রাজশাহীতে সোয়া কিমি সড়কের কাজ আট বছরেও শেষ হয়নি
রাজশাহী নগরের গৌরহাঙ্গা রেলগেট-সাহেববাজার সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের নকশা অনুমোদনের সাত বছর পর কাজ শুরু হয়। মাত্র ১০ শতাংশ কাজ করার পর নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে গত মে মাসে ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে গেছেন। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে রাখায় কাদাপানি জমে জনগণের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। অবস্থা এতই খারাপ যে ওই সড়ক দিয়ে রিকশাচালকেরাও যাত্রী নিয়ে যেতে চান না।
রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) সূত্রে জানা গেছে, শহরের যানজট সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে ২০০৪ সালের এক হাজার ২০০ মিটার দীর্ঘ এই সড়কের নকশা অনুমোদন করা হয়। এর পাঁচ বছর পর ২০০৯ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। ওই সময় প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ১৬ কোটি টাকা, নির্মাণকাজের জন্য সাত কোটি এবং আনুষঙ্গিক খরচের জন্য দুই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। তবে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় ওই সময় আর কাজ শুরু করা যায়নি। পরে বরাদ্দ বাড়ানোয় জমি অধিগ্রহণ করার সমস্যার সমাধান হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের দিকে আরডিএ নকশা পরিবর্তন করে তিনটি বাঁক রাখার প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নগরবাসী আন্দোলনে নামে। আন্দোলনের মুখে কর্তৃপক্ষ পরিবর্তিত অবস্থান থেকে সরে আসে। এসব কারণে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। অবশেষে ২০১১ সালের নভেম্বর সড়কের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু গত মে মাসে সড়কের ১০ শতাংশ কাজ শেষ করেই নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স কবির হোসেন এন্টারপ্রাইজ’ কাজ ফেলে চলে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খানাখন্দে ভরা এই রাস্তায় কাদাপানি জমে একাকার হয়ে আছে। নগরের নিউমার্কেট থেকে অলকার মোড় এলাকা পর্যন্ত অধিগ্রহণ করা অংশে বালু আর খোয়া দিয়ে রাস্তা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের লাইন। এগুলো এখনো সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এই অংশে উঁচু-নিচু খাদের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আর পুরোনো অংশে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে তা কাদাপানিতে ডুবে আছে। এখন এ রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলাচল করতেই সমস্যা হচ্ছে।
গোদাগাড়ি উপজেলার কাকনহাট এলাকার রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এ রাস্তায় তাঁদের দুর্ভোগের শেষ নেই। কখনো রিকশার স্পোক আবার কখনো রিং বসে যায়। তাই তিনি এই সড়কে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে চান না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক কবির হোসেন বলেন, যখন কার্যাদেশ দেওয়া হয়, তখন প্রতি ব্যারেল বিটুমিনের দাম ছিল সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে ১১ হাজার টাকা হয়েছে। এ ছাড়া ৩৭ টাকা কেজির রডের দাম বেড়ে ৬০, প্রতি হাজার ইটের দাম চার হাজার টাকা থেকে বেড়ে ছয় হাজার এবং প্রতি ঘনফুট পাথরের দাম ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ টাকা হয়েছে। তিনি বলেন, এ অবস্থায় যে পরিমাণ কাজ করেছেন, তাতে তাঁর প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আরডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক কবির হোসেন আরডিএ চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ায় আগের দরে তাঁর পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ওই চিঠি পাওয়ার পরে ঠিকাদারের জামানত বাতিল করে গত ৩০ জুলাই নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট দরপত্র জমা নেওয়া হবে। এ ছাড়া রাস্তার মাঝখানের বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের লাইন সরানোর কাজ বাকি রয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী বছর জুনের মধ্যে রাস্তার কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের দিকে আরডিএ নকশা পরিবর্তন করে তিনটি বাঁক রাখার প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নগরবাসী আন্দোলনে নামে। আন্দোলনের মুখে কর্তৃপক্ষ পরিবর্তিত অবস্থান থেকে সরে আসে। এসব কারণে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। অবশেষে ২০১১ সালের নভেম্বর সড়কের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু গত মে মাসে সড়কের ১০ শতাংশ কাজ শেষ করেই নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স কবির হোসেন এন্টারপ্রাইজ’ কাজ ফেলে চলে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খানাখন্দে ভরা এই রাস্তায় কাদাপানি জমে একাকার হয়ে আছে। নগরের নিউমার্কেট থেকে অলকার মোড় এলাকা পর্যন্ত অধিগ্রহণ করা অংশে বালু আর খোয়া দিয়ে রাস্তা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের লাইন। এগুলো এখনো সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এই অংশে উঁচু-নিচু খাদের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আর পুরোনো অংশে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে তা কাদাপানিতে ডুবে আছে। এখন এ রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলাচল করতেই সমস্যা হচ্ছে।
গোদাগাড়ি উপজেলার কাকনহাট এলাকার রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এ রাস্তায় তাঁদের দুর্ভোগের শেষ নেই। কখনো রিকশার স্পোক আবার কখনো রিং বসে যায়। তাই তিনি এই সড়কে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে চান না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক কবির হোসেন বলেন, যখন কার্যাদেশ দেওয়া হয়, তখন প্রতি ব্যারেল বিটুমিনের দাম ছিল সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে ১১ হাজার টাকা হয়েছে। এ ছাড়া ৩৭ টাকা কেজির রডের দাম বেড়ে ৬০, প্রতি হাজার ইটের দাম চার হাজার টাকা থেকে বেড়ে ছয় হাজার এবং প্রতি ঘনফুট পাথরের দাম ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ টাকা হয়েছে। তিনি বলেন, এ অবস্থায় যে পরিমাণ কাজ করেছেন, তাতে তাঁর প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আরডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক কবির হোসেন আরডিএ চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ায় আগের দরে তাঁর পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ওই চিঠি পাওয়ার পরে ঠিকাদারের জামানত বাতিল করে গত ৩০ জুলাই নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট দরপত্র জমা নেওয়া হবে। এ ছাড়া রাস্তার মাঝখানের বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের লাইন সরানোর কাজ বাকি রয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী বছর জুনের মধ্যে রাস্তার কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
No comments