হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে প্রকাশিত খবর নিয়ে নিউইয়র্কেই নানা প্রশ্ন by মাহফুজুর রহমান
নিউইয়র্ক থেকে ॥ নিউইয়র্ক থেকে বিভিন্ন বাংলা সংবাদ সংস্থা, সাপ্তাহিক পত্রিকা ও ঢাকার কিছু কিছু পত্রিকার নিউইয়র্ক প্রতিনিধির পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের মধ্য দিয়ে ঢাকার মিডিয়াগুলোর নানা বিতর্কের জন্ম দেয়ার পাশাপাশি গ্রহণযোগ্যতা সঙ্কটে পড়ার কারণ হচ্ছে বিশেষ করে ঢাকার কোন
কোন দৈনিক পত্রিকা নিউইয়র্কের বরাত দিয়ে যেসব সংবাদ ছেপেছে তার তথ্য নির্ভরতা ও সঠিক সূত্র নিয়ে খোদ নিউইয়র্কেই নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদিকে নিউইয়র্কের কোন কোন পত্রিকা তো আবার এক কাঠি ওপরে উঠে ট্যাবলয়েডের ভূমিকায় নেমে যেসব কল্পকাহিনী রচনা করে চলছে তাকে নিছক বাণিজ্য ছাড়া কিছু মনে করছেন না প্রবাসীরা।
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু সংবাদ আসলে সাধারণ কোন মানুষের মৃত্যু সংবাদের পর্যায়ে পড়ে না। কিন্তু তাই বলে তা ‘বাণিজ্য সংবাদ’-এ পরিণত হবে তা কেউ ভাবতে পারেননি। অথচ বাস্তবে তাই ঘটছে। নিউইয়র্কের পত্রিকাগুলো বা এখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হুমায়ূনের মৃত্যুপরবর্তী সংবাদগুলোতে যেভাবে বিভিন্ন চমক লাগানো তথ্য দেয়া হয়েছে বা এখনও হচ্ছে তার অনেকটাই মনগড়া বলে প্রমাণিত হচ্ছে। কারণ তার চিকিৎসা সংক্রান্ত ও চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে বিভিন্ন তথ্যগুলোর সত্যতা কতটুকু তা এখন প্রশ্নের মুখোমুখি।
কারণ এখানে আসলেই কারও চিকিৎসা শেষ হবার এক-দেড় মাস আগে কোনভাবেই জানা সম্ভব না পুরো চিকিৎসা ব্যয় কত? আবার তা যদি সরকারী ইন্স্যুরেন্সে হয় সে ক্ষেত্রে তো তা জানতে মাস দুই তিন লেগে যায়। কারণ হাসপাতাল যদি কোন রোগীর জন্য ধরা যাক তিন লাখ ডলার বিল করল তার মানে এই নয় যে সেটা তিন লাখই হবে। সেক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে সেটা একলক্ষ বা তার কিছু বেশি নির্ধারণ করতে পারে এবং সেটাই প্রকৃত ব্যয় হতে পারে।
এ ছাড়া ঢাকার পত্রপত্রিকায় হুমায়ূনের চিকিৎসা প্রসঙ্গে কোন কোন রিপোর্টে তার মিথ্যা তথ্য দিয়ে মেডিকেইড বা ইন্স্যুরেন্স নেয়ার যে তথ্য দেয়া হয়েছে তাও প্রশ্নের মুখোমখি হচ্ছে নিউইয়র্কে। কারণ যারা এসব বিষয়ে জানেন তাদের কথা হুমায়ূন এখানে এসেছিলেন বিদেশী নাগরিক হিসেবে চিকিৎসা করাতে, তার এখানে থাকার বৈধ কাগজপত্র (ন্যূনতম গ্রীনকার্ড) ছিল না, তাই তার পক্ষে এখানকার সরকারী স্বাস্থ্য বীমা করার বিষয়টি তথ্যনির্ভর নয়। তবে বিশেষজ্ঞ মহল বলছে যে আমেরিকার নাগরিক অধিকারের যে নীতিমালা আছে তাতে যে কেউ সামান্য ২০ ডলার দিয়ে যে কোন হাসপাতালের আউট পেসেন্ট হিসেবে চিকিৎসা নিতে পারেন এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যে কোন জটিল রোগের নিরাময় করতে পারেন। আর চিকিৎসা শেষে তার নামে তার ঠিকানায় বিল পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল। সম্ভবত হুমায়ূনের বেলায় সেটাই অনুসরণ করা হয়েছে।
অবশ্য হুয়ায়ূনের চিকিৎসা ও তাকে নিয়ে অতিরিক্ত বিতর্ক সৃষ্টির পেছনে তার সুহৃদ প্রকাশক মাজহারের কিছু আচরন দায়ী বলে মনে করেন এখানকার সুধী মহল। মাজহার কখনই এখানকার সাংবাদিকদের সঠিক বা প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ না করে নিজেই ঢাকার কোন কোন পত্রিকায় সংবাদদাতা হিসেবে তথ্য সরবরাহ করেছেন এবং তার পাঠানো তথ্যে কখনোই এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হুমায়ূনের শারীরিক অবস্থার প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি। এটি সবার কাছে এখনও রহস্যময় বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ ছাড়া নিউইয়র্কে হুমায়ূনের কোন কোন স্বজন এখানকার সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অযথা বিড়ম্বনা সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের সঙ্গে অনভিপ্রেত আচরণও করেছেন। এসব ঘটনা হুমায়ূনের মৃত্যুপরবর্তী সংবাদ প্রচারে নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করছে অভিজ্ঞ মহল।
