চলে গেলেন শাফায়াত জামিল
চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শাফায়াত জামিল। শুক্রবার নিজের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে দ্রুত এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নিয়ে যাবার পথে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তাঁর মৃত্যু কেবল তাঁর পরিবারে শূন্যতা সৃষ্টি করেনি।
তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ হারাল এক বীর দেশপ্রেমিক মানুষকে। শনিবার ঢাকার বনানীর সেনাবাহিনীর কবরস্থানে তাঁকে চিরদিনের জন্য শায়িত করা হয়। উল্লেখ্য যে, এই সাহসী বাংলার বীর সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্বের জন্য বীরবিক্রম খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান পর্বত সমান। ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তিনি কেবল সফল সামরিক কর্মকর্তাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন মানুষ হিসেবে বিনয়ী ও স্নেহশীল।
শাফায়াত জামিলের জন্ম হয় কিশোরগঞ্জে। তাঁর পিতা এএইচএম করিমুল্লাহ পূর্ব পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পর পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে ১৯৬৪ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন। কর্নেল জামিল ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে থাকাকালীন ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। পরে তিনি ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৩ নবেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থানে খালেদ মোশাররফের সঙ্গী ছিলেন কর্নেল সাফায়াত জামিল। খালেদ মোশাররফ নিহত হবার পরে তিনি গ্রেফতার হন। ১৯৮০ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করে নিভৃতে জীবনযাপন করছিলেন। মহান এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে শেষ বিদায় জানানো হয় পূর্ণ সামরিক মর্যাদায়। আমরা তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে জানাই গভীর সমবেদনা। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদান চিরকালই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
শাফায়াত জামিলের জন্ম হয় কিশোরগঞ্জে। তাঁর পিতা এএইচএম করিমুল্লাহ পূর্ব পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পর পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে ১৯৬৪ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন। কর্নেল জামিল ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে থাকাকালীন ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। পরে তিনি ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৩ নবেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থানে খালেদ মোশাররফের সঙ্গী ছিলেন কর্নেল সাফায়াত জামিল। খালেদ মোশাররফ নিহত হবার পরে তিনি গ্রেফতার হন। ১৯৮০ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করে নিভৃতে জীবনযাপন করছিলেন। মহান এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে শেষ বিদায় জানানো হয় পূর্ণ সামরিক মর্যাদায়। আমরা তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে জানাই গভীর সমবেদনা। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদান চিরকালই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
No comments