র্যাবের সোর্সের মামলা- লিমনের পরিবারকে অব্যাহতির সুপারিশ
র্যাবের গুলিতে পঙ্গু কলেজছাত্র লিমন হোসেনের মা, বাবা, ভাইসহ ১০ জনকে ফোরকান হত্যার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ওই প্রতিবেদন দেন।
র্যাবের সোর্স বলে পরিচিত ইব্রাহিম হাওলাদার গত ২৩ আগস্ট তাঁর শ্যালক ফোরকানকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ওই মামলা করেন। অব্যাহতির সুপারিশ করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন লিমন ও তাঁর মা হেনোয়ারা বেগম।
চূড়ান্ত প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণে জানা যায়, গত ২০ আগস্ট ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে লিমন তাঁর মা ও ভাইকে নিয়ে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা সদরের ভাড়া করা বাসায় যাওয়ার পথে ইব্রাহিম তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে লিমন, লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম ও ভাই মো. হেমায়েত হোসেন আহত হন।
এদিকে ‘ইব্রাহিমের সঙ্গে লিমনদের মারামারি হচ্ছে’—এমন খবর শুনে তাঁর শ্যালক মো. ফোরকান ঘটনাস্থলে আসার সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ফোরকানের বোন ও ইব্রাহিমের স্ত্রী লিলি বেগম মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের জন্য রাজাপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন।
ফোরকানকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ইব্রাহিম তিন দিন পর লিমনের মা, বাবা তোফাজ্জেল হোসেন, ভাই হেমায়েত হোসেন, মামা সিদ্দিক হোসেন, চাচা মো. রিপন আকন ও নিকটাত্মীয়সহ ১০ জনকে আসামি করে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে একটি নালিশি হত্যা মামলা করেন। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করতে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
একই ঘটনায় রাজাপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হওয়ায় রাজাপুর থানার ওসি আদেশ সংশোধনের জন্য আদালতে আবেদন করেন। ২৭ আগস্ট আদালত নালিশি অভিযোগটি অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে তদন্ত করার নির্দেশ দেন ওসিকে। ওসির নির্দেশে দুটি অভিযোগেরই তদন্ত করেন এসআই আরিফুল।
ঘটনার ৭৯ দিন পর এসআই আরিফুল গতকাল আদালত ও সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এসআই আরিফুল বলেন, ‘২০ আগস্ট লিমনের পরিবারের ওপর হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ফোরকানের মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলা ও নালিশি হত্যা মামলা তদন্ত করে, সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছি। তদন্তকালে ফোরকানের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাই এ মামলায় সব আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।’
সন্তোষ প্রকাশ: লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম বলেন, ‘খবরড্যা হুইন্যা খুশি হইলাম। যেহানে আমাগো ওপর ঈদের দিন হামলা অইছিল, সেইখানে ফোরকানের চেহারাও দেহিনাই। হে (ফোরকান) হার্ডফেল কইর্যা আধা কিলোমিটার দূরে মারা যায়। হেই মামলায় আমাগো ১০ জনেরে আসামি দিয়া হয়রানির চেষ্টা করা হইছে।’
লিমন বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে করা ফোরকান হত্যা মামলা যেভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, সেভাবে আমার বিরুদ্ধে র্যাবের করা দুটি মামলার অভিযোগও মিথ্যা প্রমাণিত হবে।’
২০১১ সালের ২৩ মার্চ বাড়ির কাছে মাঠে গরু আনতে গিয়ে র্যাবের গুলিতে বাঁ পা হারান কলেজছাত্র লিমন। এ ঘটনায় র্যাবের উপসহকারী পরিচালক লুৎফর রহমান লিমনের সঙ্গে অপর সাত সন্ত্রাসীকে আসামি করে রাজাপুর থানায় দুটি মামলা করেন। এর একটি অস্ত্র আইনে, অপরটি সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে। অপর দিকে লিমনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তাঁর মা ছয় র্যাব সদস্যকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণে জানা যায়, গত ২০ আগস্ট ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে লিমন তাঁর মা ও ভাইকে নিয়ে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা সদরের ভাড়া করা বাসায় যাওয়ার পথে ইব্রাহিম তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে লিমন, লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম ও ভাই মো. হেমায়েত হোসেন আহত হন।
এদিকে ‘ইব্রাহিমের সঙ্গে লিমনদের মারামারি হচ্ছে’—এমন খবর শুনে তাঁর শ্যালক মো. ফোরকান ঘটনাস্থলে আসার সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ফোরকানের বোন ও ইব্রাহিমের স্ত্রী লিলি বেগম মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের জন্য রাজাপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন।
ফোরকানকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ইব্রাহিম তিন দিন পর লিমনের মা, বাবা তোফাজ্জেল হোসেন, ভাই হেমায়েত হোসেন, মামা সিদ্দিক হোসেন, চাচা মো. রিপন আকন ও নিকটাত্মীয়সহ ১০ জনকে আসামি করে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে একটি নালিশি হত্যা মামলা করেন। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করতে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
একই ঘটনায় রাজাপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হওয়ায় রাজাপুর থানার ওসি আদেশ সংশোধনের জন্য আদালতে আবেদন করেন। ২৭ আগস্ট আদালত নালিশি অভিযোগটি অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে তদন্ত করার নির্দেশ দেন ওসিকে। ওসির নির্দেশে দুটি অভিযোগেরই তদন্ত করেন এসআই আরিফুল।
ঘটনার ৭৯ দিন পর এসআই আরিফুল গতকাল আদালত ও সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এসআই আরিফুল বলেন, ‘২০ আগস্ট লিমনের পরিবারের ওপর হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ফোরকানের মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলা ও নালিশি হত্যা মামলা তদন্ত করে, সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছি। তদন্তকালে ফোরকানের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাই এ মামলায় সব আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।’
সন্তোষ প্রকাশ: লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম বলেন, ‘খবরড্যা হুইন্যা খুশি হইলাম। যেহানে আমাগো ওপর ঈদের দিন হামলা অইছিল, সেইখানে ফোরকানের চেহারাও দেহিনাই। হে (ফোরকান) হার্ডফেল কইর্যা আধা কিলোমিটার দূরে মারা যায়। হেই মামলায় আমাগো ১০ জনেরে আসামি দিয়া হয়রানির চেষ্টা করা হইছে।’
লিমন বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে করা ফোরকান হত্যা মামলা যেভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, সেভাবে আমার বিরুদ্ধে র্যাবের করা দুটি মামলার অভিযোগও মিথ্যা প্রমাণিত হবে।’
২০১১ সালের ২৩ মার্চ বাড়ির কাছে মাঠে গরু আনতে গিয়ে র্যাবের গুলিতে বাঁ পা হারান কলেজছাত্র লিমন। এ ঘটনায় র্যাবের উপসহকারী পরিচালক লুৎফর রহমান লিমনের সঙ্গে অপর সাত সন্ত্রাসীকে আসামি করে রাজাপুর থানায় দুটি মামলা করেন। এর একটি অস্ত্র আইনে, অপরটি সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে। অপর দিকে লিমনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তাঁর মা ছয় র্যাব সদস্যকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন।
No comments