তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী অবশেষে মন্ত্রিসভায় উঠছে by মিজান চৌধুরী
বহু প্রতিবন্ধকতার পর তামাক নিয়ন্ত্রণ সংশোধনী আইনের খসড়া আগামী মন্ত্রিসভা বৈঠকে উঠছে। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর নীতিগত অনুমোদনের জন্য আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু আকস্মিকভাবে আগের দিন অর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাক্কো কোম্পানির (বিএটি) পক্ষ থেকে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেয়ায় আইনটি সভায় উপস্থাপন না করেই ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
দীর্ঘ সাত মাস পর আইনটি পুনরায় পর্যালোচনা করেই এবার উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে বিড়ি ও সিগারেট কোম্পানির তৎপরতার মুখে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশাধনী প্রস্তাবটি বার বার আটকে যাচ্ছে। ইতোপূর্বে মন্ত্রিপরিষদ সভায় নীতিগত অনুমোদনের জন্য আইনের খসড়া উপস্থাপন করা হয়। ওই বৈঠকে ১১টি এজেন্ডার মধ্যে একমাত্র তামাক আইনের এজেন্ডা ছাড়া সবগুলো আলোচনা হয়। তবে আইন সংশোধনের ফলে রাজস্বের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ওই সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দেয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি কৌশলে আটকে দেয়ার পর দেশের বিভিন্ন মহল থেকে এটি নিয়ে আলোচনা হয়। অর্থনীতিবিদরা এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আইন সংশোধন হলে সরকারের রাজস্ব আরও বাড়বে। স্বাস্থ্যহানি কমবে। যদিও তামাক কোম্পানি উল্টো হিসাব দিয়ে সরকারের পলিসি পর্যায়ে বোঝানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে আইন সংশোধন হলে রাজস্ব কমবে।
জানা গেছে বর্তমান সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়াটি তৈরির ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল কনসোটিয়াম (আইএলসি) এবং টোবাকো ফ্রি কিডসের (টিএফকে) লিগ্যাল সহায়তা নেয়া হয়। রোস নাটহেন ও এ্যারোন ইসউইড নামে দুই জন আন্তর্জাতিক মানের আইন বিশেষজ্ঞ খসড়া তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, খাদ্য, কৃষি, বাণিজ্য, অর্থ ও আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে প্রায় আড়াই বছর সরকারের কমিটি কাজ করে আইনের সংশোধনী খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
জানা গেছে, সংশোধিত আইনে তামাক চাষের জন্য ভর্তুকি, ঋণ বা সহায়তা বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য ৫শ’ টাকা জরিমানার বিধান করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমান আইনে জরিমানা মাত্র ৫০ টাকা রয়েছে। এ ছাড়া ষোল বছরের নিচে কোন শিশুকে দিয়ে তামাক বিক্রয়, বিপণন ও বিতরণ না করারও সুপারিশ করা হয়েছে সংশোধনী আইনে।
পাশাপাশি বর্তমানে তামাকের বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ রয়েছে। কিন্তু এরপরও আইন অমান্য করে সিগারেট কোম্পানিগুলো বিভিন্নভাবে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এ জন্য সংশোধিত আইনে বিজ্ঞাপন আইন ভঙ্গের কারণে ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া কর নিরূপণের ক্ষেত্রে এফসিটিসির নীতিমালা অনুসরণ, পাবলিক প্লেসকে বিলুপ্ত, তামাক বিক্রয়স্থলে প্রচার ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ, উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করাসহ আরও অনেক সংশোধনী আনা হয়েছে বর্তমান সংশোধিত আইনের খসড়ায়।
তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের জনকণ্ঠকে বলেন, বর্তমান আইনের সবগুলো দুর্বলতা সংশোধিত আইনে দূর করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে এক দিকে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, অন্য দিকে মৃত্যুর সংখ্যা কমবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) উদ্যোগে ২০০৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এফসিটিসি প্রণীত হয়। বিশ্বের ১৭৩টি দেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করলে প্রথম করে বাংলাদেশ। এফটিসিটির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করে। কিন্তু বর্তমান আইনটি যুগোপযোগী করতে এর সংশোধনী আনা হয়।
