জাবি ছাত্রলীগের আট নেতা আজ বহিষ্কার হচ্ছেন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গত ২৮ এপ্রিল ছাত্রলীগের হাতে ছয় সাংস্কৃতিক কর্মী প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের আট এবং সাংস্কৃতিক জোটের দুই নেতাসহ ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং শাস্তির সুপারিশ ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে
জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন সিন্ডিকেটের এজেন্ডাভুক্ত করা হয়েছে এবং আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।
এদিকে তদন্ত কমিটির এই প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সাংস্কৃতিক জোট ও ছাত্রলীগের উভয় পক্ষ। হামলার ঘটনায় সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া অনুমানের ভিত্তিতে একপেশে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ নেতারা এ প্রতিবেদনকে মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান। অন্যদিকে তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীদের নির্দোষ দাবি করেছেন জোটের নেতারা। এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে জোটের সভাপতি কলি মাহমুদ বলেন, 'এ কেমন বিচার, আমাদের মারা হলো আবার আমাদেরই বহিষ্কার করা হচ্ছে।' তিনি এ প্রতিবেদনকে প্রহসনমূলক দাবি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সূত্রে জানা গেছে, সাংস্কৃতিক কর্মী মারধরের ঘটনায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মুস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক খালেদ হোসাইন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার শিক্ষা-১ মোহাম্মদ আলী। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, কমিটি সর্বসাকল্যে ১৯টি সভার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির সুপারিশ করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ছাত্রলীগের আটজন এবং সাংস্কৃতিক জোটের দুজনের বিরুদ্ধে তিন ক্যাটাগরিতে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে ছাত্রলীগ নেতা এস এম মাহাতাব মেহেদী সম্রাট (অর্থনীতি বিভাগ, ৩৬তম ব্যাচ), জাহাঙ্গীর আলম অর্ণব (বাংলা বিভাগ, ৩৭তম ব্যাচ) ও সাইফুর রহমান শাকিলকে (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, ৩৬তম ব্যাচ)। ছয় মাসের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুর রহমান জনি (পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ, ৩৬তম ব্যাচ), মিঠুন কুণ্ডু (বিবিএ প্রোগ্রাম, ৩৮তম ব্যাচ) ও এম জি রাব্বী রানাকে (দর্শন বিভাগ, ৩৭তম ব্যাচ)। তিন মাসের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে শেখ শরিফুল ইসলাম (প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এমফিল গবেষক) ও ফেরদৌস আহমেদকে (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, ৩৭তম ব্যাচ)। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি কায়দায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে মশাল মিছিল, সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল করার নেতৃত্ব দেওয়ায় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি কলি মাহমুদ ও সহসভাপতি শেখ মইনুল ইসলাম কার্তিককে তিন মাসের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবিরের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমাজের আন্দোলন চলাকালে গত ২৮ এপ্রিল নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের গোপন মিটিং করার অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছয় সাংস্কৃতিক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে।
এদিকে তদন্ত কমিটির এই প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সাংস্কৃতিক জোট ও ছাত্রলীগের উভয় পক্ষ। হামলার ঘটনায় সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া অনুমানের ভিত্তিতে একপেশে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ নেতারা এ প্রতিবেদনকে মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান। অন্যদিকে তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীদের নির্দোষ দাবি করেছেন জোটের নেতারা। এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে জোটের সভাপতি কলি মাহমুদ বলেন, 'এ কেমন বিচার, আমাদের মারা হলো আবার আমাদেরই বহিষ্কার করা হচ্ছে।' তিনি এ প্রতিবেদনকে প্রহসনমূলক দাবি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সূত্রে জানা গেছে, সাংস্কৃতিক কর্মী মারধরের ঘটনায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মুস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক খালেদ হোসাইন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার শিক্ষা-১ মোহাম্মদ আলী। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, কমিটি সর্বসাকল্যে ১৯টি সভার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির সুপারিশ করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ছাত্রলীগের আটজন এবং সাংস্কৃতিক জোটের দুজনের বিরুদ্ধে তিন ক্যাটাগরিতে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে ছাত্রলীগ নেতা এস এম মাহাতাব মেহেদী সম্রাট (অর্থনীতি বিভাগ, ৩৬তম ব্যাচ), জাহাঙ্গীর আলম অর্ণব (বাংলা বিভাগ, ৩৭তম ব্যাচ) ও সাইফুর রহমান শাকিলকে (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, ৩৬তম ব্যাচ)। ছয় মাসের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুর রহমান জনি (পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ, ৩৬তম ব্যাচ), মিঠুন কুণ্ডু (বিবিএ প্রোগ্রাম, ৩৮তম ব্যাচ) ও এম জি রাব্বী রানাকে (দর্শন বিভাগ, ৩৭তম ব্যাচ)। তিন মাসের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে শেখ শরিফুল ইসলাম (প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এমফিল গবেষক) ও ফেরদৌস আহমেদকে (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, ৩৭তম ব্যাচ)। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি কায়দায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে মশাল মিছিল, সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল করার নেতৃত্ব দেওয়ায় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি কলি মাহমুদ ও সহসভাপতি শেখ মইনুল ইসলাম কার্তিককে তিন মাসের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবিরের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমাজের আন্দোলন চলাকালে গত ২৮ এপ্রিল নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের গোপন মিটিং করার অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছয় সাংস্কৃতিক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে।
No comments