‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট’ গঠন করলেন নাজমুল হুদা- কমিটি হবে নির্বাচনী আসনভিত্তিক
নির্বাচনে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট’ (বিএনএফ) নামে রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তান হোটেল ইম্পেরিয়ালে এ দল গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়।
জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের আহ্বায়কও হয়েছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন স্থায়ী কমিটির সদস্য নাজমুল হুদা। দল গঠনের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন করেন। এই ফ্রন্ট থেকেই জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পরে বিএনপি গঠন করা হয়। নাজমুল হুদা বলেন, জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট এতদিন সুপ্ত ছিল। আমি সেই ফ্রন্টকে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা করলাম। এ সময় আরও জানানো হয়, এ দলটি গতানুগতিক অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো হবে না। নতুন এ দলের কমিটি হবে নির্বাচনী আসনভিত্তিক। অর্থাৎ ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি হবে। জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড ভিত্তিক কোন কমিটি হবে না।
নাজমুল হুদা আরও জানান, তাঁর দল আগামী নির্বাচনে তিন শ’ আসনেই প্রার্থী দেবে। বিএনএফ-এর ২১ সমস্য বিশিষ্ট স্টিয়ারিং কমিটি থাকবে। জাতীয় নির্বাহী কমিটি হবে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট। তবে নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই করবে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি।
নাজমুল হুদা বলেন, আমরা মনে করি একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে। অন্য কোন ভাবে নয়। আমরা রাজনৈতিক ধারণায় গুণগত পরিবর্তন আনতে চাই। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে সকল দলের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন হতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে কমিশনের হাতেই নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে আগামী ৭ নবেম্বর। উল্লেখ্য, বিএনপি ৭ নবেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা শাখার সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে নাজমুল হুদা তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। যদিও ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা দেয়ায় তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরে যেতে হয়। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হুদা। ২০১০ সালের ২১ নবেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হন। ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে আবারও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেয়া হয়। চলতি বছরের ২৩ মে এক সংবাদ সম্মেলন করে শেখ হাসিনাকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানাতে খালেদা জিয়াকে আল্টিমেটাম দেন তিনি। পরে ৬ জুন বিএনপি থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠান। ওইদিনই তিনি নতুন দল গঠনের ইঙ্গিত দেন।
উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমানের সময় গঠিত জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টে জাগদল, মুসলিম লীগ, ন্যাপ-ভাসানী, ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ইউপিপি), লেবার পার্টিসহ কয়েকটি দল ছিল।
নাজমুল হুদা আরও জানান, তাঁর দল আগামী নির্বাচনে তিন শ’ আসনেই প্রার্থী দেবে। বিএনএফ-এর ২১ সমস্য বিশিষ্ট স্টিয়ারিং কমিটি থাকবে। জাতীয় নির্বাহী কমিটি হবে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট। তবে নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই করবে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি।
নাজমুল হুদা বলেন, আমরা মনে করি একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে। অন্য কোন ভাবে নয়। আমরা রাজনৈতিক ধারণায় গুণগত পরিবর্তন আনতে চাই। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে সকল দলের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন হতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে কমিশনের হাতেই নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে আগামী ৭ নবেম্বর। উল্লেখ্য, বিএনপি ৭ নবেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা শাখার সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে নাজমুল হুদা তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। যদিও ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা দেয়ায় তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরে যেতে হয়। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হুদা। ২০১০ সালের ২১ নবেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হন। ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে আবারও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেয়া হয়। চলতি বছরের ২৩ মে এক সংবাদ সম্মেলন করে শেখ হাসিনাকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানাতে খালেদা জিয়াকে আল্টিমেটাম দেন তিনি। পরে ৬ জুন বিএনপি থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠান। ওইদিনই তিনি নতুন দল গঠনের ইঙ্গিত দেন।
উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমানের সময় গঠিত জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টে জাগদল, মুসলিম লীগ, ন্যাপ-ভাসানী, ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ইউপিপি), লেবার পার্টিসহ কয়েকটি দল ছিল।
No comments