সংলাপে বসলে নির্দলীয় সরকার ইস্যুতে নিজস্ব মত দেবে বিএনপি
সরকার সংলাপের আয়োজন করলে বিএনপি নির্দলীয় সরকারের ব্যাপারে নিজস্ব মত প্রদান করবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আ স ম হান্নান শাহ। তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকার নিয়ে বিএনপিরও নিজস্ব মত রয়েছে।
তাই একগুঁয়েমি বা গোঁয়ার্তুমি ছেড়ে এই ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সরকারের সংলাপে বসা উচিত। তা না করে সংসদ বহাল রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবিধানিক অধিকার ফোরাম নামক একটি সংগঠন আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনে চলমান রাজনৈতিক পরিবেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে নিদর্লীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসম হান্নান শাহ এসব কথা বলেন। সরকারের উদ্দেশে হান্নান শাহ বলেন, আমরা আগে থেকেই আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। দেশে সে ধরনের নির্বাচন আমরা হতেও দেব না। নির্দলীয় সরকার এখন জনগণের দাবি। তাই নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনেই। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নাম নিয়ে অসুবিধা থাকলে আলোচনায় আসুন। নির্দলীয় সরকারের নাম কি হবে এবং প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন তা নিয়ে আপনাদের মত থাকলে আমাদেরও আছে। তাই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় না ফেরার সিদ্ধান্তে আঁকড়ে না থেকে অবিলম্বে আলোচনায় বসুন। আলোচনার মাধ্যমেই এ ব্যাপারে সমাধানের পথ পরিষ্কার হবে। কিন্তু এ বিষয়ে আর কোন রকম একগুঁয়েমি বা গোয়ার্তুমি করবেন না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকেই এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষে সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জাতীয় নির্বাচন করতে চাই। যে নির্বাচনে জনগণের সঠিক রায় প্রতিফলিত হবে।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সমালোচনা করে হান্নান শাহ বলেন, সংসদ না ভেঙ্গে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান বিশ্বের কোন দেশে নেই। অথচ আমাদের সরকার এ রকম একটি উদ্ভট বিধান সংবিধানে সংযোজন করেছে। এটা দেশের মানুষ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিকরাও সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন আয়োজনের বিধান নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যেই মহাজোটের কয়েকটি শরিক দল প্রকাশ্যে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন আয়োজনের বিপক্ষে মত প্রকাশ করেছে। তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দিন। সংসদ বহাল রেখে দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। আর তা করতে চাইলে ভুল করবেন।
হান্নান শাহ বলেন, বর্তমান সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার পর থেকেই বিএনপি এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার এতে কোন কর্ণপাত করছে না। এর ফলে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে সরকার।
বিশ্বব্যাংকের নাম করে পদ্মা সেতুর জন্য ভূমি অধিগ্রহণে সরকারের লোকেরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করে হান্নান শাহ বলেন, এ ব্যাপারে সরকার যদি প্রমাণ চায়, তা দিতেও আমি প্রস্তুত। তিনি বলেন, এ সরকারের দুর্নীতির কারণেই পদ্মা সেতু নির্মাণে ঋণচুক্তি বাতিল করেছে বিশ্বব্যাংক।
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের বিলম্বে পদত্যাগ প্রসঙ্গে হান্নান শাহ বলেন, কার্পেটের নিচের ময়লা লুকাতেই ১০ মাস সময় লাগিয়ে পদত্যাগ করেছেন তিনি। তবে এখনও তাঁর পদত্যাগপত্র কেন গৃহীত হয়নি তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বেশ ক’জন মন্ত্রী ইতোমধ্যেই মালয়েশিয়ায় ‘সেকেন্ড হোম’ বানিয়েছেন। আমি নাম বলতে চাই না। আরেক মন্ত্রী সিঙ্গাপুরে বাড়ি কিনেছেন। তবে অতীতে দেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়ে কেউ রক্ষা পাননি তাই এ সরকারের মন্ত্রীরাও বিদেশ পাড়ি দিয়ে রক্ষা পাবেন না।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব সৈয়দ মারগুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল। আলোচনাসভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব সুরঞ্জন ঘোষ।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবিধানিক অধিকার ফোরাম নামক একটি সংগঠন আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনে চলমান রাজনৈতিক পরিবেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে নিদর্লীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসম হান্নান শাহ এসব কথা বলেন। সরকারের উদ্দেশে হান্নান শাহ বলেন, আমরা আগে থেকেই আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। দেশে সে ধরনের নির্বাচন আমরা হতেও দেব না। নির্দলীয় সরকার এখন জনগণের দাবি। তাই নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনেই। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নাম নিয়ে অসুবিধা থাকলে আলোচনায় আসুন। নির্দলীয় সরকারের নাম কি হবে এবং প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন তা নিয়ে আপনাদের মত থাকলে আমাদেরও আছে। তাই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় না ফেরার সিদ্ধান্তে আঁকড়ে না থেকে অবিলম্বে আলোচনায় বসুন। আলোচনার মাধ্যমেই এ ব্যাপারে সমাধানের পথ পরিষ্কার হবে। কিন্তু এ বিষয়ে আর কোন রকম একগুঁয়েমি বা গোয়ার্তুমি করবেন না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকেই এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষে সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জাতীয় নির্বাচন করতে চাই। যে নির্বাচনে জনগণের সঠিক রায় প্রতিফলিত হবে।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সমালোচনা করে হান্নান শাহ বলেন, সংসদ না ভেঙ্গে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান বিশ্বের কোন দেশে নেই। অথচ আমাদের সরকার এ রকম একটি উদ্ভট বিধান সংবিধানে সংযোজন করেছে। এটা দেশের মানুষ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিকরাও সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন আয়োজনের বিধান নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যেই মহাজোটের কয়েকটি শরিক দল প্রকাশ্যে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন আয়োজনের বিপক্ষে মত প্রকাশ করেছে। তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দিন। সংসদ বহাল রেখে দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। আর তা করতে চাইলে ভুল করবেন।
হান্নান শাহ বলেন, বর্তমান সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার পর থেকেই বিএনপি এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার এতে কোন কর্ণপাত করছে না। এর ফলে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে সরকার।
বিশ্বব্যাংকের নাম করে পদ্মা সেতুর জন্য ভূমি অধিগ্রহণে সরকারের লোকেরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করে হান্নান শাহ বলেন, এ ব্যাপারে সরকার যদি প্রমাণ চায়, তা দিতেও আমি প্রস্তুত। তিনি বলেন, এ সরকারের দুর্নীতির কারণেই পদ্মা সেতু নির্মাণে ঋণচুক্তি বাতিল করেছে বিশ্বব্যাংক।
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের বিলম্বে পদত্যাগ প্রসঙ্গে হান্নান শাহ বলেন, কার্পেটের নিচের ময়লা লুকাতেই ১০ মাস সময় লাগিয়ে পদত্যাগ করেছেন তিনি। তবে এখনও তাঁর পদত্যাগপত্র কেন গৃহীত হয়নি তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বেশ ক’জন মন্ত্রী ইতোমধ্যেই মালয়েশিয়ায় ‘সেকেন্ড হোম’ বানিয়েছেন। আমি নাম বলতে চাই না। আরেক মন্ত্রী সিঙ্গাপুরে বাড়ি কিনেছেন। তবে অতীতে দেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়ে কেউ রক্ষা পাননি তাই এ সরকারের মন্ত্রীরাও বিদেশ পাড়ি দিয়ে রক্ষা পাবেন না।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব সৈয়দ মারগুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল। আলোচনাসভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব সুরঞ্জন ঘোষ।
No comments