ফ্যাশন সচেতন তরুণ প্রজন্ম
সবাই চায় নিজেকে সুন্দর দেখাতে, সুন্দর থাকতে। আর এই সুন্দর দেখানোর জন্য; সুন্দর থাকার জন্য নিজের যতœ নিতে হবে এবং সেই সাথে থাকতে হবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। ভাবতে/বলতে ভাল লাগছে তরুণদের মধ্যে বেড়েছে রুপ সচেতনতা। এমন সময় ছিল যে রুপ চর্চা বা রুপ সচেতনতা বিলে একেবারে মেয়েলী ব্যাপার।
কোন ছেলে করবে রুপ চর্চা? ব্যাপারটি একেবারে হাস্যকর ও লজ্জার ছিল। ছেলেদের সেলুনগুলো চুল কাটা ও সেভ করা পর্যন্ত ছিল। দিন বদলেছে, সময়ে সঙ্গে পাল্টে গেছে সব। এখন তরুণদের রুপ সচেতনতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেলুন গুলোও এগিয়ে চলেছে।
এখন রুপ সচেতন তরুণের স্বাস্থ্য সৌন্দর্যের সুরক্ষার শরীরটাকে ঠিক রাখা। ভীষন জরুরী। ফিট থাকতে কয়েকটি টিপস্ অত্যন্ত জরুরী। মানতে হবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। একজন সুস্থ মানুষের আট/নয় ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। বেশী রাত জেগে পড়াশোনা/টিভি না দেখে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করাই ভাল। ঘুম ও বিশ্রামের অভাবে চোখের নিচে কালো ছাপ পড়তে পারে।
প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে পানি পান করা উচিত। কম হলেও আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করতে হবে। যারা বাইরে রোদে ঘোরাফেরা করেন তাদের আরো চার/পাঁচ গ্লাস পানি পান করতে হবে।বেশি পানি শরীর থেকে বজ্য বের করে, ত্বক সুন্দর রাখে। সতেজ রাখে।
হাসি খুশি থাকতে হবে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমাতে হবে। হাসি খুশি থেকে পরিবারের সঙ্গে ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গল্প করে ও ভাল বই পড়ে সময় কাটানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার ফলে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে ত্বকে ব্লাক হেড ও হোয়াইট হেড দেখা দিতে পারে। আরো দেখা দিতে পারে ব্রনের সমস্যা। সেই সঙ্গে ত্বক মলিন হয়ে পড়তে পারে।
ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। হুট করে ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। পেইন কিলার বা ব্যথানাশক ওষুধের ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকা উচিত। অকারন ওষুধ সেবন আপনার স্কিন, চুল ও ফিটনেস নষ্ট করে দিতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিৎ এতে করে শরীরের বাড়তি ক্যালরী ঝড়ে গিয়ে শরীর ফিট থাকে। তেল-চর্বি, জাতীয় খাদ্য, রেডসিট, সরাসরি মিষ্টি জাতীয় খাদ্যের অভ্যাস কমাতে হবে। শাক-সবজি, দেশীয় ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। শাক সবজিতে থাকে ফলিক এসিড যা মেদ বাড়তে দেয় না। শরীর থাকে ফিট বাইরের জুস,কোক এসব না খেয়ে ডাবের পানি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন প্রচুর শাক সবজি ফলমূল খাওয়া উচিত। হালকা ব্যায়াম ও হাটাহাটি করা উচিৎ। একজন তরুণের সুন্দর থাকতে এই টিপস্ গুলি জানার পাশাপাশি কিছু যন্ত্রের ও প্রয়োজন আছে যেমন হাত ও পায়ের যতেœ মেনিকিওর, পেড়িকিওর, চুলের নানা সমস্যার জন্য নানা ধরনের হেড ম্যাসাজ। মুখের নানা স্পা। এই ঢাকাতেই নানা স্থানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্পা সেন্টার ও ম্যাসাজ সেন্টার এবং ছেলেদের সেলুন। যে সব স্থানে আপনিও আপনার সেবাটি নিতে পারেন। আপনার যতœ ও ধরন বুঝে। হেয়ারো বিক্স একেবারেই পুরোটাই ছেলেদের সেলুন এখানে ছেলেদের চুল কাটা, সেইভ করা থেকে শুরু করে ফেসিয়াল, মেনিকিউর, পেডিকিউর, ট্রাডিশনাল, থাই ম্যাসাজ, ফুট ম্যাজা, স্পার অ্যারোমা পাওয়ার। শিরোধার, অ্যারোমা থেরাপি ম্যাসাজ, রিজুভেনেশান, সুইডিশ বড়ি, ব্লিক বডি হোয়াইটেনিং, অক্সিজেন ফেসিয়াল ইত্যাদি