দেহ আলপনা
লো-কাট কুর্তির ফাঁক দিয়ে উঁকি মারছে ঘাড়ের কিম্বা কাঁধের তারা। কিংবা কলার বোনের নিচে রঙিন একটি প্রজাপতি। আবার কারও ক্যাপ্রির নিচে গোড়ালি থেকে একটু উপরে একটি নীল পরী। কিংবা হাতে কোনও অলঙ্কার নয়; কব্জির উপরে এরকমই কোনও পছন্দসই আঁকিবুকি। জেনারেশন এক্স, ওয়াইয়ের কাছে এই আঁকিবুকিই হয়ে উঠেছে প্রকাশের মাধ্যম। পোশাকি নাম ট্যাটু। আসল মানেটা হলো ‘মার্ক’।
ট্যাটু নামের এই জিনিসটি বর্তমানে ফ্যাশন জগতে সাড়া ফেললেও, আসলে এই ট্যাটু কিন্তু কয়েক হাজার বছরের পুরনো। ট্যাটু নামটারও রয়েছে উৎসের ইতিহাস। কিন্তু ইতিহাসের এক ধরনের প্রথা বর্তমানে ফ্যাশন জগতের নতুন আর এক নাম।
ইতিহাস বলছে, এই ট্যাটুর প্রথম প্রচলন কোথায়, কবে, কীভাবে হয়েছে, সে সম্পর্কে মতামত অনেক। ইতিহাস বলছে, শতাব্দী প্রাচীন এই ট্যাটু পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের আদিবাসীদের কাছেও খুব জনপ্রিয় ছিল। রাজা থেকে সাধারণ প্রাচীন ইজিপ্ট, গ্রিনল্যান্ড, সাইবেরিয়া, নিউজিল্যান্ড-সর্বত্রই এই ট্যাটুর প্রচলন ছিল বলে জানা যা। এটি প্রায় ৩০০০ থেকে ২০০০ বিসির কথা। বলা হয়, ৩০০০ বিসির এক মমির দেহে ইতিহাসবিদরা এই ধরনের মার্ক আবিষ্কার করেন। ইতিহাস আরও বলে, পরে ১৭৬৯ সালে ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন জেমস কুক সাউথ প্যাসিফিকে জাহাজের নাবিক এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই ট্যাটু দেখতে পান। এদের কাছ থেকেই ইউরোপ এবং আমেরিকায় ফ্যাশন হিসেবে ট্যাটু ছড়িয়ে পড়ে।
এক সময় বিভিন্ন জাতি নিজেদের আলাদা করে চিহ্নিত করতে সকলে একই ধরনের ট্যাটু নিজেদের শরীরে আঁকত। আবার নাৎজিদের আলাদা করে চিহ্নিত করতে হিটলার তাদের হাতে জোর করে এক ধরনের মার্ক করে ট্যাটু আঁকান বলে জানা যায়। এক একসময় ট্যাটুর প্রচলন আলাদা ভাবে প্রয়োগ হলেও আশি এবং নব্বইয়ের দশকে ইউরোপ এবং আমেরিকায় ট্যাটু ফ্যাশন হিসাবে নতুন করে জায়গা করে নেয়। আরও একটু পরে হয়ে ওঠে লেটেস্ট ফ্যাশন বা স্টাইলের মাধ্যম।
শুধু কি তাই! ফ্যাশন জগৎ এবং প্রযুক্তির উন্নতিতে ট্যাটু আঁকার ধরনও বদলে গিয়েছে। আগে বিভিন্ন দেশের আদিবাসীদের মধ্যে পশুর হাড়, কিংবা বাঁশের সরু ফালি কিংবা নানা ধারাল জিনিস দিয়ে স্কিনের উপর কেটে কেটে ডিজাইন তৈরি করা হত। কোথাও পুরো মুখে, কিংবা শরীর জুড়ে এই ট্যাটুর প্রচলন থাকলেও, বিংশ, একবিংশ শতাব্দীতে এই ট্যাটু ‘আর্টের’ জন্ম দিয়েছে। ট্যাটু হয়ে উঠেছে ফ্যাশনের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে ট্রেন্ডি। আকর্ষণ বেড়েছে কলেজ পড়ুয়া তরুণ-তরুণী থেকে সেলেব সকলের কাছেই।
কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম ঠিক কী ধরনের ট্যাটু চাইছে?
