৫শ’ বছরের ঐতিহ্যের ঈদমেলায় লাখো মানুষের ঢল by শরীফ সুমন
রাজশাহীর বাঘায় প্রতি বছরই বসে ঈদমেলা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের দ্বিতীয় দিনে প্রায় ৫শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মেলায় লাখো মানুষের সম্মিলন ঘটেছে। যেন গ্রামের মেঠো পথ ছুঁয়ে মানুষের মিলনমেলা বসেছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতেও মেলায় আসা জনস্রোত বাধ মানেনি।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আব্বাসীয় বংশের হযরত শাহ্ মোয়াজ্জেম ওরফে শাহ দৌলা (রহ.) ও তার ছেলে হযরত আবদুল হামিদ দানিসমন্দ (রহ.) এর সাধনার পীঠস্থান বাঘা।
আধ্যাত্মিক দরবেশের ওফাত দিবসে প্রতি বছর আরবি শাওয়াল মাসের ৩ তারিখে ধর্মীয় ওরস মোবারক উৎসবকে সামনে রেখে বাঘা ওয়াকফ এস্টেটের উদ্যোগে বিশাল এলাকা জুড়ে ঈদ-উল-ফিতরের সময় আয়োজন করা হয় এই ঈদমেলা।
মেলাকে ঘিরে লাখো মানুষ সমবেত হন এখানে। মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব হলেও সব সম্প্রদায়ের মানুষই আসেন এই মেলায়। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে সবাই জড়ো হন মেলাস্থলে।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ঐতিহাসিক ঈদমেলা এবার ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। গত ৯ আগস্ট বাঘা মাজার শরীফ চত্ত্বরে মাত্র এক সপ্তাহের জন্য উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে এ মেলার ইজারা সম্পন্ন করা হয়। এ বছর মেলার ইজারা নিয়েছেন বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ।
মেলাকে কেন্দ্র করে দোকানিরা তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। মেলায় বেচা-কেনা চলছে গভীর রাত পর্যন্ত। এখানে পাওয়া যাচ্ছে মিষ্টি, খেলনা, মনোহরী সামগ্রী।
মেলাকে ঘিরে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে- সার্কাস ও মৃত্যুকূপ ও মোটরসাইকেল খেলা। এছাড়া বিভিন্ন খেলাধূলারও আয়োজন করা হয়। শাহে দৌলা ডিগ্রি কলেজ মাঠ জুড়ে বসানো হয়েছে ফার্নিচার সামগ্রীর স্টলও।
এছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে লোহা ও কাঠের তৈরি আসবাবপত্র, মাটির তৈরি খেলনাসহ নাটোরের বনলতা সেন পান। ওরস মোবারককে ঘিরে মাজার প্রাঙ্গণ এলাকায় সারারাত চলছে ভক্তদের জিকির ও সামা কাওয়ালি। অসংখ্য সাধারণ মানুষও যোগ দিচ্ছেন এতে।
মাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব খন্দকার মুনসুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এবার মেলায় ৫ শতাধিক স্টল রয়েছে। ঈদ-উল-ফিতরের দিন থেকে মেলা শুরু হয়েছে। চলবে সপ্তাহব্যাপী। এতে উপজেলা ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা অংশ নিচ্ছেন।
প্রতি বছরই পাপ মোচন ও পূণ্য লাভের আশায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ বাঘায় আসেন পবিত্র ওরস মোবারকে অংশ নিতে ও মাজারে নামাজ আদায় করতে।
তাই ঈদমেলার পাশাপাশি ওরস মোবারক আয়োজনেও এখন ব্যস্ত বাঘা ওয়াকফ এস্টেট কর্তৃপক্ষ।
শিল্প মহিমার বিস্ময় জাগরিত স্থাপত্য নকশার অনন্য নিদর্শন বাঘা শাহী মসজিদের ভেতরে প্রবেশ পথের উত্তরে বাঁ দিকে হযরত শাহ মোয়াজ্জেম ওরফে শাহে দৌলা (রহ.) এর মাজার শরিফ। শাহী মসজিদের উত্তরে খানকা বাড়ির ভেতরে রয়েছে তার ছেলে হযরত শাহ্ আবদুল হামিদ (রহ.) এর মাজার শরিফ। তারা প্রায় ৫শ’ বছর আগে সুদূর বাগদাদ থেকে পাঁচজন সঙ্গীসহ ইসলাম প্রচারের জন্য রাজশাহীর বাঘায় এসেছিলেন।
তারা রাজশাহীর পূর্ব-দক্ষিণ কোণে পদ্মা নদীর কাছে কসবে বাঘা নামক স্থানে বসবাস শুরু করেন। নিজেদের চারিত্রিক মাধুর্য, ব্যবহার ও আধ্যাত্মিক শক্তি দিয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয় জয় করেন তারা।
এক পর্যায়ে ওই এলাকার জনগণের মধ্যে ইসলাম প্রচারে সাফল্য পান। ধর্মীয় ওই ওরসকে কেন্দ্র করেই প্রতি বছর ঈদ-উল-ফিতরের এ মেলা বসছে। বাঘা ওয়াকফ এস্টেট পরিচালনা কমিটি ধর্মীয় আয়োজনে ওরস ও মেলা পরিচালনা করে থাকেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৫শ’ বছরের পুরোনো ইতিহাস অনুযায়ী, এখানে ছিল উপমহাদেশের প্রথম ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও মাজার শরীফের পাশে আছে বিশাল এক দিঘী। বাঘা শাহী মসজিদের ছবি ৫০ টাকার নোটে প্রতিকৃতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ওরস ছাড়াও সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার মনোবাসনা পূরণের জন্য হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে বাঘা শাহী মসজিদ ও মাজার শরিফে।