সেবা প্রদান করে আসছে। এছাড়াও রেডিসন, ওয়াটার গার্ডেন, হোটেল সোনার গাঁ, সেরাটন, ওয়েষ্টিন, পারসোনা অ্যাডামস্ প্রত্যেক তরুণই চুলের ট্রেন্ডিশানের ব্যাপারে সচেতন। সোজা কথা চলতি ফ্যাশনের হেয়ারস্টাইল ট্রেন্ডি পোশাকের সঙ্গে না করতে পারলে পুরো সাজটাই বৃথা। সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে চুলে কাট ও কালার ঈদকে সামনে রেখে ফ্যাশান ভাবনার অনেক বড় অংশ জুড়ে থাকে এই চুল। চুলের নানা ধরনের কাটিং ও কালার চেঞ্জ করে একজন তরুণ হয়ে উঠতে পারে একেবারেই সবার চোখে নতুন একজন সময়ের সঙ্গে ও স্কিনের কালারের সঙ্গে মানিয়ে চুলের রঙ করা হয়ে থাকে। ছেলেদের এবারের চুলের নতুন কাটিং এর মধ্যে বিভিন্নমাত্রার লেয়ার লং লেয়ার ও শর্ট লেয়ার। কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টে যেয়ে ওয়েভি ষ্টাইল করা যেতে পারে এটাও বেশ জনপ্রিয়। চলছে বাঙ্গস। জাষ্টিন বেইবার খুব অল্প বড়সেই রাতারাতি মহা তারকা হয়ে উঠেছেন। এই তারকার চুলে স্টাইলটি হচ্ছে ব্যাঙ্গস। যারা চুলকে কিছুটা ছোট রেখে স্টাইল করতে চান তাদের জন্য কনজাকেটিং কাট বেছে নেয়া হবে বুদ্ধিমানদের কাজ কিছুটা পুরনো হলেও এবারও চলছে চির তরুণ স্পাইক। স্পাইকের অনেক রকম কোর থাকলেও চুল ছোট রেখে চুলটা সামনে পেছনে যেভাবে খুশি রেখে কিছুটা সোজা করে দিতে হয় জেল ব্যবহার করে।
চুলের স্টাইলের পাশাপাশি চুলের যতেœর দিকে খেয়াল রাখা জরুরী। রোদের প্রখর তাপে চুলযেন সানবার্নের সমস্যা না হয়। সানবার্ন হলে চুল শুধু রক্ষèই হয় না, চুল ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। এই সমস্যার জন্য প প্রাচীন সমৃদ্ধ ডি কন্ডিশনার খুব ভাল কাজ করে। আবার যাদের চুল খুব পাতলা তারা ওয়াটার বেসকন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। ১টা ডিম ও কিছুটা টকদই একসঙ্গে ফেটে চুলে আধা ঘন্টা লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর শ্যাম্পু করে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে।এতে করে চুলের ভলিউম বাড়বে এবং উজ্জলতাও বেড়ে যাবে অনেকটা। যাদের খুশকির সমস্যা তারা পিয়াজের রস আধা ঘন্টা লাগিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলে খুশকি অনেকটাই কমে যাবে। যদি চুল পড়ায় সমস্যা হয় তাহলে ডিমের কুসুমের সঙ্গে অল্পআনিক অয়েল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। আবার নারকেল তেল অলিভ অয়েল লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করলেও চুল পড়া অনেক কমে যাবে।
চুলের যতেœর পাশাপাশি মুখের ও যতেœর দরকার। আর এই জন্যে প্রথমেই নিজে ত্বকের ধরন জেনে নেয়া দরকার। ত্বকের সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে শুষ্ক, তৈলাক্ত, মিশ্র। ধরন বুঝে ত্বকের যতœ করা উচিৎ। লোশান,ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহারের আগে কি ধরনের ত্বকের জন্য তা জেনে নিতে হবে। রোদে বের হলে সান প্রোটেকশান লোশান ব্যবহার করা জরুরী। সেই সঙ্গে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভাল বা রোদ চশমা সানগ্লাস ব্যবহার করা প্রয়োজন। অনেকের বাইরে বেশী ঘোরাফেরার জন্য গরমে অতিরিক্ত ধূলা ময়লা ও সিবাম অর্থাৎ তেল সিরেসিয়াস গ্লান্ডের পথে গিয়ে জমে ব্লাকহেড, হোয়াইট হেক্স তৈরি হয় যা খুব অস্বস্থিদায়ক। এ রকম হলে বিশেষ সমস্যা না হলে ঘরেই এক টেবিল চামচ টক দই এক টেবিল চামচ চালের গুড়া মিশিয়ে এই প্যাক ব্লাকহেডক্স হওয়া স্থানে হালকা ঘষে লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এছাড়া মধু, লেবুর রস, টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। খুব বেশী সমস্যা হলে প্রয়োসোনাল সাহায্য নিতে হবে। কারো কারো মুখে কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায় যা ব্রন থেকে বা এলার্জি থেকে হয়ে থাকে। এরকম হলে মশুর ডাল ও চন্দন এর গুড়ো মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে আধা ঘন্টা পারলে ১ ঘন্টা রেখে পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুতে হবে। চন্দনের গুড়ো গোলাপজলে মিলিয়েও প্যাকতৈরি করে একই নিয়মে ব্যবহার করা যেতে পারে।