হুর তথ্য মতে, দেশে ৪ কোটি ১৩ লাখ মানুষ ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন করে। এতে বছরে ৫৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং ৩ লাখ ৮২ হাজার অক্ষম হচ্ছে। ধূমপান না করেও পরোক্ষ শিকার হচ্ছে ১ কোটি নারী। কিন্তু কার্যকর আইন না থাকায় ধূমপানের ক্ষতির ভয়াবহতা আরও বাড়ছে।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি কৌশলে আটকে দেয়ার পর দেশের বিভিন্ন মহল থেকে এটি নিয়ে আলোচনা হয়। অর্থনীতিবিদরা এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আইন সংশোধন হলে সরকারের রাজস্ব আরও বাড়বে। স্বাস্থ্যহানি কমবে। যদিও তামাক কোম্পানি উল্টো হিসাব দিয়ে সরকারের পলিসি পর্যায়ে বোঝানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে আইন সংশোধন হলে রাজস্ব কমবে।
জানা গেছে বর্তমান সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়াটি তৈরির ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল কনসোটিয়াম (আইএলসি) এবং টোবাকো ফ্রি কিডসের (টিএফকে) লিগ্যাল সহায়তা নেয়া হয়। রোস নাটহেন ও এ্যারোন ইসউইড নামে দুই জন আন্তর্জাতিক মানের আইন বিশেষজ্ঞ খসড়া তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, খাদ্য, কৃষি, বাণিজ্য, অর্থ ও আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে প্রায় আড়াই বছর সরকারের কমিটি কাজ করে আইনের সংশোধনী খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
জানা গেছে, সংশোধিত আইনে তামাক চাষের জন্য ভর্তুকি, ঋণ বা সহায়তা বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য ৫শ’ টাকা জরিমানার বিধান করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমান আইনে জরিমানা মাত্র ৫০ টাকা রয়েছে। এ ছাড়া ষোল বছরের নিচে কোন শিশুকে দিয়ে তামাক বিক্রয়, বিপণন ও বিতরণ না করারও সুপারিশ করা হয়েছে সংশোধনী আইনে।
পাশাপাশি বর্তমানে তামাকের বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ রয়েছে। কিন্তু এরপরও আইন অমান্য করে সিগারেট কোম্পানিগুলো বিভিন্নভাবে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এ জন্য সংশোধিত আইনে বিজ্ঞাপন আইন ভঙ্গের কারণে ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া কর নিরূপণের ক্ষেত্রে এফসিটিসির নীতিমালা অনুসরণ, পাবলিক প্লেসকে বিলুপ্ত, তামাক বিক্রয়স্থলে প্রচার ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ, উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করাসহ আরও অনেক সংশোধনী আনা হয়েছে বর্তমান সংশোধিত আইনের খসড়ায়।
তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের জনকণ্ঠকে বলেন, বর্তমান আইনের সবগুলো দুর্বলতা সংশোধিত আইনে দূর করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে এক দিকে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, অন্য দিকে মৃত্যুর সংখ্যা কমবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) উদ্যোগে ২০০৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এফসিটিসি প্রণীত হয়। বিশ্বের ১৭৩টি দেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করলে প্রথম করে বাংলাদেশ। এফটিসিটির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করে। কিন্তু বর্তমান আইনটি যুগোপযোগী করতে এর সংশোধনী আনা হয়।
হুর তথ্য মতে, দেশে ৪ কোটি ১৩ লাখ মানুষ ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন করে। এতে বছরে ৫৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং ৩ লাখ ৮২ হাজার অক্ষম হচ্ছে। ধূমপান না করেও পরোক্ষ শিকার হচ্ছে ১ কোটি নারী। কিন্তু কার্যকর আইন না থাকায় ধূমপানের ক্ষতির ভয়াবহতা আরও বাড়ছে।
No comments