কষ্টে আছেন আড়াই হাজার নারী শ্রমিক
গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) স্থানীয় অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (আরইআরএমপি) প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত প্রায় আড়াই হাজার নারী শ্রমিক ছয় মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ১২০ জন নারী শ্রমিক সাত মাস ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
শিবগঞ্জের শ্রমিক শেফালী বেগম বলেন, ‘আমাদের আয়ের অন্য কোনো পথ নেই। পেটের দায়ে সড়কে মাটি কাটার কাজ করি। যে টাকা পাই, তা দিয়েই চলে সংসার। সেই মজুরি বকেয়া পড়ায় সংসার চালাতে পারছি না। ঋণ করে করে অবস্থা কাহিল হয়ে গেছে। এখন খেয়ে না-খেয়ে রোজা রাখতে হচ্ছে। ঈদে কী করব জানি না।’
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে পল্লি কর্মসংস্থান ও সড়ক সংস্কার নামে পাঁচ বছর মেয়াদি এই কর্মসূচিতে গাইবান্ধার সাত উপজেলায় দুই হাজার ৪৬০ জন নারী শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। এসব শ্রমিকের দায়িত্ব সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, সড়কে গাছ লাগানো এবং সেগুলোর পরিচর্যা করা। তাদের দেখভাল করার জন্য নিয়োগ করা হয় ১৯ জন সমন্বয়কারী। প্রত্যেক শ্রমিককে দৈনিক ৯০ টাকা মজুরি দেওয়া হয়। সপ্তাহে শুক্রবার ছুটি। ১৫ দিন পর পর মজুরি দেওয়ার কথা থাকলেও এক মাস পর তাঁদের মজুরি দেওয়া হয়েছে। ওই মজুরি দেওয়ার সময় শতকরা ৪০ টাকা শ্রমিকদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা রাখা হয়। সেই হিসাবে প্রত্যেক নারী শ্রমিককে প্রতিদিনের হাজিরায় ৫৪ টাকা নগদ দিয়ে বাকি ৩৬ টাকা সঞ্চয় রাখা হয়। কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় গত জানুয়ারি মাস থেকে তাঁদের বেতন বন্ধ রয়েছে। তবে তাঁরা বেতন পাওয়ার আশায় কাজ করে যাচ্ছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার চাপাদহ গ্রামের নারী শ্রমিক সাজেদা বেগম বলেন, ‘আগে অন্যের বাড়িতে কাজ করেছি। চার বছর ধরে রাস্তায় মাটির কাজ করছি। তিন সদস্যের সংসার ভালোভাবে চলছিল। কিন্তু ছয় মাস ধরে কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। ধারদেনা করে সংসার চালাচ্ছি। ঈদের আগে টাকা না পেলে সমস্যায় পড়ব।’ একই ধরনের কথা বলেন সাঘাটা উপজেলার শিমুলতাইর গ্রামের আনোয়ারা বেগম, বোনারপাড়া গ্রামের সুফিয়া বেগম ও ঝর্ণা খাতুন এবং শিবগঞ্জের আফরোজা বেগমসহ কয়েকজন।
গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল হোসেন বলেন, দুটি উদ্দেশ্যে সরকার এই নারী শ্রমিকদের নিয়োগ করে। তা হলো দরিদ্র নারীদের কর্মসংস্থান এবং সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ। কিন্তু বেতন-ভাতা না পাওয়ায় নারী শ্রমিকেরা কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। গত ২৪ জুলাই বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য বিল দাখিল করা হলেও জেলা হিসাবরক্ষক টাকা ছাড় দিতে অপরাগতা জানান। তাই তাঁদের বেতন-ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না।
জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এ বি এম মুসা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই নারী শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে পল্লি কর্মসংস্থান ও সড়ক সংস্কার নামে পাঁচ বছর মেয়াদি এই কর্মসূচিতে গাইবান্ধার সাত উপজেলায় দুই হাজার ৪৬০ জন নারী শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। এসব শ্রমিকের দায়িত্ব সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, সড়কে গাছ লাগানো এবং সেগুলোর পরিচর্যা করা। তাদের দেখভাল করার জন্য নিয়োগ করা হয় ১৯ জন সমন্বয়কারী। প্রত্যেক শ্রমিককে দৈনিক ৯০ টাকা মজুরি দেওয়া হয়। সপ্তাহে শুক্রবার ছুটি। ১৫ দিন পর পর মজুরি দেওয়ার কথা থাকলেও এক মাস পর তাঁদের মজুরি দেওয়া হয়েছে। ওই মজুরি দেওয়ার সময় শতকরা ৪০ টাকা শ্রমিকদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা রাখা হয়। সেই হিসাবে প্রত্যেক নারী শ্রমিককে প্রতিদিনের হাজিরায় ৫৪ টাকা নগদ দিয়ে বাকি ৩৬ টাকা সঞ্চয় রাখা হয়। কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় গত জানুয়ারি মাস থেকে তাঁদের বেতন বন্ধ রয়েছে। তবে তাঁরা বেতন পাওয়ার আশায় কাজ করে যাচ্ছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার চাপাদহ গ্রামের নারী শ্রমিক সাজেদা বেগম বলেন, ‘আগে অন্যের বাড়িতে কাজ করেছি। চার বছর ধরে রাস্তায় মাটির কাজ করছি। তিন সদস্যের সংসার ভালোভাবে চলছিল। কিন্তু ছয় মাস ধরে কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। ধারদেনা করে সংসার চালাচ্ছি। ঈদের আগে টাকা না পেলে সমস্যায় পড়ব।’ একই ধরনের কথা বলেন সাঘাটা উপজেলার শিমুলতাইর গ্রামের আনোয়ারা বেগম, বোনারপাড়া গ্রামের সুফিয়া বেগম ও ঝর্ণা খাতুন এবং শিবগঞ্জের আফরোজা বেগমসহ কয়েকজন।
গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল হোসেন বলেন, দুটি উদ্দেশ্যে সরকার এই নারী শ্রমিকদের নিয়োগ করে। তা হলো দরিদ্র নারীদের কর্মসংস্থান এবং সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ। কিন্তু বেতন-ভাতা না পাওয়ায় নারী শ্রমিকেরা কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। গত ২৪ জুলাই বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য বিল দাখিল করা হলেও জেলা হিসাবরক্ষক টাকা ছাড় দিতে অপরাগতা জানান। তাই তাঁদের বেতন-ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না।
জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এ বি এম মুসা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই নারী শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে।
No comments