রুবা রহমান
এখন রুপ সচেতন তরুণের স্বাস্থ্য সৌন্দর্যের সুরক্ষার শরীরটাকে ঠিক রাখা। ভীষন জরুরী। ফিট থাকতে কয়েকটি টিপস্ অত্যন্ত জরুরী। মানতে হবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। একজন সুস্থ মানুষের আট/নয় ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। বেশী রাত জেগে পড়াশোনা/টিভি না দেখে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করাই ভাল। ঘুম ও বিশ্রামের অভাবে চোখের নিচে কালো ছাপ পড়তে পারে।
প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে পানি পান করা উচিত। কম হলেও আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করতে হবে। যারা বাইরে রোদে ঘোরাফেরা করেন তাদের আরো চার/পাঁচ গ্লাস পানি পান করতে হবে।বেশি পানি শরীর থেকে বজ্য বের করে, ত্বক সুন্দর রাখে। সতেজ রাখে।
হাসি খুশি থাকতে হবে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমাতে হবে। হাসি খুশি থেকে পরিবারের সঙ্গে ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গল্প করে ও ভাল বই পড়ে সময় কাটানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার ফলে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে ত্বকে ব্লাক হেড ও হোয়াইট হেড দেখা দিতে পারে। আরো দেখা দিতে পারে ব্রনের সমস্যা। সেই সঙ্গে ত্বক মলিন হয়ে পড়তে পারে।
ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। হুট করে ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। পেইন কিলার বা ব্যথানাশক ওষুধের ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকা উচিত। অকারন ওষুধ সেবন আপনার স্কিন, চুল ও ফিটনেস নষ্ট করে দিতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিৎ এতে করে শরীরের বাড়তি ক্যালরী ঝড়ে গিয়ে শরীর ফিট থাকে। তেল-চর্বি, জাতীয় খাদ্য, রেডসিট, সরাসরি মিষ্টি জাতীয় খাদ্যের অভ্যাস কমাতে হবে। শাক-সবজি, দেশীয় ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। শাক সবজিতে থাকে ফলিক এসিড যা মেদ বাড়তে দেয় না। শরীর থাকে ফিট বাইরের জুস,কোক এসব না খেয়ে ডাবের পানি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন প্রচুর শাক সবজি ফলমূল খাওয়া উচিত। হালকা ব্যায়াম ও হাটাহাটি করা উচিৎ। একজন তরুণের সুন্দর থাকতে এই টিপস্ গুলি জানার পাশাপাশি কিছু যন্ত্রের ও প্রয়োজন আছে যেমন হাত ও পায়ের যতেœ মেনিকিওর, পেড়িকিওর, চুলের নানা সমস্যার জন্য নানা ধরনের হেড ম্যাসাজ। মুখের নানা স্পা। এই ঢাকাতেই নানা স্থানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্পা সেন্টার ও ম্যাসাজ সেন্টার এবং ছেলেদের সেলুন। যে সব স্থানে আপনিও আপনার সেবাটি নিতে পারেন। আপনার যতœ ও ধরন বুঝে। হেয়ারো বিক্স একেবারেই পুরোটাই ছেলেদের সেলুন এখানে ছেলেদের চুল কাটা, সেইভ করা থেকে শুরু করে ফেসিয়াল, মেনিকিউর, পেডিকিউর, ট্রাডিশনাল, থাই ম্যাসাজ, ফুট ম্যাজা, স্পার অ্যারোমা পাওয়ার। শিরোধার, অ্যারোমা থেরাপি ম্যাসাজ, রিজুভেনেশান, সুইডিশ বড়ি, ব্লিক বডি হোয়াইটেনিং, অক্সিজেন ফেসিয়াল ইত্যাদি সেবা প্রদান করে আসছে। এছাড়াও রেডিসন, ওয়াটার গার্ডেন, হোটেল সোনার গাঁ, সেরাটন, ওয়েষ্টিন, পারসোনা অ্যাডামস্ প্রত্যেক তরুণই চুলের ট্রেন্ডিশানের ব্যাপারে সচেতন। সোজা কথা চলতি ফ্যাশনের হেয়ারস্টাইল ট্রেন্ডি পোশাকের সঙ্গে না করতে পারলে পুরো সাজটাই বৃথা। সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে