গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব গ্রহণ
বিভিন্ন ভোক্তাগোষ্ঠী ও গবেষকদের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য পেট্রোবাংলার প্রস্তাব গণশুনানির জন্য গ্রহণ করেছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার এক উন্মুক্ত সভায় প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়। আগামী ১০ ডিসেম্বর গণশুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
কয়েক মাস আগে পেট্রোবাংলা ছয়টি খাতে গ্যাসের দাম গড়ে প্রায় ৩৪ শতাংশ বাড়ানোর একটি প্রস্তাব বিইআরসির কাছে জমা দেয়। গতকাল সকালে কারওয়ান বাজারে বিইআরসির কার্যালয়ে আয়োজিত উন্মুক্ত সভায় প্রস্তাবটি আলোচনার জন্য উপস্থাপন করেন বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমদাদুল হক। এ সময় কমিশনের সদস্য সেলিম মাহমুদ ও দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবটির ওপর আলোচনায় অংশ নেন জ্বালানি খাতের গবেষক অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা সামসুল আলম এবং সিএনজি অ্যাসোসিয়েশনসহ কয়েকটি বাণিজ্যিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
ভোক্তা প্রতিনিধিরা বলেন, দাম বাড়ানোর প্রস্তাবটি একাধিক কারণে অগ্রহণযোগ্য। প্রথমত, একাধিক কোম্পানির পক্ষে পেট্রোবাংলা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করতে পারে না। বিইআরসি আইন অনুযায়ী, প্রতিটি কোম্পানিকে আলাদাভাবে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে হবে। যেসব কোম্পানি লাভজনক, তাদের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।
দ্বিতীয়ত, ২০০৮ সালে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় গ্রাহকসেবার মান বাড়াতে বিইআরসি পেট্রোবাংলাকে যেসব নির্দেশনা দিয়েছিল, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি। এমনকি গ্যাসের বাড়তি দামের একাংশ নিয়ে গঠিত গ্যাস উন্নয়ন তহবিলেরও যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে কোম্পানিগুলোর উন্নয়নকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে বিদেশি কোম্পানির গ্যাস সরবরাহ বেড়েছে।
তৃতীয়ত, গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োনীয় পণ্যের দামও আরেক দফা বাড়বে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও কঠিন করে তুলবে। সিএনজির দাম আরও বাড়ানো হলে এই খাতের কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়বে।
ভোক্তাদের যুক্তি ও বিরোধিতার মুখে বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দাম বাড়ানোর প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হলো। আগামী ১০ ডিসেম্বর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি কোম্পানিকে দাম বৃদ্ধির আলাদা আলাদ প্রস্তাব নিয়ে আসতে বলা হবে। এ ছাড়া উন্মুক্ত সভায় উত্থাপিত আপত্তিগুলোও শুনানির সময় বিবেচনায় রাখা হবে।
বিইআরসির কাছে দেওয়া পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে যে ছয়টি খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে—ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ খাতে (বেসরকারি শিল্প উদ্যোক্তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য ভর্তুকি মূল্যে পাওয়া গ্যাসে উৎপাদিত) ১০২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সিএনজিতে ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ। শিল্পে ৩২ দশমিক ৬০ শতাংশ। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ৩০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সার কারখানায় নয় দশমিক ৭১ এবং চা-বাগানে ২০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
পেট্রোবাংলা গ্যাসের দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিল, তাতে বিদ্যুৎ ও আবাসিক খাতেও গ্যাসের দাম বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় ওই দুটি খাতে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বাদ দিয়ে অনুমোদন দেয়। এখন প্রস্তাবে ছয়টি খাতে গ্যাসের দাম গড়ে ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ বাড়ানোর কথা রয়েছে।
বিইআরসি আইন ২০০৩ অনুযায়ী, আগামী ১০ ডিসেম্বর গণশুনানি অনুষ্ঠানের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে বিইআরসিকে রায় ঘোষণা করতে হবে।
প্রস্তাবটির ওপর আলোচনায় অংশ নেন জ্বালানি খাতের গবেষক অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা সামসুল আলম এবং সিএনজি অ্যাসোসিয়েশনসহ কয়েকটি বাণিজ্যিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
ভোক্তা প্রতিনিধিরা বলেন, দাম বাড়ানোর প্রস্তাবটি একাধিক কারণে অগ্রহণযোগ্য। প্রথমত, একাধিক কোম্পানির পক্ষে পেট্রোবাংলা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করতে পারে না। বিইআরসি আইন অনুযায়ী, প্রতিটি কোম্পানিকে আলাদাভাবে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে হবে। যেসব কোম্পানি লাভজনক, তাদের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।
দ্বিতীয়ত, ২০০৮ সালে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় গ্রাহকসেবার মান বাড়াতে বিইআরসি পেট্রোবাংলাকে যেসব নির্দেশনা দিয়েছিল, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি। এমনকি গ্যাসের বাড়তি দামের একাংশ নিয়ে গঠিত গ্যাস উন্নয়ন তহবিলেরও যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে কোম্পানিগুলোর উন্নয়নকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে বিদেশি কোম্পানির গ্যাস সরবরাহ বেড়েছে।
তৃতীয়ত, গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োনীয় পণ্যের দামও আরেক দফা বাড়বে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও কঠিন করে তুলবে। সিএনজির দাম আরও বাড়ানো হলে এই খাতের কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়বে।
ভোক্তাদের যুক্তি ও বিরোধিতার মুখে বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দাম বাড়ানোর প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হলো। আগামী ১০ ডিসেম্বর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি কোম্পানিকে দাম বৃদ্ধির আলাদা আলাদ প্রস্তাব নিয়ে আসতে বলা হবে। এ ছাড়া উন্মুক্ত সভায় উত্থাপিত আপত্তিগুলোও শুনানির সময় বিবেচনায় রাখা হবে।
বিইআরসির কাছে দেওয়া পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে যে ছয়টি খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে—ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ খাতে (বেসরকারি শিল্প উদ্যোক্তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য ভর্তুকি মূল্যে পাওয়া গ্যাসে উৎপাদিত) ১০২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সিএনজিতে ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ। শিল্পে ৩২ দশমিক ৬০ শতাংশ। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ৩০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সার কারখানায় নয় দশমিক ৭১ এবং চা-বাগানে ২০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
পেট্রোবাংলা গ্যাসের দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিল, তাতে বিদ্যুৎ ও আবাসিক খাতেও গ্যাসের দাম বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় ওই দুটি খাতে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বাদ দিয়ে অনুমোদন দেয়। এখন প্রস্তাবে ছয়টি খাতে গ্যাসের দাম গড়ে ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ বাড়ানোর কথা রয়েছে।
বিইআরসি আইন ২০০৩ অনুযায়ী, আগামী ১০ ডিসেম্বর গণশুনানি অনুষ্ঠানের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে বিইআরসিকে রায় ঘোষণা করতে হবে।
No comments