মুক্তিযুদ্ধের নাটক উত্তরবংশের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন- সংস্কৃতি সংবাদ
স্বাধীনতাউত্তর প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা বর্ণনা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া এবং পরের প্রজন্মের কাছে দায়িত্ব অর্পণ এমন বিষয়বস্তুকে উপজীব্য করে নাটক ‘উত্তরবংশ’। রচনা করেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। নির্দেশনা দিয়েছেন গোলাম সারোয়ার।
এ প্রযোজনাটি মঞ্চে এনেছে সাহিত্যের বাচিক চর্চা ও প্রসার প্রতিষ্ঠান কণ্ঠশীলন। সোমবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়।
মূলত তিনটি চরিত্রকে ঘিরে এগিয়ে উত্তরবংশ নাটকের কাহিনী। একজন নাট্যকার ও তাঁর মেয়ে এবং এক রাজনীতিবিদ। নাট্যকার মুক্তিযুদ্ধে তাঁর স্ত্রীর আর্মিক্যাম্পে আটকে থাকা নিয়ে একটি নাটক রচনা করতে গিয়ে বার বার আটকে যাচ্ছেন। বার বার ঘুরেফিরে চলে আসছে তাঁর স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি। নাট্যকারের মেয়ে জানে না, কেন তার মা আত্মহত্যা করেছিল। অন্যদিকে রাজনীতিবিদ বার বার নাট্যকারকে তাগাদা দিতে থাকে একটি মুক্তিযুদ্ধের গণজাগরণমূলক নাটক লেখার জন্য। এই নাটকে মুক্তিযুদ্ধকালীন পাক হানাদারদের নৃশংসতা এবং বর্তমান সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের দৌরাত্ম্যের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এতে খ- খ-ভাবে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ঘটনা এবং ফ্ল্যাশব্যাকে মুক্তিযুদ্ধকালের ঘটনাও দেখানো হয়েছে।
নাটকটিতে প্রধান তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরা রহমান, ওমর ফারুক ঈমন ও জে এম মারুফ সিদ্দিকী। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, পাকবাহিনী, রাজাকার, জনগণ, মৃত মানুষসহ বিভিন্ন চরিত্রে রূপ দিয়েছেন রইস উল ইসলাম, শহীদুল্লাহ কায়সার, আব্দুর রাজ্জাক, শফিক সিদ্দিকী, সালাম খোকন, নুরুজ্জামান, আল আসাদ সমু, উম্মে তাসনুভা তানিল, রাজিয়া সুলতানা মুক্তা, রাখী ঘোষ, মৌসুমী আক্তার, মাহমুদুল হাসান ও আজাদুল ইসলাম। মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন মাসুদ রানা। আবহ সঙ্গীত করেছেন তাহসিনুর রহমান তালুকদার। আলোক সম্পাত করেছেন আতিকুল ইসলাম জয় এবং পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন সৈয়দা ইফাত আরা। কোরিওগ্রাফি করেছেন ফেরদৌস হাসান।
নাটকটি সম্পর্কে নির্দেশক গোলাম সারোয়ারের ভাষ্য, ১৯৭১ সালে বাঙালী মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করে। সেই স্বাধীনতা থেকে বর্তমান পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশের সব মানুষ আরেক যুদ্ধ করে চলেছে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচারের দাবি নিয়ে। একই সঙ্গে কেন এই বিচার এতদিনেও হলো না, কারা এই বিচার করতে ইচ্ছুক নন, কে এই দায়ভার গ্রহণ করবেÑ এমন আলোচনা চলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। কালের পরিক্রমায় এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে এগিয়ে আসে নতুন প্রজন্ম। এমনই একটি বিষয়ের নিখুঁত চিত্র উপস্থাপন করেছেন নাট্যকার তাঁর উত্তরবংশে। ১৯৭১ সাল থেকে এই বর্তমান অবধি ইতিহাসের সত্যনিষ্ঠ বিশ্লেষণ নিয়ে ’দেশ-মাতৃকার ক্রন্দনের রোল’ উত্তরবংশের সামনে হাজির করেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক।
মূলত তিনটি চরিত্রকে ঘিরে এগিয়ে উত্তরবংশ নাটকের কাহিনী। একজন নাট্যকার ও তাঁর মেয়ে এবং এক রাজনীতিবিদ। নাট্যকার মুক্তিযুদ্ধে তাঁর স্ত্রীর আর্মিক্যাম্পে আটকে থাকা নিয়ে একটি নাটক রচনা করতে গিয়ে বার বার আটকে যাচ্ছেন। বার বার ঘুরেফিরে চলে আসছে তাঁর স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি। নাট্যকারের মেয়ে জানে না, কেন তার মা আত্মহত্যা করেছিল। অন্যদিকে রাজনীতিবিদ বার বার নাট্যকারকে তাগাদা দিতে থাকে একটি মুক্তিযুদ্ধের গণজাগরণমূলক নাটক লেখার জন্য। এই নাটকে মুক্তিযুদ্ধকালীন পাক হানাদারদের নৃশংসতা এবং বর্তমান সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের দৌরাত্ম্যের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এতে খ- খ-ভাবে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ঘটনা এবং ফ্ল্যাশব্যাকে মুক্তিযুদ্ধকালের ঘটনাও দেখানো হয়েছে।
নাটকটিতে প্রধান তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরা রহমান, ওমর ফারুক ঈমন ও জে এম মারুফ সিদ্দিকী। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, পাকবাহিনী, রাজাকার, জনগণ, মৃত মানুষসহ বিভিন্ন চরিত্রে রূপ দিয়েছেন রইস উল ইসলাম, শহীদুল্লাহ কায়সার, আব্দুর রাজ্জাক, শফিক সিদ্দিকী, সালাম খোকন, নুরুজ্জামান, আল আসাদ সমু, উম্মে তাসনুভা তানিল, রাজিয়া সুলতানা মুক্তা, রাখী ঘোষ, মৌসুমী আক্তার, মাহমুদুল হাসান ও আজাদুল ইসলাম। মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন মাসুদ রানা। আবহ সঙ্গীত করেছেন তাহসিনুর রহমান তালুকদার। আলোক সম্পাত করেছেন আতিকুল ইসলাম জয় এবং পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন সৈয়দা ইফাত আরা। কোরিওগ্রাফি করেছেন ফেরদৌস হাসান।
নাটকটি সম্পর্কে নির্দেশক গোলাম সারোয়ারের ভাষ্য, ১৯৭১ সালে বাঙালী মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করে। সেই স্বাধীনতা থেকে বর্তমান পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশের সব মানুষ আরেক যুদ্ধ করে চলেছে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচারের দাবি নিয়ে। একই সঙ্গে কেন এই বিচার এতদিনেও হলো না, কারা এই বিচার করতে ইচ্ছুক নন, কে এই দায়ভার গ্রহণ করবেÑ এমন আলোচনা চলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। কালের পরিক্রমায় এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে এগিয়ে আসে নতুন প্রজন্ম। এমনই একটি বিষয়ের নিখুঁত চিত্র উপস্থাপন করেছেন নাট্যকার তাঁর উত্তরবংশে। ১৯৭১ সাল থেকে এই বর্তমান অবধি ইতিহাসের সত্যনিষ্ঠ বিশ্লেষণ নিয়ে ’দেশ-মাতৃকার ক্রন্দনের রোল’ উত্তরবংশের সামনে হাজির করেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক।
No comments