আধ্যাত্মিক দরবেশের ওফাত দিবসে প্রতি বছর আরবি শাওয়াল মাসের ৩ তারিখে ধর্মীয় ওরস মোবারক উৎসবকে সামনে রেখে বাঘা ওয়াকফ এস্টেটের উদ্যোগে বিশাল এলাকা জুড়ে ঈদ-উল-ফিতরের সময় আয়োজন করা হয় এই ঈদমেলা।
মেলাকে ঘিরে লাখো মানুষ সমবেত হন এখানে। মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব হলেও সব সম্প্রদায়ের মানুষই আসেন এই মেলায়। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে সবাই জড়ো হন মেলাস্থলে।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ঐতিহাসিক ঈদমেলা এবার ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। গত ৯ আগস্ট বাঘা মাজার শরীফ চত্ত্বরে মাত্র এক সপ্তাহের জন্য উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে এ মেলার ইজারা সম্পন্ন করা হয়। এ বছর মেলার ইজারা নিয়েছেন বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ।
মেলাকে কেন্দ্র করে দোকানিরা তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। মেলায় বেচা-কেনা চলছে গভীর রাত পর্যন্ত। এখানে পাওয়া যাচ্ছে মিষ্টি, খেলনা, মনোহরী সামগ্রী।
মেলাকে ঘিরে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে- সার্কাস ও মৃত্যুকূপ ও মোটরসাইকেল খেলা। এছাড়া বিভিন্ন খেলাধূলারও আয়োজন করা হয়। শাহে দৌলা ডিগ্রি কলেজ মাঠ জুড়ে বসানো হয়েছে ফার্নিচার সামগ্রীর স্টলও।
এছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে লোহা ও কাঠের তৈরি আসবাবপত্র, মাটির তৈরি খেলনাসহ নাটোরের বনলতা সেন পান। ওরস মোবারককে ঘিরে মাজার প্রাঙ্গণ এলাকায় সারারাত চলছে ভক্তদের জিকির ও সামা কাওয়ালি। অসংখ্য সাধারণ মানুষও যোগ দিচ্ছেন এতে।
মাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব খন্দকার মুনসুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এবার মেলায় ৫ শতাধিক স্টল রয়েছে। ঈদ-উল-ফিতরের দিন থেকে মেলা শুরু হয়েছে। চলবে সপ্তাহব্যাপী। এতে উপজেলা ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা অংশ নিচ্ছেন।
প্রতি বছরই পাপ মোচন ও পূণ্য লাভের আশায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ বাঘায় আসেন পবিত্র ওরস মোবারকে অংশ নিতে ও মাজারে নামাজ আদায় করতে।
তাই ঈদমেলার পাশাপাশি ওরস মোবারক আয়োজনেও এখন ব্যস্ত বাঘা ওয়াকফ এস্টেট কর্তৃপক্ষ।
শিল্প মহিমার বিস্ময় জাগরিত স্থাপত্য নকশার অনন্য নিদর্শন বাঘা শাহী মসজিদের ভেতরে প্রবেশ পথের উত্তরে বাঁ দিকে হযরত শাহ মোয়াজ্জেম ওরফে শাহে দৌলা (রহ.) এর মাজার শরিফ। শাহী মসজিদের উত্তরে খানকা বাড়ির ভেতরে রয়েছে তার ছেলে হযরত শাহ্ আবদুল হামিদ (রহ.) এর মাজার শরিফ। তারা প্রায় ৫শ’ বছর আগে সুদূর বাগদাদ থেকে পাঁচজন সঙ্গীসহ ইসলাম প্রচারের জন্য রাজশাহীর বাঘায় এসেছিলেন।
তারা রাজশাহীর পূর্ব-দক্ষিণ কোণে পদ্মা নদীর কাছে কসবে বাঘা নামক স্থানে বসবাস শুরু করেন। নিজেদের চারিত্রিক মাধুর্য, ব্যবহার ও আধ্যাত্মিক শক্তি দিয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয় জয় করেন তারা।
এক পর্যায়ে ওই এলাকার জনগণের মধ্যে ইসলাম প্রচারে সাফল্য পান। ধর্মীয় ওই ওরসকে কেন্দ্র করেই প্রতি বছর ঈদ-উল-ফিতরের এ মেলা বসছে। বাঘা ওয়াকফ এস্টেট পরিচালনা কমিটি ধর্মীয় আয়োজনে ওরস ও মেলা পরিচালনা করে থাকেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৫শ’ বছরের পুরোনো ইতিহাস অনুযায়ী, এখানে ছিল উপমহাদেশের প্রথম ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও মাজার শরীফের পাশে আছে বিশাল এক দিঘী। বাঘা শাহী মসজিদের ছবি ৫০ টাকার নোটে প্রতিকৃতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ওরস ছাড়াও সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার মনোবাসনা পূরণের জন্য হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে বাঘা শাহী মসজিদ ও মাজার শরিফে।
No comments