বিরোধপূর্ণ দ্বীপ সফর করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাক গতকাল শুক্রবার জাপান সাগরে অবস্থিত এক বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জ সফর করেছেন। তাঁর এ নজিরবিহীন সফরের প্রতিবাদে জাপান সিউল থেকে তার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে। তলব করেছে টোকিওতে নিযুক্ত সিউলের রাষ্ট্রদূতকেও।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া বিরোধপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জটির মালিকানার দাবিদার। এটি উভয় দেশ থেকে মোটামুটি সমান দূরত্বে অবস্থিত। বিতর্কিত এই ভূখণ্ডটি বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
কোরীয় প্রেসিডেন্টের সফর জাপানের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। অমীমাংসিত এ বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন থেকেই গলার কাঁটার মতো হয়ে রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাকের মুখপাত্র গতকাল সকালে আকস্মিকভাবে তাঁর এ সফরের কথা ঘোষণা করেন।
দকদো বা তাকেশিমা দ্বীপপুঞ্জ আয়তনে ছোট হলেও মৎস্যশিকারের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে গ্যাসের বড় মজুদ রয়েছে বলেও ধারণা করা হয়।
১৯৫৪ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়া দ্বীপপুঞ্জটিতে তার উপকূলরক্ষী বাহিনীর ছোট একটি দল মোতায়েন রেখেছে। তবে দেশটির কোনো প্রেসিডেন্ট এবারই প্রথমবারের মতো বিতর্কিত এই ভূখণ্ড সফরে গেলেন। ইতিপূর্বে ২০০৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হ্যান সিয়ুং-সু এটি সফরে যান। তখন থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু।
জাপান সরকার কোরীয় প্রেসিডেন্টের এ সফরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জাপান সরকার নিজ রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি টোকিওতে নিযুক্ত সিউলের রাষ্ট্রদূতকেও জরুরি তলব করেছে।
এ বিষয়ে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোইচিরো গেমবা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট লি কেন এ সময় এই সফরে গেলেন, তা বোধগম্য নয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। দুই দেশের সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা উচিত।’ জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, দ্বীপপুঞ্জটি ঐতিহাসিক ও আন্তর্জাতিক আইন উভয় দিক থেকেই জাপানের নিজস্ব ভূখণ্ড। বিবিসি ও এএফপি।
কোরীয় প্রেসিডেন্টের সফর জাপানের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। অমীমাংসিত এ বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন থেকেই গলার কাঁটার মতো হয়ে রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাকের মুখপাত্র গতকাল সকালে আকস্মিকভাবে তাঁর এ সফরের কথা ঘোষণা করেন।
দকদো বা তাকেশিমা দ্বীপপুঞ্জ আয়তনে ছোট হলেও মৎস্যশিকারের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে গ্যাসের বড় মজুদ রয়েছে বলেও ধারণা করা হয়।
১৯৫৪ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়া দ্বীপপুঞ্জটিতে তার উপকূলরক্ষী বাহিনীর ছোট একটি দল মোতায়েন রেখেছে। তবে দেশটির কোনো প্রেসিডেন্ট এবারই প্রথমবারের মতো বিতর্কিত এই ভূখণ্ড সফরে গেলেন। ইতিপূর্বে ২০০৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হ্যান সিয়ুং-সু এটি সফরে যান। তখন থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু।
জাপান সরকার কোরীয় প্রেসিডেন্টের এ সফরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জাপান সরকার নিজ রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি টোকিওতে নিযুক্ত সিউলের রাষ্ট্রদূতকেও জরুরি তলব করেছে।
এ বিষয়ে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোইচিরো গেমবা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট লি কেন এ সময় এই সফরে গেলেন, তা বোধগম্য নয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। দুই দেশের সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা উচিত।’ জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, দ্বীপপুঞ্জটি ঐতিহাসিক ও আন্তর্জাতিক আইন উভয় দিক থেকেই জাপানের নিজস্ব ভূখণ্ড। বিবিসি ও এএফপি।
No comments