এইসব পাকিস্তানী বুদ্ধি কে দেয়? by মুনতাসীর মামুন

১৬১০ সালে খুব ঘটা করে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সুবেদার ইসলাম খাঁ ঢাকায় পদার্পণ করলেন। ঘোষণা করলেন, এখন থেকে ঢাকা হবে বাংলার মুঘল রাজধানী। এবং এ নগরের নাম হবে জাহাঙ্গীরনগর। মুঘল আমল তো কাগজে কলমে অষ্টাদশ [উনিশও] শতক পর্যন্ত ছিল। জাহাঙ্গীরনগর নামটি কেউ উচ্চারণও করেনি।


খালি দরবারি ঘোষণার বা দলিলপত্রে নামটি ছিল। শাখারি বাজারের নাম ১৯৭১ সালে রাখা হয়েছিল টিক্কা খান রোড। ঐ মরণপণ সময়েও বাঙালী ঐ নাম উচ্চারণ করেনি। ‘আদিবাসী’ বিতর্কে হঠাৎ এ ঘটনাগুলো মনে পড়ল। বাঙালী জাতিগোষ্ঠী থেকে যারা আলাদা তাদের যে নামেই ডাকুন, তারা স্বতন্ত্র সত্তা। বাঙালী নয়। এবং তাদের বাঙালী করার দরকার নেই। যেমন, বাঙালীদের জাতিসত্তা বদল কি বাঙালী বা সরকার পছন্দ করবে? নামে কিছুই আসে যায় না।
বাঙালীদের থেকে যারা আলাদা বা আলাদা জাতিসত্তা তাদের সরকারী নাম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ইত্যাদি। বাঙালীদেরও বলা যেতে পারে বৃহৎ নৃ-গোষ্ঠী, বৃহৎ জাতিসত্তা ইত্যাদি। তাতে কি বাঙালীদের চরিত্র বদল হবে?
নিশ্চয় আওয়ামী লীগের কাছের কেউ যাদের পা-িত্য আওয়ামী লীগে শুধু স্বীকৃত, তারা ঠিক করেছে, বাঙালীরাই আদিবাসী। ‘আদিবাসীরা’ নয়। আক্ষরিত অনুবাদ এ ক্ষেত্রে অচল, এটি তাদের বোধের মধ্যে আসেনি। বাঙালীরাই আদিবাসী? কিন্তু বাঙালী তো শঙ্কর জাতি। এ ভূখ-ে যারা আগে ছিল তারা কি খাঁটি বাঙালী ছিলÑ এ প্রশ্নটি কিন্তু থেকে যায়। যাক, সে তর্কে যাব না। এই যে বদল এর পেছনে এক ধরনের মতলববাজি তো আছেই, এটা বোঝার জন্য পা-িত্যের দরকার হয় না। সাংবিধানিক সংশোধনের পর সরকারী মন্ত্রী ও আমলারা নিষ্ঠার সঙ্গে বলছেন বাংলাদেশে আদিবাসী নেই। এ কথা যারা শোনে, তারাই হাসে। বৃহৎ জনগোষ্ঠীর বাইরে এরা স্বতন্ত্র সত্তা। কমবেশি সব দেশেই স্বতন্ত্র জাতি গোষ্ঠী আছে। শাহরিয়ার কবির ভুল লেখেননি যে, “জাতিগত পরিচয়ের বাইরে এরাও কোথাও আদিবাসী, গিরিজন, বনবাসী, কোথাও জনজাতি, কোথাও ট্রাইবাল, কোথাও এ্যাবরিজিনাল, কোথাও ইনডিজিনাস, কোথাও এথনিক মাইনরিটি বা সংখ্যালঘু জাতিসত্তা বা সংখ্যালঘু নৃ-গোষ্ঠী, কোথাও ন্যাশনাল মাইনরিটি বা সংখ্যালঘু জাতিসত্তা।” [জনকণ্ঠ ৯.৮.১২] সরল বাংলায় আমরা এদেরই আদিবাসী বলে আখ্যা দিয়েছি এবং আদিবাসী বললে এমন কী উপজাতি বললেও এই স্বতন্ত্র জাতিসত্তার চেহারাই ভেসে ওঠে।
এতদিন শব্দ নিয়ে বিতর্ক চলছে। আদিবাসী নেই একথা বলা হয়েছে। আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে জাতিসংঘ যার চারটি উপাদান আছে। সে সংজ্ঞায় বাংলাদেশে আদিবাসী আছে। সুতরাং নেই বললেই হয় না। বাংলাদেশে এর সংখ্যা ৪৫টি এবং জনসংখ্যা প্রায় বিশ লাখ। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৯৪ সালে ঘোষণা করেছে প্রতিবছর ৯ আগস্ট ‘বিশ্বের আদিবাসীদের আন্তর্জাতিক দিবস’। গত বছরও বাংলাদেশে তা পালিত হয়েছে। সরকারও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। এ বছর ঘোষণা করা হলো, আদিবাসী দিবস পালন করা যাবে না। কারণ বাংলাদেশে তো আদিবাসীই নেই। বিতর্কের শুরু সেখান থেকেই।