শুধু কোনও চিহ্নতে আর থমকে থাকতে চাইছে না জেন এক্স কিংবা ওয়াইয়ের যৌবন। মত প্রকাশের জন্য বিভিন্ন লেখা ফুটিয়ে তুলছে শরীরে। কেউ বিদেশি ভাষাকেও ব্যবহার করছে প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে। বিশেষ করে চাইনিজ কিংবা জাপানিজে। এমনিতেই চাইনিজ কিংবা জাপানিজে অক্ষর বলতে একটি চিত্র। তাই যারা এই ভাষায় দক্ষ, সেরকম এক চিত্র অর্থাৎ যা কি না একটি অক্ষর বা শব্দ সেটাই ট্যাটুর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছেন।
মেয়েদের মধ্যে একরকম ট্রেন্ড, ছেলেদের আবার পছন্দ বোল্ড কোনও কিছু। হাতের বাইসেপ-ট্রাইসেপে কিংবা বাহুতে নিজের পছন্দের মানুষের মুখ কিংবা ঘাড়ের কাছে বড় মাপের উড়ন্ত এক ঈগল। কারও হাতে যিশুর সুন্দর মুখ। এক কথায় দিন বদল, জেনারেশন বদলের সঙ্গে বদলাচ্ছে ডিজাইন বা প্রকাশের ছবিও।
কিন্তু ট্যাটু করতে কোনও যন্ত্রণা! নাহ...
কেননা এখন ট্যাটু যন্ত্রের মধ্যে আছে কেবল নানা আকারের ছুঁচ। আর সেটি স্কিনের সাতটি স্তরের ঠিক দু’টি স্তর পর্যন্ত গিয়ে বিভিন্ন কালার বা রঙ ইনজেকট করে। আগে ছবিটি এঁকে নিয়ে ছুঁচ ফুটিয়ে আউট লাইনটি করে নেওয়া হয়। তারপর শুরু হয় রঙ মিলিয়ে স্কিনের ভিতরে ইনজেকট করা। আর সময়? ডিজাইন কতটা বড়, কতটা ছোট হবে, তার উপর নির্ভর করে ট্যাটু আঁকার সময়। এই সময়টুকু পেরিয়ে গেলেই শুরু হয়ে যায় ট্যাটু-মালিক বা মালকিনের খাস সময়। সেই সময়ে সবার নজর থাকে কেবল তাদের উপর; ছোট্ট একটা ট্যাটুতেই তখন তারা উজ্জ্বল তারা! সূত্র: ওয়েবসাইট।
ইতিহাস বলছে, এই ট্যাটুর প্রথম প্রচলন কোথায়, কবে, কীভাবে হয়েছে, সে সম্পর্কে মতামত অনেক। ইতিহাস বলছে, শতাব্দী প্রাচীন এই ট্যাটু পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের আদিবাসীদের কাছেও খুব জনপ্রিয় ছিল। রাজা থেকে সাধারণ প্রাচীন ইজিপ্ট, গ্রিনল্যান্ড, সাইবেরিয়া, নিউজিল্যান্ড-সর্বত্রই এই ট্যাটুর প্রচলন ছিল বলে জানা যা। এটি প্রায় ৩০০০ থেকে ২০০০ বিসির কথা। বলা হয়, ৩০০০ বিসির এক মমির দেহে ইতিহাসবিদরা এই ধরনের মার্ক আবিষ্কার করেন। ইতিহাস আরও বলে, পরে ১৭৬৯ সালে ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন জেমস কুক সাউথ প্যাসিফিকে জাহাজের নাবিক এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই ট্যাটু দেখতে পান। এদের কাছ থেকেই ইউরোপ এবং আমেরিকায় ফ্যাশন হিসেবে ট্যাটু ছড়িয়ে পড়ে।
