বিতর্কিত দ্বীপে মিয়ুং বাকের সফর-বিরোধ চরমে, রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে এনেছে জাপান
জাপান সাগরের বিতর্কিত দ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং বাকের সফরকে কেন্দ্র করে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিরোধ চরমে উঠেছে। মিয়ুং বাকের সফরের পরপরই জাপান গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ার কাছেও এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
জাপানে তাকেশিমা এবং কোরিয়ান ভাষায় দোকদো নামে পরিচিত এই দ্বীপটি নিয়ে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছে বহুদিন ধরে। দ্বীপটি দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও জাপান এর মালিকানা দাবি করে।
গতকাল শুক্রবার মিয়ুং বাক অনির্ধারিতভাবে তাকেশিমা সফরে যান। জাপান সাগরের পূর্বদিকে এই দ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর এটি। দক্ষিণ কোরিয়া ও তার সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক জাপানের মধ্যে কয়েক দশক ধরে এ ব্যাপারে বিরোধ চলছে। দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৫৪ সালে দ্বীপটিতে উপকূলীয় রক্ষীবাহিনীর একটি ঘাঁটি স্থাপন করে। তবে ঐতিহাসিক সূত্র ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এই দ্বীপ জাপানের অংশ বলে দাবি করে আসছে জাপান সরকার।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে কোরিয়ায় তাদের শাসনের অবসান হয়। আগামী ১৫ আগস্ট জাপানের আত্মসমর্পণের মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকতে তাকেশিমা সফরে গেলেন লি।
গতকাল শুক্রবার টোকিওতে সাংবাদিকদের উদ্দেশে জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোইচিরো গেমবা বলেন, 'প্রেসিডেন্ট মিয়ুং বাকের সফরে দ্বীপটির ব্যাপারে জাপানের অবস্থানের কোনো নড়চড় হবে না। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের কাছে আমরা এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমাদের নেতারা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে দূর থেকে সম্পর্ক রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও তাঁকে জানিয়েছি আমি। প্রেসিডেন্ট মিয়ুং বাক এই সময়ে কেন তাকেশিমা সফরে গেলেন, আমার কাছে তা বোধগম্য নয় বলেও জানিয়েছি আমি।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
গতকাল শুক্রবার মিয়ুং বাক অনির্ধারিতভাবে তাকেশিমা সফরে যান। জাপান সাগরের পূর্বদিকে এই দ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর এটি। দক্ষিণ কোরিয়া ও তার সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক জাপানের মধ্যে কয়েক দশক ধরে এ ব্যাপারে বিরোধ চলছে। দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৫৪ সালে দ্বীপটিতে উপকূলীয় রক্ষীবাহিনীর একটি ঘাঁটি স্থাপন করে। তবে ঐতিহাসিক সূত্র ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এই দ্বীপ জাপানের অংশ বলে দাবি করে আসছে জাপান সরকার।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে কোরিয়ায় তাদের শাসনের অবসান হয়। আগামী ১৫ আগস্ট জাপানের আত্মসমর্পণের মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকতে তাকেশিমা সফরে গেলেন লি।
গতকাল শুক্রবার টোকিওতে সাংবাদিকদের উদ্দেশে জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোইচিরো গেমবা বলেন, 'প্রেসিডেন্ট মিয়ুং বাকের সফরে দ্বীপটির ব্যাপারে জাপানের অবস্থানের কোনো নড়চড় হবে না। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের কাছে আমরা এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমাদের নেতারা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে দূর থেকে সম্পর্ক রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও তাঁকে জানিয়েছি আমি। প্রেসিডেন্ট মিয়ুং বাক এই সময়ে কেন তাকেশিমা সফরে গেলেন, আমার কাছে তা বোধগম্য নয় বলেও জানিয়েছি আমি।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments