সরকারি আজিজুল হক কলেজ- ৩৩ পদ শূন্য, চার বিভাগ চলছে অতিথি শিক্ষকে by আনোয়ার পারভেজ
বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে ৩৩ শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এ কারণে কলেজের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষকস্বল্পতার কারণে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কলেজের চারটি বিভাগের স্নাতক সম্মান শ্রেণীর পাঠদান চলছে অন্য বিভাগে ‘অতিথি শিক্ষক’ দিয়ে।
ওই চার বিভাগে অতিরিক্ত পদ সৃষ্টির জন্য কলেজের পক্ষ থেকে দেড় বছর আগে আবেদন পাঠানো হলেও বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ঝুলে আছে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষক-সংকটসহ সব সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে এ জন্য একটু সময় লাগবে। কারণ, চাইলেই শিক্ষক-সংকটের সমাধান দেওয়া সম্ভব নয়। শিক্ষক নিয়োগ দিতে বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ লাগে। অর্থ পাওয়া গেলেও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিতে সময় লাগে।’
কলেজ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কলেজে বর্তমানে ২৩টি বিষয়ে স্নাতক সম্মান কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, মার্কেটিং, ইসলামী শিক্ষা ও সমাজকর্ম বাদে অবশিষ্ট ১৯ বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও উচ্চমাধ্যমিক মিলে বর্তমানে কলেজে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪৫ হাজারেও বেশি। অথচ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক স্বল্পতা বর্তমানে প্রকট আকার ধারণ করেছে।
কলেজ সূত্র জানায়, বর্তমানে এ কলেজে ৭৫ জন প্রভাষক, ৫৪ জন সহকারী অধ্যাপক, ৩৭ জন সহযোগী অধ্যাপক ও ১৮ জন অধ্যাপকসহ ১৮৬ শিক্ষকের পদ রয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন প্রভাষক, আটজন সহকারী অধ্যাপক, ছয়জন সহযোগী অধ্যাপক ও পাঁচজন অধ্যাপকসহ ৩৩ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষে এ কলেজে নতুন করে চারটি পদে স্নাতক সম্মান কোর্স খোলা হয়। প্রতিটি বিভাগে ৫০ জন শিক্ষার্থী দিয়ে ওই সময়ে সম্মান কোর্স চালু করা হলেও বর্তমানে চার বছরের ব্যবধানে প্রতিটি বিষয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা গড়ে প্রায় ২৫০। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেলেও বাড়েনি শিক্ষকের পদসংখ্যা।
কলেজের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান শামসুল আলম প্রথম আলোকে জানান, এ বিভাগে বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২৫০। অথচ শিক্ষকের অনুমোদিত পদ মাত্র দুজন। সুষ্ঠু পাঠদানের স্বার্থে বাণিজ্য বিভাগের সংযুক্ত অন্য বিভাগের ‘অতিথি শিক্ষক’ দিয়ে চালাতে হচ্ছে। এর পরও প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করেছে। ফিন্যান্স বিভাগের প্রধান বেনজীর রিজভী বলেন, মাত্র দুজন শিক্ষক দিয়ে চলছে এ বিভাগ। চার বছর ধরেই অন্য বিভাগের অতিথি শিক্ষক দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। তার পরও স্নাতকে প্রথম শ্রেণীসহ তাক লাগানো ফলাফল করেছে শিক্ষার্থীরা। ইসলামী শিক্ষা বিভাগের প্রধান আবদুর রশীদ বলেন, নতুনভাবে সম্মান কোর্স চালু হওয়া চার বিষয়ে স্নাতকোত্তর খোলার জন্য কলেজের ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি পদ বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হয়। কিন্তু দেড় বছরেও এ ব্যপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