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু সংবাদ আসলে সাধারণ কোন মানুষের মৃত্যু সংবাদের পর্যায়ে পড়ে না। কিন্তু তাই বলে তা ‘বাণিজ্য সংবাদ’-এ পরিণত হবে তা কেউ ভাবতে পারেননি। অথচ বাস্তবে তাই ঘটছে। নিউইয়র্কের পত্রিকাগুলো বা এখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হুমায়ূনের মৃত্যুপরবর্তী সংবাদগুলোতে যেভাবে বিভিন্ন চমক লাগানো তথ্য দেয়া হয়েছে বা এখনও হচ্ছে তার অনেকটাই মনগড়া বলে প্রমাণিত হচ্ছে। কারণ তার চিকিৎসা সংক্রান্ত ও চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে বিভিন্ন তথ্যগুলোর সত্যতা কতটুকু তা এখন প্রশ্নের মুখোমুখি।
কারণ এখানে আসলেই কারও চিকিৎসা শেষ হবার এক-দেড় মাস আগে কোনভাবেই জানা সম্ভব না পুরো চিকিৎসা ব্যয় কত? আবার তা যদি সরকারী ইন্স্যুরেন্সে হয় সে ক্ষেত্রে তো তা জানতে মাস দুই তিন লেগে যায়। কারণ হাসপাতাল যদি কোন রোগীর জন্য ধরা যাক তিন লাখ ডলার বিল করল তার মানে এই নয় যে সেটা তিন লাখই হবে। সেক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে সেটা একলক্ষ বা তার কিছু বেশি নির্ধারণ করতে পারে এবং সেটাই প্রকৃত ব্যয় হতে পারে।
এ ছাড়া ঢাকার পত্রপত্রিকায় হুমায়ূনের চিকিৎসা প্রসঙ্গে কোন কোন রিপোর্টে তার মিথ্যা তথ্য দিয়ে মেডিকেইড বা ইন্স্যুরেন্স নেয়ার যে তথ্য দেয়া হয়েছে তাও প্রশ্নের মুখোমখি হচ্ছে নিউইয়র্কে। কারণ যারা এসব বিষয়ে জানেন তাদের কথা হুমায়ূন এখানে এসেছিলেন বিদেশী নাগরিক হিসেবে চিকিৎসা করাতে, তার এখানে থাকার বৈধ কাগজপত্র (ন্যূনতম গ্রীনকার্ড) ছিল না, তাই তার পক্ষে এখানকার সরকারী স্বাস্থ্য বীমা করার বিষয়টি তথ্যনির্ভর নয়। তবে বিশেষজ্ঞ মহল বলছে যে আমেরিকার নাগরিক অধিকারের যে নীতিমালা আছে তাতে যে কেউ সামান্য ২০ ডলার দিয়ে যে কোন হাসপাতালের আউট পেসেন্ট হিসেবে চিকিৎসা নিতে পারেন এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যে কোন জটিল রোগের নিরাময় করতে পারেন। আর চিকিৎসা শেষে তার নামে তার ঠিকানায় বিল পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল। সম্ভবত হুমায়ূনের বেলায় সেটাই অনুসরণ করা হয়েছে।
অবশ্য হুয়ায়ূনের চিকিৎসা ও তাকে নিয়ে অতিরিক্ত বিতর্ক সৃষ্টির পেছনে তার সুহৃদ প্রকাশক মাজহারের কিছু আচরন দায়ী বলে মনে করেন এখানকার সুধী মহল। মাজহার কখনই এখানকার সাংবাদিকদের সঠিক বা প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ না করে নিজেই ঢাকার কোন কোন পত্রিকায় সংবাদদাতা হিসেবে তথ্য সরবরাহ করেছেন এবং তার পাঠানো তথ্যে কখনোই এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হুমায়ূনের শারীরিক অবস্থার প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি। এটি সবার কাছে এখনও রহস্যময় বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ ছাড়া নিউইয়র্কে হুমায়ূনের কোন কোন স্বজন এখানকার সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অযথা বিড়ম্বনা সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের সঙ্গে অনভিপ্রেত আচরণও করেছেন। এসব ঘটনা হুমায়ূনের মৃত্যুপরবর্তী সংবাদ প্রচারে নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করছে অভিজ্ঞ মহল।
No comments