকাণ্ডের প্রায় ৮৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয় প্রকৌশলীদের মাধ্যমে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, বিভিন্ন স্থাপনা, মিলকারখানা, যন্ত্রপাতি সবকিছুর নির্মাণ ও স্থাপনের দায়িত্ব আপনাদের। কাজেই আপনাদের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে দেশ কতটা দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে।'
প্রকৌশলীরা দেশের মেধাবী সন্তান উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'একজন ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করতে মা-বাবার পাশাপাশি রাষ্ট্র অর্থাৎ দেশের জনগণেরও প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। এ জন্য প্রকৌশলী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আপনাদের এখন এর প্রতিদান দেওয়ার সময়।' তিনি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো সক্রিয় হতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'এ ব্যাপারে উন্নত দেশগুলো আমাদের সহায়তা দিতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের সহায়তার আশায় বসে না থেকে আমাদেরই টেকসই সবুজ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে মনোযোগী হতে হবে।' দেশীয় এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে প্রকৌশলীদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।
সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন সেবা রপ্তানিতে এ দেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে তাঁর সরকার আইসিটি আইন সংশোধন, আইসিটি নীতিমালা প্রণয়ন ও হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইন করেছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি সরকারের দেওয়া এসব সুবিধা কাজে লাগাতে প্রকৌশলীদের পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে তাঁর সরকার আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামানও বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মাথা উঁচু রেখে দেশকে বিশ্ব মঞ্চে একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই হচ্ছে বর্তমান সরকারের নীতি। আমরা বিশ্বে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরে বেড়াতে চাই না। তিনি সীমিত সম্পদের যথাযথ ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, 'প্রযুক্তি হচ্ছে দিনবদলের প্রধান হাতিয়ার। প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার ও উৎকর্ষতার মাধ্যমে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জনে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অপরিসীম।' দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং উৎপাদন কর্মকাণ্ডের প্রায় ৮৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয় প্রকৌশলীদের মাধ্যমে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, বিভিন্ন স্থাপনা, মিলকারখানা, যন্ত্রপাতি সবকিছুর নির্মাণ ও স্থাপনের দায়িত্ব আপনাদের। কাজেই আপনাদের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে দেশ কতটা দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে।'
প্রকৌশলীরা দেশের মেধাবী সন্তান উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'একজন ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করতে মা-বাবার পাশাপাশি রাষ্ট্র অর্থাৎ দেশের জনগণেরও প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। এ জন্য প্রকৌশলী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আপনাদের এখন এর প্রতিদান দেওয়ার সময়।' তিনি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো সক্রিয় হতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'এ ব্যাপারে উন্নত দেশগুলো আমাদের সহায়তা দিতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের সহায়তার আশায় বসে না থেকে আমাদেরই টেকসই সবুজ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে মনোযোগী হতে হবে।' দেশীয় এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে প্রকৌশলীদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।
সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন সেবা রপ্তানিতে এ দেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে তাঁর সরকার আইসিটি আইন সংশোধন, আইসিটি নীতিমালা প্রণয়ন ও হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইন করেছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি সরকারের দেওয়া এসব সুবিধা কাজে লাগাতে প্রকৌশলীদের পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে তাঁর সরকার আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামানও বক্তব্য দেন।
No comments