নির্বাচন কমিশনের কি কিছু করার নেই?- দুই সাংসদের ব্যবসা
ক্ষমতাসীন দলের দুজন সংসদ সদস্যের প্রতিষ্ঠান সরকারি ফ্ল্যাট নির্মাণের এক বিশাল প্রকল্পের কাজ কীভাবে পেয়েছে, তা অনুসন্ধানের বিষয়। কিন্তু কোনো নির্বাচিত আইনপ্রণেতা যে সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন করতে পারেন না, এ নিয়ে কোনো অস্পষ্টতা নেই।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২ ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে এমন কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ও সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের যোগ্য হবেন না।
উল্লিখিত দুই সাংসদের একজন, রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ ও এনা গ্রুপ নামের একটি নির্মাণপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হকের বক্তব্য শুনে মনে হয়, আরপিওর সংশ্লিষ্ট ধারাটি বোঝার ক্ষেত্রে তাঁর ঘাটতি রয়েছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেছেন, সরকারি ফ্ল্যাট নির্মাণের এই কাজে তাঁর প্রতিষ্ঠান কোনো লাভ করছে না। তাই তিনি মনে করেন না যে তিনি আরপিও লঙ্ঘন করছেন।
আসলে লাভ-লোকসান পরের কথা, সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁর প্রতিষ্ঠান এই নির্মাণকাজের দরপত্র জমা দেওয়া বা কার্যাদেশ পাওয়ারই যোগ্য নয়। অপর সংসদ সদস্য ঢাকা-৩ আসনের নসরুল হকের মালিকানাধীন হামিদ কনস্ট্রাকশন নামের প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কেও একই কথা বলা যায়।
সাংসদ এনামুল হকের একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সরকারের সঙ্গে বড় ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন করে আসছে, আইন অনুযায়ী যা করা যায় না। কিন্তু আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকার, জাতীয় সংসদ ও নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে কোনো উদ্যোগ নেই। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় সংসদকে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল, তাতেও কাজ হয়নি। বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক দেশে আইনপ্রণেতাদের এমন আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এভাবে চোখ বন্ধ করে থাকে না। অন্তত নির্বাচন কমিশনের উচিত দুদকের অনুরোধে সাড়া দিয়ে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া। এ রকম ঘটনা জাতীয় সংসদের মর্যাদাকে খাটো করে।
রাষ্ট্রীয় ও সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জনস্বার্থ ও ব্যক্তিগত স্বার্থের দ্বন্দ্ব, আইনি ভাষায় যাকে বলা হয় ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’, গণতান্ত্রিক রীতিনীতির খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। দুদক সেটা সংসদ ও নির্বাচন কমিশনের কাছে স্পষ্টভাবেই তুলে ধরেছে। কিন্তু যখন দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় সংসদ এ ব্যাপারে নির্বিকার, তখন দুদকের হয়তো আরও কিছু করার সুযোগ রয়েছে। দুই সাংসদের প্রতিষ্ঠান দুটির কার্যাদেশ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে কি না, দুদক তা তদন্ত করে দেখতে পারে এবং প্রয়োজনবোধে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। আবার, যেহেতু এই নির্মাণ প্রকল্পটির সঙ্গে বিপুলসংখ্যক মানুষের স্বার্থ জড়িত এবং এখানে স্পষ্টতই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে; তাই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ এবং জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনা করে আদালতও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি আদেশ দিতে পারেন।
উল্লিখিত দুই সাংসদের একজন, রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ ও এনা গ্রুপ নামের একটি নির্মাণপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হকের বক্তব্য শুনে মনে হয়, আরপিওর সংশ্লিষ্ট ধারাটি বোঝার ক্ষেত্রে তাঁর ঘাটতি রয়েছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেছেন, সরকারি ফ্ল্যাট নির্মাণের এই কাজে তাঁর প্রতিষ্ঠান কোনো লাভ করছে না। তাই তিনি মনে করেন না যে তিনি আরপিও লঙ্ঘন করছেন।
আসলে লাভ-লোকসান পরের কথা, সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁর প্রতিষ্ঠান এই নির্মাণকাজের দরপত্র জমা দেওয়া বা কার্যাদেশ পাওয়ারই যোগ্য নয়। অপর সংসদ সদস্য ঢাকা-৩ আসনের নসরুল হকের মালিকানাধীন হামিদ কনস্ট্রাকশন নামের প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কেও একই কথা বলা যায়।
সাংসদ এনামুল হকের একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সরকারের সঙ্গে বড় ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন করে আসছে, আইন অনুযায়ী যা করা যায় না। কিন্তু আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকার, জাতীয় সংসদ ও নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে কোনো উদ্যোগ নেই। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় সংসদকে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল, তাতেও কাজ হয়নি। বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক দেশে আইনপ্রণেতাদের এমন আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এভাবে চোখ বন্ধ করে থাকে না। অন্তত নির্বাচন কমিশনের উচিত দুদকের অনুরোধে সাড়া দিয়ে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া। এ রকম ঘটনা জাতীয় সংসদের মর্যাদাকে খাটো করে।
রাষ্ট্রীয় ও সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জনস্বার্থ ও ব্যক্তিগত স্বার্থের দ্বন্দ্ব, আইনি ভাষায় যাকে বলা হয় ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’, গণতান্ত্রিক রীতিনীতির খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। দুদক সেটা সংসদ ও নির্বাচন কমিশনের কাছে স্পষ্টভাবেই তুলে ধরেছে। কিন্তু যখন দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় সংসদ এ ব্যাপারে নির্বিকার, তখন দুদকের হয়তো আরও কিছু করার সুযোগ রয়েছে। দুই সাংসদের প্রতিষ্ঠান দুটির কার্যাদেশ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে কি না, দুদক তা তদন্ত করে দেখতে পারে এবং প্রয়োজনবোধে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। আবার, যেহেতু এই নির্মাণ প্রকল্পটির সঙ্গে বিপুলসংখ্যক মানুষের স্বার্থ জড়িত এবং এখানে স্পষ্টতই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে; তাই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ এবং জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনা করে আদালতও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি আদেশ দিতে পারেন।
No comments