শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট-যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিন

এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুলের প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষক ও কর্মচারীর অবসর-পরবর্তী কল্যাণ ভাতা দেওয়ার কাজ করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট। সরকারি তত্ত্বাবধানে একটি বোর্ডের মাধ্যমে কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত হয়। নিয়ম অনুসারে ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হন শিক্ষা সচিব।


মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক হন ভাইস চেয়ারম্যান। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের একজন প্রতিনিধিকে বোর্ডের সদস্য সচিব নিয়োগ করে সরকার। মুখ্যত সদস্য সচিবই এই বোর্ডের নির্বাহী দায়িত্ব পালন করেন। আগের বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ সদস্য সচিব পদটি খালি হয়েছে। প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত হলেও নতুন সদস্য সচিব নিযুক্ত হননি। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ভাতা দেওয়াসহ দৈনন্দিন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাওনা আদায় করতে গিয়ে রীতিমতো বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। কিন্তু সদস্য সচিব নিয়োগ দিতে গিয়ে সরকার দ্বিধান্বিত। পদটির দাবিদার দু'জন শিক্ষক নেতা। তাদের মধ্যে কাকে বেছে নেওয়া হবে সে সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না তারা। দৃশ্যমানভাবে, সমস্যাটি বড়ই মধুর। পদের জন্য দাবিদার যে কোনো একজনকে নিয়োগ দিলেই সমস্যা মিটে যায়। সরকারের এই সমস্যায় ভুগছেন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা। শিক্ষকদের এই ভোগান্তি দীর্ঘায়িত হওয়া উচিত নয়। পদের দাবিদার দু'জনের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে যদি সমস্যা না থাকে তবে যোগ্যতার ভিত্তিতে একজনকে বেছে নেওয়া যেতে পারে। আর একান্তই যদি দু'জন সমানে সমান হন, তবে নেতৃস্থানীয় তৃতীয় কাউকে বেছে নেওয়া যেতে পারে। রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়ার রেওয়াজ আছে আমাদের দেশে। আর এখানে তো শিক্ষক প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়ার প্রশ্ন।
সেক্ষেত্রে যোগ্য কাউকে বেছে নেওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। এ ক্ষেত্রে সরকারের দ্বিধা থাকা উচিত নয়। দ্রুত সিদ্ধান্তে আসতে হবে। শিক্ষক-কর্মচারীদের ভোগান্তি কমিয়ে তাদের অবসর-উত্তর সেবা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিযুক্ত ব্যক্তি আন্তরিকতা ও জবাবদিহির সঙ্গে দায়িত্ব পালন
করলে সেটিই হবে খুশির কারণ।

No comments

Powered by Blogger.