রাষ্ট্রকে সবার অধিকার সমুন্নত রাখতে হবে- আদিবাসীদের অনুষ্ঠানে পুলিশের বাধা
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর কথা মানেনি তাঁর পুলিশ বাহিনী। আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস সামনে রেখে গত বুধবার তিনি বলেছিলেন, আদিবাসীদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হবে না। তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে পারবে।
ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় আদিবাসীরা সেই কর্মসূচি পালন করলেও কয়েকটি স্থানে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। পুলিশ জয়পুরহাটে আদিবাসীদের শোভাযাত্রা পণ্ড করে দিয়েছে, খাগড়াছড়িতে শোভাযাত্রায় তারা বাধা দিয়েছে, একই জেলার পানছড়ি ও মহালছড়িতে যানবাহন আটকে দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের এই আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। তাঁদের দায়িত্ব নাগরিকদের জানমাল রক্ষা করা, কারও শোভাযাত্রা ভেঙে দেওয়া বা গাড়ি আটকে দেওয়া নয়।
এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা হলেও উপেক্ষণীয় নয়। ১৯৯৫ সালের পর থেকে শান্তিপূর্ণভাবেই দিবসটি পালিত হয়ে আসছিল। নেতা-নেত্রীরা বাণী দিয়ে দিবসের শুভকামনা করেছেন। কোনো অসুবিধা হয়নি। হঠাৎ সরকারের পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই’ ঘোষণা দেওয়ার পরই পরিস্থিতি বদলে যায়। একটি জনগোষ্ঠী কী পরিচয়ে নিজেকে পরিচিত করবে, তা রাষ্ট্র বা সরকার ঠিক করে দিতে পারে না। এই সরকারের একাধিক মন্ত্রী আছেন, ক্ষমতাসীন দলে বেশ কয়েকজন সাংসদ আছেন যাঁরা নিজেদের আদিবাসী হিসেবে পরিচয় দিতে আগ্রহী। তার পরও দেশে আদিবাসী নেই বলা স্ববিরোধী নয় কি? যে বাঙালি জনগোষ্ঠী পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জাতিসত্তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে, সেই বাঙালি জনগোষ্ঠী কেন অন্যের জাতিসত্তার স্বীকৃতি দিতে কার্পণ্য করবে?
আমরা চাই, বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি ধর্ম-বর্ণ-গোত্রনির্বিশেষে সবার প্রতি সমান আচরণ করবে। সব জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সমুন্নত রাখবে।
যেসব অতি-উৎসাহী পুলিশ সদস্য আদিবাসী দিবসের কর্মসূচি পালনে বাধা দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন। সেই সঙ্গে আদিবাসী সম্প্রদায়কে এই অভয় দিতে হবে যে, ভবিষ্যতে তারা নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে সব কর্মসূচি পালন করতে পারবে। যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশের গণতান্ত্রিক সরকারের সেটাই অবশ্যকর্তব্য বলে মনে করি।
এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা হলেও উপেক্ষণীয় নয়। ১৯৯৫ সালের পর থেকে শান্তিপূর্ণভাবেই দিবসটি পালিত হয়ে আসছিল। নেতা-নেত্রীরা বাণী দিয়ে দিবসের শুভকামনা করেছেন। কোনো অসুবিধা হয়নি। হঠাৎ সরকারের পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই’ ঘোষণা দেওয়ার পরই পরিস্থিতি বদলে যায়। একটি জনগোষ্ঠী কী পরিচয়ে নিজেকে পরিচিত করবে, তা রাষ্ট্র বা সরকার ঠিক করে দিতে পারে না। এই সরকারের একাধিক মন্ত্রী আছেন, ক্ষমতাসীন দলে বেশ কয়েকজন সাংসদ আছেন যাঁরা নিজেদের আদিবাসী হিসেবে পরিচয় দিতে আগ্রহী। তার পরও দেশে আদিবাসী নেই বলা স্ববিরোধী নয় কি? যে বাঙালি জনগোষ্ঠী পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জাতিসত্তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে, সেই বাঙালি জনগোষ্ঠী কেন অন্যের জাতিসত্তার স্বীকৃতি দিতে কার্পণ্য করবে?
আমরা চাই, বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি ধর্ম-বর্ণ-গোত্রনির্বিশেষে সবার প্রতি সমান আচরণ করবে। সব জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সমুন্নত রাখবে।
যেসব অতি-উৎসাহী পুলিশ সদস্য আদিবাসী দিবসের কর্মসূচি পালনে বাধা দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন। সেই সঙ্গে আদিবাসী সম্প্রদায়কে এই অভয় দিতে হবে যে, ভবিষ্যতে তারা নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে সব কর্মসূচি পালন করতে পারবে। যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশের গণতান্ত্রিক সরকারের সেটাই অবশ্যকর্তব্য বলে মনে করি।
No comments