গুয়াতেমালায় ভূমিকম্পে নিহত ৪৮- সুনামি সতর্কতা জারি
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় ভূমিকম্পে ৪৮ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে দেড় শতাধিক মানুষ। এখনো অনেক লোক নিখোঁজ রয়েছে। গত বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো এবং এল সালভাদরেও এর কম্পন অনুভূত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রাজধানী গুয়াতেমালা সিটির ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল বলে জানিয়েছে ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাজধানীর ২৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে মেঙ্েিকা সীমান্তবর্তী সান মারকোস রাজ্য। সেখানে ৪০ জন এবং দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী কুয়েতজালতেনানগোতে আটজন নিহত হয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে মাটিচাপা পড়ে সান মারকোসের একটি গ্রামের এক পরিবারের ১০ জন মারা গেছে। এখনো ২৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭৩ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। ভূমিকম্পে প্রায় ১৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেড় শ পরিবার বসতবাড়ি হারিয়েছে। এ ছাড়া রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সরকারের ১১টি আশ্রয় শিবিরে ৮০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাবার পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্প আঘাত হানার পর থেকেই উদ্ধারকাজ চলছে।
প্রেসিডেন্ট অত্তো পেরেজ মলিনা তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। তিনি শোক প্রকাশ করে বলেন, 'আমরা শোকাহত। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক মানুষ আটকে আছে। নিহতদের স্বজনদের জন্য অপেক্ষারত মানুষের সঙ্গে দেখা করাটা খুব কষ্টের। এটা সত্যিই খুব দুঃজনক ঘটনা।'
ভূমিকম্প আঘাত হানার পর এক ডজনের বেশি ভূ-কম্পন-পরবর্তী কম্পন অনুভূত হয়েছে। গুয়াতেমালার ভূ-কম্পন ইনস্টিটিউটের পরিচালক এডি সানচেজ জানান, ১৯৭৬ সালের পর গুয়াতেমালায় এটাই প্রথম উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত। সে সময় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে ২৫ হাজার মানুষ মারা যায়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স।
প্রেসিডেন্ট অত্তো পেরেজ মলিনা তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। তিনি শোক প্রকাশ করে বলেন, 'আমরা শোকাহত। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক মানুষ আটকে আছে। নিহতদের স্বজনদের জন্য অপেক্ষারত মানুষের সঙ্গে দেখা করাটা খুব কষ্টের। এটা সত্যিই খুব দুঃজনক ঘটনা।'
ভূমিকম্প আঘাত হানার পর এক ডজনের বেশি ভূ-কম্পন-পরবর্তী কম্পন অনুভূত হয়েছে। গুয়াতেমালার ভূ-কম্পন ইনস্টিটিউটের পরিচালক এডি সানচেজ জানান, ১৯৭৬ সালের পর গুয়াতেমালায় এটাই প্রথম উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত। সে সময় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে ২৫ হাজার মানুষ মারা যায়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স।
No comments