চুলে কাট ও কালার ঈদকে সামনে রেখে ফ্যাশান ভাবনার অনেক বড় অংশ জুড়ে থাকে এই চুল। চুলের নানা ধরনের কাটিং ও কালার চেঞ্জ করে একজন তরুণ হয়ে উঠতে পারে একেবারেই সবার চোখে নতুন একজন সময়ের সঙ্গে ও স্কিনের কালারের সঙ্গে মানিয়ে চুলের রঙ করা হয়ে থাকে। ছেলেদের এবারের চুলের নতুন কাটিং এর মধ্যে বিভিন্নমাত্রার লেয়ার লং লেয়ার ও শর্ট লেয়ার। কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টে যেয়ে ওয়েভি ষ্টাইল করা যেতে পারে এটাও বেশ জনপ্রিয়। চলছে বাঙ্গস। জাষ্টিন বেইবার খুব অল্প বড়সেই রাতারাতি মহা তারকা হয়ে উঠেছেন। এই তারকার চুলে স্টাইলটি হচ্ছে ব্যাঙ্গস। যারা চুলকে কিছুটা ছোট রেখে স্টাইল করতে চান তাদের জন্য কনজাকেটিং কাট বেছে নেয়া হবে বুদ্ধিমানদের কাজ কিছুটা পুরনো হলেও এবারও চলছে চির তরুণ স্পাইক। স্পাইকের অনেক রকম কোর থাকলেও চুল ছোট রেখে চুলটা সামনে পেছনে যেভাবে খুশি রেখে কিছুটা সোজা করে দিতে হয় জেল ব্যবহার করে।
চুলের স্টাইলের পাশাপাশি চুলের যতেœর দিকে খেয়াল রাখা জরুরী। রোদের প্রখর তাপে চুলযেন সানবার্নের সমস্যা না হয়। সানবার্ন হলে চুল শুধু রক্ষèই হয় না, চুল ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। এই সমস্যার জন্য প প্রাচীন সমৃদ্ধ ডি কন্ডিশনার খুব ভাল কাজ করে। আবার যাদের চুল খুব পাতলা তারা ওয়াটার বেসকন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। ১টা ডিম ও কিছুটা টকদই একসঙ্গে ফেটে চুলে আধা ঘন্টা লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর শ্যাম্পু করে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে।এতে করে চুলের ভলিউম বাড়বে এবং উজ্জলতাও বেড়ে যাবে অনেকটা। যাদের খুশকির সমস্যা তারা পিয়াজের রস আধা ঘন্টা লাগিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলে খুশকি অনেকটাই কমে যাবে। যদি চুল পড়ায় সমস্যা হয় তাহলে ডিমের কুসুমের সঙ্গে অল্পআনিক অয়েল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। আবার নারকেল তেল অলিভ অয়েল লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করলেও চুল পড়া অনেক কমে যাবে।
চুলের যতেœর পাশাপাশি মুখের ও যতেœর দরকার। আর এই জন্যে প্রথমেই নিজে ত্বকের ধরন জেনে নেয়া দরকার। ত্বকের সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে শুষ্ক, তৈলাক্ত, মিশ্র। ধরন বুঝে ত্বকের যতœ করা উচিৎ। লোশান,ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহারের আগে কি ধরনের ত্বকের জন্য তা জেনে নিতে হবে। রোদে বের হলে সান প্রোটেকশান লোশান ব্যবহার করা জরুরী। সেই সঙ্গে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভাল বা রোদ চশমা সানগ্লাস ব্যবহার করা প্রয়োজন। অনেকের বাইরে বেশী ঘোরাফেরার জন্য গরমে অতিরিক্ত ধূলা ময়লা ও সিবাম অর্থাৎ তেল সিরেসিয়াস গ্লান্ডের পথে গিয়ে জমে ব্লাকহেড, হোয়াইট হেক্স তৈরি হয় যা খুব অস্বস্থিদায়ক। এ রকম হলে বিশেষ সমস্যা না হলে ঘরেই এক টেবিল চামচ টক দই এক টেবিল চামচ চালের গুড়া মিশিয়ে এই প্যাক ব্লাকহেডক্স হওয়া স্থানে হালকা ঘষে লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এছাড়া মধু, লেবুর রস, টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। খুব বেশী সমস্যা হলে প্রয়োসোনাল সাহায্য নিতে হবে। কারো কারো মুখে কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায় যা ব্রন থেকে বা এলার্জি থেকে হয়ে থাকে। এরকম হলে মশুর ডাল ও চন্দন এর গুড়ো মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে আধা ঘন্টা পারলে ১ ঘন্টা রেখে পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুতে হবে। চন্দনের গুড়ো গোলাপজলে মিলিয়েও প্যাকতৈরি করে একই নিয়মে ব্যবহার করা যেতে পারে।
রুবা রহমান
No comments