গুলিস্তানে দোকান মালিক হকার সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া- পুলিশসহ আহত ১৫ ॥ শতাধিক দোকানে লুটপাট
রাজধানীর গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে দোকান মালিকদের সঙ্গে হকারদের দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা আশঙ্কামুক্ত।
সংঘর্ষের ফলে পুরো এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ২ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সংঘর্ষকালে শতাধিক দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তান রমনা ভবনের সামনে ঘটনার সূত্রপাত। হকাররা জানান, তারা রমনা ভবনের সামনের ফুটপাথে এবং আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের খালি জায়গায় প্রতিবছরের মতো এবারও দোকান বসান। দুপুরে এক হকারের সঙ্গে রমনা ভবনের দোকান মালিক জাহাঙ্গীরের ঝগড়া হয়। জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগ দেন অন্যান্য দোকান মালিকও। দোকান মালিকরা হকারদের দোকান গুটিয়ে নিতে বলেন। মালিকদের দাবি, হকারদের কারণে দোকানে খদ্দেরদের আসতে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। দোকানে কাস্টমার কম আসে। কিন্তু হকাররা দোকান তুলতে নারাজ। এ নিয়ে হকারদের সঙ্গে দোকান মালিকদের ব্যাপক হাঙ্গামা হয়। একপর্যায়ে দোকান মালিকরা জোটবদ্ধ হয়ে হকারদের ওপর চড়াও হন।
এমন পরিস্থিতিতে হকাররাও জোটবদ্ধ হয়ে মালিকদের ওপর চড়াও হন। শুরু হয় দোকান মালিকদের সঙ্গে হকারদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া। ইটপাটকেল নিক্ষেপ। সংঘর্ষে আহত হন যুবলীগ কর্মী কবির, মনির হোসেন, ছাত্রলীগ কর্মী কাওসার, হাকিম, রাসেল এবং পুলিশ ও হকারসহ অন্তত ১০ জন। সংঘর্ষকালে পুরো এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মানুষজন ভয়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যান। মাত্র আধঘণ্টার মধ্যেই পুরো গুলিস্তান, স্টেডিয়াম এলাকা, গোলাপশাহ মাজার এলাকা, জিরো পয়েন্ট, জিপিও, পীর ইয়ামেনী মার্কেটসহ আশপাশের এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় সবধরনের যানবাহন চলাচল। সংঘর্ষকালে শতাধিক দোকানের মালামাল লুট হয়।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার সাংবাদিকদের জানান, দোকান মালিকরা হকারদের ওপর হামলা চালালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে দোকান মালিকরা হকারদের এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। সংঘর্ষের সময় উপ-পরিদর্শক মোতালেবসহ অনেকেই আহত হন। পুলিশ রমনা ভবন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে ৪টার দিকে আটক করে।
এমন পরিস্থিতিতে এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মতিঝিল জোনের এডিসি মেহেদী হাসান। পুরো বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখতে এবং যে কোন ধরনের অরাজক পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মতিঝিল জোনের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন।
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তান রমনা ভবনের সামনে ঘটনার সূত্রপাত। হকাররা জানান, তারা রমনা ভবনের সামনের ফুটপাথে এবং আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের খালি জায়গায় প্রতিবছরের মতো এবারও দোকান বসান। দুপুরে এক হকারের সঙ্গে রমনা ভবনের দোকান মালিক জাহাঙ্গীরের ঝগড়া হয়। জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগ দেন অন্যান্য দোকান মালিকও। দোকান মালিকরা হকারদের দোকান গুটিয়ে নিতে বলেন। মালিকদের দাবি, হকারদের কারণে দোকানে খদ্দেরদের আসতে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। দোকানে কাস্টমার কম আসে। কিন্তু হকাররা দোকান তুলতে নারাজ। এ নিয়ে হকারদের সঙ্গে দোকান মালিকদের ব্যাপক হাঙ্গামা হয়। একপর্যায়ে দোকান মালিকরা জোটবদ্ধ হয়ে হকারদের ওপর চড়াও হন।
এমন পরিস্থিতিতে হকাররাও জোটবদ্ধ হয়ে মালিকদের ওপর চড়াও হন। শুরু হয় দোকান মালিকদের সঙ্গে হকারদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া। ইটপাটকেল নিক্ষেপ। সংঘর্ষে আহত হন যুবলীগ কর্মী কবির, মনির হোসেন, ছাত্রলীগ কর্মী কাওসার, হাকিম, রাসেল এবং পুলিশ ও হকারসহ অন্তত ১০ জন। সংঘর্ষকালে পুরো এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মানুষজন ভয়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যান। মাত্র আধঘণ্টার মধ্যেই পুরো গুলিস্তান, স্টেডিয়াম এলাকা, গোলাপশাহ মাজার এলাকা, জিরো পয়েন্ট, জিপিও, পীর ইয়ামেনী মার্কেটসহ আশপাশের এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় সবধরনের যানবাহন চলাচল। সংঘর্ষকালে শতাধিক দোকানের মালামাল লুট হয়।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার সাংবাদিকদের জানান, দোকান মালিকরা হকারদের ওপর হামলা চালালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে দোকান মালিকরা হকারদের এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। সংঘর্ষের সময় উপ-পরিদর্শক মোতালেবসহ অনেকেই আহত হন। পুলিশ রমনা ভবন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে ৪টার দিকে আটক করে।
এমন পরিস্থিতিতে এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মতিঝিল জোনের এডিসি মেহেদী হাসান। পুরো বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখতে এবং যে কোন ধরনের অরাজক পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মতিঝিল জোনের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন।
No comments