কলেজের অধ্যক্ষ দীপকেন্দ্র নাথ দাস প্রথম আলোকে বলেন, ৩৩ শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে। সংযুক্ত বিষয়ের অতিথি শিক্ষক দিয়ে চালাতে হচ্ছে চার বিভাগের পাঠদান। তার পরও ওই চার বিভাগের শিক্ষার্থীরা সম্মান শ্রেণীতে ঈর্ষণীয় ফলাফল করেছে। বর্ধিত পদের অনুমোদন চেয়ে দেড় বছর আগে আবেদন দেওয়া হয়েছে। বর্ধিত পদেও অনুমোদন না দেওয়া হলেও শুধু স্নাতকোত্তর পড়ানোর অনুমতি দেওয়া হলে অতিথি শিক্ষক দিয়ে আরও ভালো ফলাফল করার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষক-সংকটসহ সব সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে এ জন্য একটু সময় লাগবে। কারণ, চাইলেই শিক্ষক-সংকটের সমাধান দেওয়া সম্ভব নয়। শিক্ষক নিয়োগ দিতে বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ লাগে। অর্থ পাওয়া গেলেও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিতে সময় লাগে।’
কলেজ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কলেজে বর্তমানে ২৩টি বিষয়ে স্নাতক সম্মান কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, মার্কেটিং, ইসলামী শিক্ষা ও সমাজকর্ম বাদে অবশিষ্ট ১৯ বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও উচ্চমাধ্যমিক মিলে বর্তমানে কলেজে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪৫ হাজারেও বেশি। অথচ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক স্বল্পতা বর্তমানে প্রকট আকার ধারণ করেছে।
কলেজ সূত্র জানায়, বর্তমানে এ কলেজে ৭৫ জন প্রভাষক, ৫৪ জন সহকারী অধ্যাপক, ৩৭ জন সহযোগী অধ্যাপক ও ১৮ জন অধ্যাপকসহ ১৮৬ শিক্ষকের পদ রয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন প্রভাষক, আটজন সহকারী অধ্যাপক, ছয়জন সহযোগী অধ্যাপক ও পাঁচজন অধ্যাপকসহ ৩৩ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষে এ কলেজে নতুন করে চারটি পদে স্নাতক সম্মান কোর্স খোলা হয়। প্রতিটি বিভাগে ৫০ জন শিক্ষার্থী দিয়ে ওই সময়ে সম্মান কোর্স চালু করা হলেও বর্তমানে চার বছরের ব্যবধানে প্রতিটি বিষয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা গড়ে প্রায় ২৫০। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেলেও বাড়েনি শিক্ষকের পদসংখ্যা।
কলেজের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান শামসুল আলম প্রথম আলোকে জানান, এ বিভাগে বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২৫০। অথচ শিক্ষকের অনুমোদিত পদ মাত্র দুজন। সুষ্ঠু পাঠদানের স্বার্থে বাণিজ্য বিভাগের সংযুক্ত অন্য বিভাগের ‘অতিথি শিক্ষক’ দিয়ে চালাতে হচ্ছে। এর পরও প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করেছে। ফিন্যান্স বিভাগের প্রধান বেনজীর রিজভী বলেন, মাত্র দুজন শিক্ষক দিয়ে চলছে এ বিভাগ। চার বছর ধরেই অন্য বিভাগের অতিথি শিক্ষক দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। তার পরও স্নাতকে প্রথম শ্রেণীসহ তাক লাগানো ফলাফল করেছে শিক্ষার্থীরা। ইসলামী শিক্ষা বিভাগের প্রধান আবদুর রশীদ বলেন, নতুনভাবে সম্মান কোর্স চালু হওয়া চার বিষয়ে স্নাতকোত্তর খোলার জন্য কলেজের ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি পদ বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হয়। কিন্তু দেড় বছরেও এ ব্যপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
কলেজের অধ্যক্ষ দীপকেন্দ্র নাথ দাস প্রথম আলোকে বলেন, ৩৩ শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে। সংযুক্ত বিষয়ের অতিথি শিক্ষক দিয়ে চালাতে হচ্ছে চার বিভাগের পাঠদান। তার পরও ওই চার বিভাগের শিক্ষার্থীরা সম্মান শ্রেণীতে ঈর্ষণীয় ফলাফল করেছে। বর্ধিত পদের অনুমোদন চেয়ে দেড় বছর আগে আবেদন দেওয়া হয়েছে। বর্ধিত পদেও অনুমোদন না দেওয়া হলেও শুধু স্নাতকোত্তর পড়ানোর অনুমতি দেওয়া হলে অতিথি শিক্ষক দিয়ে আরও ভালো ফলাফল করার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া হবে।
No comments