স্যান্ডির পর যুক্তরাষ্ট্রে এথিনার আঘাত
সুপারস্টর্ম স্যান্ডির আঘাতের দুই সপ্তাহের মধ্যেই গত বুধবার নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে আছড়ে পড়েছে নতুন ঝড় এথিনা। প্রবল বর্ষণ, তুষার ও দমকা বাতাস স্যান্ডি-বিপর্যস্ত মানুষকে নতুন করে দুর্ভোগে ফেলেছে। আবারও বাতিল করা হয়েছে হাজার হাজার ফ্লাইট। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। বহু লোক বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে। ঝড়ের ছাপ পড়েছে গণ-পরিবহন ব্যবস্থায়।
সদ্য পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শতব্যস্ততার মধ্যেও গত বধুবার নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির গভর্নরদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন। জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানায়, গত বুধবার ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগের এ শীতকালীন ঝড়ের আঘাতে গাছপালা উপড়ে যায়। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। ঝড়ের প্রভাবে আরো দুদিন বৃষ্টিপাত হতে পারে। নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির উপকূলীয় এলাকায় বন্যারও পূর্বাভাস রয়েছে।
নিউ ইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ বলেন, স্যান্ডির সময় বহু লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। তখন সরে যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। তবে এবার আর তেমন নির্দেশনা নেই। তবে স্যান্ডি-পরবর্তী বন্যার অভিজ্ঞতার কারণে যে কেউ সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পরে।
যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি দপ্তর জানিয়েছে, নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির ছয় লাখ ৭২ হাজার ৫৭২টি বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গত বুধবার বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারে ডুবে ছিল। এদের মধ্যে বেশির ভাগই স্যান্ডির আঘাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। বুধবার নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ২২ হাজার গ্রাহকের। ব্লুমবার্গ জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে দেরি হওয়ার প্রধান কারণ স্যান্ডি-পরবর্তী বন্যার লবণাক্ত পানিতে বিদ্যুতের সার্কিটগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ওই এলাকাগুলোতে জমে থাকা আবর্জনা না সরানো পর্যন্ত নতুন সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। এথিনার কারণে এ তৎপরতা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
নিউ ইয়র্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় লং আইল্যান্ডের বাসিন্দা রুডি স্লেসতার স্যান্ডির সময় বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে উঠেছিলেন। তিনি বললেন, 'আমি এবারও যাচ্ছি। দমকা বাতাস আর তার সঙ্গে আসা পানি লোকজনের জানালায় গিয়ে আছড়ে পড়বে। ভাসিয়ে নিয়ে যাবে সব। আমি চাই না আমার বাচ্চারা আবারও এই পানি দেখুক।'
নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির প্রধান প্রধান এয়ারলাইনসগুলো ইতিমধ্যেই তাদের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। স্যান্ডির পর গণ-পরিবহন ব্যবস্থা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল, বুধবারের ঝড়ের পর তা আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এদিকে কেন্দ্রীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৯৫ হাজার লোক জরুরি গৃহায়ণ সহায়তা চেয়ে নাম নিবন্ধন করেছে। তারা জানায়, প্রয়োজন হলে এদের সাহায্যে বাড়তি তহবিলের ব্যবস্থা করা হবে।
গত ২৯ অক্টোবর নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে আঘাত হানে স্যান্ডি। ঝড়ের আঘাতে ১০৯ জন মারা যায়। এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি ডলার ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, পিটিআই।
নিউ ইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ বলেন, স্যান্ডির সময় বহু লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। তখন সরে যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। তবে এবার আর তেমন নির্দেশনা নেই। তবে স্যান্ডি-পরবর্তী বন্যার অভিজ্ঞতার কারণে যে কেউ সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পরে।
যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি দপ্তর জানিয়েছে, নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির ছয় লাখ ৭২ হাজার ৫৭২টি বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গত বুধবার বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারে ডুবে ছিল। এদের মধ্যে বেশির ভাগই স্যান্ডির আঘাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। বুধবার নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ২২ হাজার গ্রাহকের। ব্লুমবার্গ জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে দেরি হওয়ার প্রধান কারণ স্যান্ডি-পরবর্তী বন্যার লবণাক্ত পানিতে বিদ্যুতের সার্কিটগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ওই এলাকাগুলোতে জমে থাকা আবর্জনা না সরানো পর্যন্ত নতুন সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। এথিনার কারণে এ তৎপরতা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
নিউ ইয়র্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় লং আইল্যান্ডের বাসিন্দা রুডি স্লেসতার স্যান্ডির সময় বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে উঠেছিলেন। তিনি বললেন, 'আমি এবারও যাচ্ছি। দমকা বাতাস আর তার সঙ্গে আসা পানি লোকজনের জানালায় গিয়ে আছড়ে পড়বে। ভাসিয়ে নিয়ে যাবে সব। আমি চাই না আমার বাচ্চারা আবারও এই পানি দেখুক।'
নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির প্রধান প্রধান এয়ারলাইনসগুলো ইতিমধ্যেই তাদের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। স্যান্ডির পর গণ-পরিবহন ব্যবস্থা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল, বুধবারের ঝড়ের পর তা আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এদিকে কেন্দ্রীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৯৫ হাজার লোক জরুরি গৃহায়ণ সহায়তা চেয়ে নাম নিবন্ধন করেছে। তারা জানায়, প্রয়োজন হলে এদের সাহায্যে বাড়তি তহবিলের ব্যবস্থা করা হবে।
গত ২৯ অক্টোবর নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে আঘাত হানে স্যান্ডি। ঝড়ের আঘাতে ১০৯ জন মারা যায়। এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি ডলার ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, পিটিআই।
No comments