পত্র-পত্রিকায় পড়েছি এবং বিভিন্ন জনের কাছে শুনেছি এ পরার্মশ নাকি আমাদের সেই বিখ্যাত ডিজিএফআইয়ের, যা পাকিস্তনের আইএসআইয়ের মতো কুখ্যাতি অর্জন করছে। মূল মাজেজাটা হলো অর্থাৎ তাদের চিন্তাধারা যাকে পাকিচিন্তাও বলতে পারি তা’হলো, যদি পৃথক সত্তা হিসেবে এদের স্বীকার করা হয় তা’হলে জাতিসংঘ প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে আদিবাসীদের। এদের বাড় বাড়বে এবং একসময় স্বায়ত্তশাসন চাইবে। চাই কি স্বাধীনতাও চাইতে পারে। শোনা যায়, ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার হওয়ার আকাক্সক্ষী [ এ পদ প্রধানমন্ত্রী যে সৃষ্টি করবেন না কে না জানে] কিছু মন্ত্রীও সর্বতোভাবে মিলিটারি বুদ্ধি সাপোর্ট করেছেন। এ সব বুুদ্ধি পাকিস্তানী বুদ্ধি। সেনাবাহিনীর মাইন্ড সেট পাকিস্তানী। কিছু নেতা/ মন্ত্রীরও তাই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটা হলো কেন? একটু পটভূমিটা স্মরণ করুন। পাকিস্তানী বুদ্ধির কারণেই তো যাকে বলা যায় কুবুদ্ধি বা দুর্বুদ্ধি।
পাকিস্তানীমনা জেনারেল জিয়া সৈন্যবাহিনী দিয়ে, সেটলার দিয়ে পাকিদের মতো দমন করতে চেয়েছিলেন পাহাড়। বাংলাদেশে বৃহৎ সেনাবাহিনী রাখার অজুহাতও ছিল তা। কোন লাভ হয়নি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গিয়ে সেই পাকি ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেন। শান্তিচুক্তি করলেন। এই প্রথম বিশ্বে শেখ হাসিনার একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছিল। ৬৩টি দেশসহ জাতিসংঘ অভিনন্দন জানিয়েছিল। পাহাড়ে অনুৎপাদনশীল খাতে খরচ কমে গিয়েছিল। পাহাড়ের বন উজাড় করে আমলাদের বাড়িঘরে কাঠ ব্যবহার ও বিক্রি হ্রাস পেয়েছিল। শান্তি ফিরে এসেছিল। উৎপাদন বেড়েছিল যা দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর তা পছন্দ হয়নি। তখন থেকে নানা অজুহাতে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন বন্ধ রাখা হয়েছে, বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে। এবং সরকার তাতে পা দিচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয় যে, প্রথম আমলে শেখ হাসিনা যে স্বাধীনতা স্বাতন্ত্র্যবোধ দেখিয়েছিলেন এখন কেন যেন তাতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। এর কারণ হিসেবে যা বলা হয় তা আর লিখলাম না। তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট করেছেন যেখানে লুপ্তপ্রায় ভাষাসমূহ [আদিবাসীদের] সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে। সেই শেখ হাসিনার সরকার কীভাবে নির্দেশ দেয় আদিবাসী দিবস পালন করা যাবে না?
