সিনাইয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন সহযোগিতা দেবে বেদুইনরা
সিনাই উপদ্বীপে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে মিসর। গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সরকারের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বেদুইন নেতারা। ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিসরের সামরিক যান আল-আরিশ শহরে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। ওই শহর ও গাজা সীমান্তবর্তী এলাকায় বেদুইন মুসলিম জঙ্গিদের শক্ত অবস্থান রয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল বলেছে, তারা মিসরকে সিনাইয়ে যুদ্ধবিমান মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছে। ১৯৭৯ সালে প্রতিবেশী রাষ্ট্র দুটির মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তির আওতায় সিনাইয়ে সামরিক অবস্থানের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল।
গাজা সীমান্তবর্তী আল-আরিশ শহরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মিসরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ জামাল আল-দ্বীনের সঙ্গে বেদুইন নেতাদের বৈঠক হয়। এ সময় তাঁরা গত বুধবারের সেনা অভিযানে নিহত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের মরদেহ দেখার দাবি জানান। বেদুইন নেতা ঈদ আবু মারজুকা বলেন, ‘আমরা অন্তত একটি-দুটি মরদেহ দেখতে চাই, যাতে আমরা বুঝতে পারি, নিহতরা আসলেই জঙ্গি।’
বেদুইন নেতারা বলেন, অস্থিতিশীল উপদ্বীপে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে সহায়তা করতে তাঁরা রাজি। এমনকি গাজা ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত সুড়ঙ্গগুলোও বন্ধ করে দিতে তাঁরা সহায়তা দিতে চান। এসব সুড়ঙ্গ দিয়ে অস্ত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পাচার করা হয়। জঙ্গিরাও এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে।
মারজুকা বলেন, ‘সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার ব্যাপারে উপজাতি নেতারা মতৈক্য হয়েছেন। এতে হামাস মনঃক্ষুণ্ন হলেও আমরা তা পরোয়া করি না।’ তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে রাফা ক্রসিং দিয়ে যোগাযোগ করতে হবে মিসরকে।
৫ আগস্ট সিনাইয়ের তুমা গ্রামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ১৬ জন মিসরীয় সীমান্তরক্ষী নিহত হন। মিসর ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, হামলাকারীরা বেদুইন ও ফিলিস্তিনি জঙ্গি। তবে মিসরের প্রেসিডেন্ট মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুড বলছে, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এ হামলার জন্য দায়ী। গত কয়েক দশকের মধ্যে সিনাইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। এ হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বুধবার সিনাইয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মিসরের সেনাবাহিনী। এতে ২০ জন নিহত হয়।
সিনাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার অভিযোগে মিসরের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ও সিনাই প্রদেশের গভর্নরকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। এ ছাড়া প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রধানসহ আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এএফপি ও বিবিসি।
গাজা সীমান্তবর্তী আল-আরিশ শহরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মিসরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ জামাল আল-দ্বীনের সঙ্গে বেদুইন নেতাদের বৈঠক হয়। এ সময় তাঁরা গত বুধবারের সেনা অভিযানে নিহত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের মরদেহ দেখার দাবি জানান। বেদুইন নেতা ঈদ আবু মারজুকা বলেন, ‘আমরা অন্তত একটি-দুটি মরদেহ দেখতে চাই, যাতে আমরা বুঝতে পারি, নিহতরা আসলেই জঙ্গি।’
বেদুইন নেতারা বলেন, অস্থিতিশীল উপদ্বীপে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে সহায়তা করতে তাঁরা রাজি। এমনকি গাজা ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত সুড়ঙ্গগুলোও বন্ধ করে দিতে তাঁরা সহায়তা দিতে চান। এসব সুড়ঙ্গ দিয়ে অস্ত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পাচার করা হয়। জঙ্গিরাও এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে।
মারজুকা বলেন, ‘সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার ব্যাপারে উপজাতি নেতারা মতৈক্য হয়েছেন। এতে হামাস মনঃক্ষুণ্ন হলেও আমরা তা পরোয়া করি না।’ তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে রাফা ক্রসিং দিয়ে যোগাযোগ করতে হবে মিসরকে।
৫ আগস্ট সিনাইয়ের তুমা গ্রামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ১৬ জন মিসরীয় সীমান্তরক্ষী নিহত হন। মিসর ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, হামলাকারীরা বেদুইন ও ফিলিস্তিনি জঙ্গি। তবে মিসরের প্রেসিডেন্ট মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুড বলছে, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এ হামলার জন্য দায়ী। গত কয়েক দশকের মধ্যে সিনাইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। এ হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বুধবার সিনাইয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মিসরের সেনাবাহিনী। এতে ২০ জন নিহত হয়।
সিনাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার অভিযোগে মিসরের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ও সিনাই প্রদেশের গভর্নরকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। এ ছাড়া প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রধানসহ আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এএফপি ও বিবিসি।
No comments