এক সময় বিভিন্ন জাতি নিজেদের আলাদা করে চিহ্নিত করতে সকলে একই ধরনের ট্যাটু নিজেদের শরীরে আঁকত। আবার নাৎজিদের আলাদা করে চিহ্নিত করতে হিটলার তাদের হাতে জোর করে এক ধরনের মার্ক করে ট্যাটু আঁকান বলে জানা যায়। এক একসময় ট্যাটুর প্রচলন আলাদা ভাবে প্রয়োগ হলেও আশি এবং নব্বইয়ের দশকে ইউরোপ এবং আমেরিকায় ট্যাটু ফ্যাশন হিসাবে নতুন করে জায়গা করে নেয়। আরও একটু পরে হয়ে ওঠে লেটেস্ট ফ্যাশন বা স্টাইলের মাধ্যম।
শুধু কি তাই! ফ্যাশন জগৎ এবং প্রযুক্তির উন্নতিতে ট্যাটু আঁকার ধরনও বদলে গিয়েছে। আগে বিভিন্ন দেশের আদিবাসীদের মধ্যে পশুর হাড়, কিংবা বাঁশের সরু ফালি কিংবা নানা ধারাল জিনিস দিয়ে স্কিনের উপর কেটে কেটে ডিজাইন তৈরি করা হত। কোথাও পুরো মুখে, কিংবা শরীর জুড়ে এই ট্যাটুর প্রচলন থাকলেও, বিংশ, একবিংশ শতাব্দীতে এই ট্যাটু ‘আর্টের’ জন্ম দিয়েছে। ট্যাটু হয়ে উঠেছে ফ্যাশনের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে ট্রেন্ডি। আকর্ষণ বেড়েছে কলেজ পড়ুয়া তরুণ-তরুণী থেকে সেলেব সকলের কাছেই।
কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম ঠিক কী ধরনের ট্যাটু চাইছে?
শুধু কোনও চিহ্নতে আর থমকে থাকতে চাইছে না জেন এক্স কিংবা ওয়াইয়ের যৌবন। মত প্রকাশের জন্য বিভিন্ন লেখা ফুটিয়ে তুলছে শরীরে। কেউ বিদেশি ভাষাকেও ব্যবহার করছে প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে। বিশেষ করে চাইনিজ কিংবা জাপানিজে। এমনিতেই চাইনিজ কিংবা জাপানিজে অক্ষর বলতে একটি চিত্র। তাই যারা এই ভাষায় দক্ষ, সেরকম এক চিত্র অর্থাৎ যা কি না একটি অক্ষর বা শব্দ সেটাই ট্যাটুর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছেন।
মেয়েদের মধ্যে একরকম ট্রেন্ড, ছেলেদের আবার পছন্দ বোল্ড কোনও কিছু। হাতের বাইসেপ-ট্রাইসেপে কিংবা বাহুতে নিজের পছন্দের মানুষের মুখ কিংবা ঘাড়ের কাছে বড় মাপের উড়ন্ত এক ঈগল। কারও হাতে যিশুর সুন্দর মুখ। এক কথায় দিন বদল, জেনারেশন বদলের সঙ্গে বদলাচ্ছে ডিজাইন বা প্রকাশের ছবিও।
কিন্তু ট্যাটু করতে কোনও যন্ত্রণা! নাহ...
কেননা এখন ট্যাটু যন্ত্রের মধ্যে আছে কেবল নানা আকারের ছুঁচ। আর সেটি স্কিনের সাতটি স্তরের ঠিক দু’টি স্তর পর্যন্ত গিয়ে বিভিন্ন কালার বা রঙ ইনজেকট করে। আগে ছবিটি এঁকে নিয়ে ছুঁচ ফুটিয়ে আউট লাইনটি করে নেওয়া হয়। তারপর শুরু হয় রঙ মিলিয়ে স্কিনের ভিতরে ইনজেকট করা। আর সময়? ডিজাইন কতটা বড়, কতটা ছোট হবে, তার উপর নির্ভর করে ট্যাটু আঁকার সময়। এই সময়টুকু পেরিয়ে গেলেই শুরু হয়ে যায় ট্যাটু-মালিক বা মালকিনের খাস সময়। সেই সময়ে সবার নজর থাকে কেবল তাদের উপর; ছোট্ট একটা ট্যাটুতেই তখন তারা উজ্জ্বল তারা! সূত্র: ওয়েবসাইট।
No comments