সরকারের এই সিদ্ধান্ত একটি কুসিদ্ধান্ত, নিন্দা করার মতো সিদ্ধান্ত। নিশ্চয় বিরোধীদের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আদিবাসীদের জন্য কাজ করে যে অর্ঘ্য পেয়েছিলেন তা ছুড়ে ফেলে দিতে চাচ্ছেন কেন? এই আমলে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে ইতিবাচক কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বিএনপির ধারাই অনুসরণ করা হয়েছে। তার ওপর এই ধরনের ঘোষণা। বিশ লক্ষ মানুষ বা ভোটারকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে কার লাভ হলো? দেশের মানুষদের একটি বড় অংশও ক্ষুব্ধ একমাত্র বিএনপি ছাড়া, জামায়াত ছাড়া, কারণ তারা খুশি। তারা যা চাচ্ছে, সরকার তা করছে। মাননীয় আইনমন্ত্রী যেমন আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বলছেন, যুদ্ধাপরাধ বিচারে যে অবকাঠামো [ ১৩ জন কর্মচারী, দুটি ট্রাইব্যুনালে ] তা মাত্রাতিরিক্ত। মন্ত্রীর যুক্তি তো নিশ্চয় সবার থেকে উপরে, না হলে তিনি মন্ত্রী কেন। মাননীয় মন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী সচিবের জনবলের চেয়ে বেশি। বিচারের যে প্রক্রিয়া চলছে তা তো দেখছেনই। জামায়াতীরা খুব খুশি। এখন আরো খুশি পাহাড়ি/আদিবাসীদের ক্ষেত্রেও সরকার তাদের নীতিই অনুসরণ করছে। আর সরকারী দলই তো বলে বিএনপি-জামায়াতীরা পাকিদের অনুসারী।
গোয়েন্দারা আরেকটি পরামর্শ নাকি দিয়েছে যা সরকারই পালন করছে তা হলো, জাতীয় শোক দিবস সুতরাং এ সময় আদিবাসী দিবস পালন করা ঠিক নয়। খুশির খবর ৪০ বছর পর সেনাবাহিনীর শোক উথলে উঠছে জাতির পিতার প্রতি। তারা বুঝে গেছে যে, প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে হলে তার মন নিয়ন্ত্রণ করতে হলে কী বলতে হবে। এ ধরনের পরামর্শ সেনারা প্রায়ই দিয়ে থাকে। আমার সাংবাদিক বন্ধু শফিকুর রহমান একটি লেখায় চমৎকার এক মন্তব্য করেছিলেন, তা হলো, আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, মইনউদ্দিন আহমদ আমাদের কিছু জিনিস শিখিয়েছেন তা হলো সুশাসন মানে, চুল ছোট করতে হবে, গাছের গোড়ায় রং করতে হবে। দালান কোঠায় রং করতে হবে আর রাজনীতিবিদ পেলেই বদমাশ বলে জেলে ঢোকাতে হবে, সিভিলিয়ান সবাইকে দুর্নীতিবাজ বলতে হবে আর নিজেদের পদপদবী বেতন-ভাতা, ডিওএইচএসের সীমানা বাড়াতে হবে। এতবড় একটা জাতিকে চুল কাটানোর একটা পারিশ্রমিক আছে না! দুর্ব্যবহারের একটা মূল্য আছে না। তাদের এই পরামর্শটা সেরকম। জাতির পিতাকে তো সিভিলিয়ানরা খুন করেনি। খুনীদের তোয়াজও সিভিলিয়ানরা করেনি। আমরা যেন জানি না এটি শোকের মাস বা ১৫ আগস্ট শোক দিবস। লোক দেখানো শোক দিবস পালন জাতির পিতার অবমাননাই। এ ধরনের পরামর্শ ঐ ক্যাটাগরিতেই পড়ে। শোকের মাসের অর্থ এই নয় যে, এ মাসে জনজীবন বা আমাদের জীবন স্থবির হয়ে যাবে। বা স্থবির থাকতে হবে। যারা এসব লোক দেখানোর বুদ্ধি দিচ্ছেন তারা কি তাদের পিতামাতার মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর চেয়ে কম শোকাহত হয়েছিলেন? নাকি পিতামাতার মৃত্যুর পর বিয়েশাদী করেননি। চাকরি বাকরি করেননি? শেখ হাসিনার চেয়ে দুঃখী মানুষ তো বাংলাদেশে কেউ নেই। সেই দুঃখী মানুষটির কি জীবন একেবারে স্থবির হয়ে গিয়েছিল নাকি তিনি শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করেছিলেন?
১৫ আগস্ট কি খালেদা জিয়া জন্ম দিবস পালন করবেন না? ডিজিএফআই পারবে নাকি তা বন্ধ করতে? আজ ৯ আগস্ট জ্বালানি দিবস পালিত হচ্ছে সরকারীভাবে, কেনো? জন্মাষ্টমীর মিছিল বেরুবে আজ। সামনে ঈদ। পারবে মহাপরাক্রমশালী ডিজিএফআই ও মহাপরাক্রমশালী মন্ত্রীরা তা বন্ধ রাখতে। দেখি পারে কিনা এই বীর পুঙ্গবরা?
