উদার ইসলামপন্থী মাগারিফ লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট

গাদ্দাফি শাসনামলের বিরোধীদলীয় নেতা মোহাম্মেদ মাগারিফকে লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদ। ন্যাশনাল ফ্রন্ট পার্টির এই নেতা উদার ইসলামপন্থী হিসেবে পরিচিত। জাতীয় পরিষদে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হন তিনি।


মাগারিফ ২০০ সদস্যের জাতীয় পরিষদের প্রধান হবেন। তাঁর নেতৃত্বে এই পরিষদ নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন, আইন প্রণয়ন এবং নতুন সংবিধান প্রণয়ন শেষে আগামী বছর পূর্ণ পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে।
গত বুধবার রাতে জাতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ (এনটিসি) জাতীয় পরিষদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরেই এর সদস্যরা বৈঠকে বসেন। এদিন জাতীয় পরিষদে ভোটে মাগারিফের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী জিদান। মাগারিফ ভোট পান ১১৩টি আর জিদান পান ৮৫টি। জিদানও উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত। প্রথম দফা ভোটে কেউই প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা ভোটে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। ৭২ বছর বয়সী অর্থনীতিবিদ মাগারিফ একসময় ভারতে লিবীয় রাষ্ট্রদূত ছিলেন। কিন্তু ১৯৮০-র দশক থেকে তিনি নির্বাসিত জীবনযাপন করেন। লিবিয়ার সবচেয়ে পুরনো সরকারবিরোধী আন্দোলন 'দ্য ন্যাশনাল ফ্রন্ট ফর দ্য সালভেশন অব লিবিয়া'র অন্যতম নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। এই আন্দোলন মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসন অবসানে বেশ কয়েক দফা চেষ্টা চালায়।
মাগারিফের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট পার্টি চলতি বছরের ৭ জুলাই জাতীয় নির্বাচনে তিনটি আসনে জয়ী হয়। লিবিয়ার আধুনিক সময়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছিল এটি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মাগারিফ বলেন, 'আমি খুব আনন্দিত। এ এক বিশাল দায়িত্ব।' মাগারিফকে অভিনন্দন জানিয়ে আলি জিদান বলেন, 'এটিই গণতন্ত্র। এর স্বপ্নই আমরা দেখেছিলাম।'
মাগারিফ সম্পর্কে লিবিয়ার সাবেক অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ এনটিসির কর্মকর্তা ওথমান সাশি বলেন, 'তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সবাই তাঁকে চেনে। জাতীয় পরিষদ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দেওয়ার খুব ভালো অভিজ্ঞতা আছে তাঁর।' সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.