সমস্যা হচ্ছে আমরা যা না তা ভাবি নিজেদের সম্পর্কে। এটি হচ্ছে পাকিস্তানী মাইন্ড সেট। মুঠোফোনের মতো ক্ষুদ্র একটি দেশ গরিব জনসংখ্যার ভারে যে দেশ ডুবু ডুবু সে দেশ যদি ভাবে তারা পৃথিবীর পরাক্রমশালী কেউ তা’হলে তো মুশকিল। তাদের ইচ্ছেমতো তারা স্বীকৃত বিষয় বদলাতে পারে তা’হলে তো ঐ সব কুশীলব থেকে দূরে থাকা শ্রেয়। জাতিসংঘ থেকে এত সুবিধা নিয়ে জাতিসংঘের দিবস না পালন খুব সুবুদ্ধির নয়। এত শক্তিশালী হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূসের ব্যাপারে এত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করতে হয় কেন? খুব বেশি জাত্যাভিমান ভাল নয়। জাত্যাভিমান ফ্যাসিবাদ নাজীবাদের জন্ম দেয়। ২০ লক্ষ মানুষ তাদের মতো থাকতে চাইলে সেই স্পেস দেয়াটাই সভ্যতা সংস্কৃতি। না দেয়াটা অভব্যতা অসংস্কৃতি।
২০ লক্ষ লোক যদি আদিবাসী হিসেবে পরিচিত হতে চায় তাতে কী এমন অসুবিধা? কেন এমন গাত্রদাহ? ২০ লক্ষ মানুষ [তখন বোধহয় আরো কম] তো কয়েক শ’ বছর আপন মনে বসবাস করছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধেও ছিলেন, আওয়ামী লীগকেই ভোট দিয়েছেন। তাদের খানিকটা সুবিধা দিলে কি বাঙালীর ভাঁড়ারে টান পড়বে? এগুলো কী ধরনের মনোভাব?
পাকিস্তান এসব করে আজ ছিন্নবিছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।
৯ আগস্ট আদিবাসী দিবস পালিত হলো ভবিষ্যতেও হবে, কেউ কিছুই করতে পারবে না। সবাই সরকারী চাকর না। যে সরকার যা বলবে তাই বেদবাক্য হিসেবে মেনে নিতে হবে। স্পীকার তো বলেছিলেন, সাংসদ নয়, সংসদ সদস্য বলতে হবে। আমরা বা মিডিয়া তো তা বলছি না। স্পীকার কী করতে পেরেছেন? আদিবাসীর সংজ্ঞা দেয়া ছাড়া দেশে আরও অনেক গুরুতর সমস্যা আছে সরকারী নীতি নির্ধারকদের কি তা অজানা? যাদের আমরা শিক্ষিত বলে জানি, জনসংলগ্ন বলে শ্রদ্ধা করি তারাও কি মন্ত্রী মর্যাদা পেলে অশিক্ষিত হয়ে যান, জন-সংলগ্নতা হারান? আজ সরকার এ কাজটি না করে বরং যদি এতে পৃষ্ঠপোষকতা করত তা’হলে নিজের মান বাড়ত, ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হতো দলের ভোট বাক্স সমৃদ্ধ হতো। সে সুযোগ গেল। বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস বাংলাদেশ পালন করতে পারে আর আদিবাসী দিবস পালন করতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার একটি কথা খুব ভাল লাগল। ৮ আগস্ট তিনি বলছিলেন, সঙ্কটময় সময়ে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা কখনও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। গত এক বছরে তাদের কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে তাঁর বক্তব্যটি কত সঠিক।==+
গত এক বছরে অকারণে সরকার কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যা তাদের পক্ষে যাচ্ছে না। কেন চ্ছে তা=ও জানি না। গোয়েন্দানির্ভরতা অতীতে সব সরকারের পতন ডেকে এনেছে।বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাইন্ডসেট যখন পাকিস্তানী। দুঃখের বিষয়, আওয়ামী লীগ নেতারা এত ইতিহাসের কথা বলেন, ইতিহাস থেকে কেন শিক্ষা নেন না?

No comments

Powered by Blogger.