নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন-কায়রো-ওয়াশিংটনের নিরাপত্তা আলোচনা জোরদার
সিনাই উপদ্বীপের উত্তর সীমান্তে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনা জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর। উপদ্বীপটির ক্রমশ অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন একটি নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজ প্রণয়নের ব্যাপারে আলোচনা করছেন দেশ দুটির কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমস গত শনিবার এ খবর দিয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, মিসরীয় সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য (ইন্টেলিজেন্স) আদান-প্রদানের একাধিক উপায় নিয়ে মিসর সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোনে কথোপকথন বা তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগের সূত্র ধরে জঙ্গিদের অবস্থান নির্ণয় ও পাকড়াও করা, স্যাটেলাইট, ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) ও অন্য বিমানের মাধ্যমে ধারণ করা আলোকচিত্র একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া।
গত রবিবার উত্তর সিনাই সীমান্তে জঙ্গি হামলায় ১৬ মিসরীয় সীমান্তরক্ষী নিহত হন। এ ঘটনায় নিরাপত্তার ব্যাপারে বড় ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়ে মোহাম্মদ মুরসির নতুন সরকার। এর জেরে গোয়েন্দাপ্রধান মুরাদ মোয়াফিয়া ও উত্তর সিনাই প্রদেশের গভর্নর আবদুল ওয়াহাব মাবরুকসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্তও করেন প্রেসিডেন্ট। ধারণা করা হয়, হামলাকারীরা আর্মি অব ইসলাম নামের একটি ছোট কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর সদস্য। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি হামলার জন্য এ গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছে মিসর সরকার। ইতিমধ্যে সীমান্তরক্ষীদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে গত বুধবার থেকে অভিযান শুরু করে মিসরের সেনাবাহিনী। তাদের বিমান হামলায় সেদিন ২০ জঙ্গি মারা যায়। গতকাল রবিবারও সেনা অভিযানে সন্দেহভাজন ৯ জঙ্গি নিহত হয়েছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তর পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা বলেন, 'সিনাইয়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে সজাগ থাকার ব্যাপারে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।' তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও গোয়েন্দা চ্যানেলে নিরাপত্তার ব্যাপারে বরাবরই আলোচনা হয়ে আসছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সাম্প্রতিক আফ্রিকা সফরের সময় মুরসি সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিশাম কানদিলের সঙ্গে কথা বলেছেন হিলারি। সে সময় সিনাই হামলার ব্যাপারেও শোক জানান তিনি।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, প্রতিবছর সামরিক সহায়তা বাবদ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৫০ কোটি ডলার পায় মিসর। কিন্তু তার পরও নিরাপত্তার ব্যাপারে ওয়াশিংটনের সরাসরি হস্তক্ষেপের ব্যাপারে প্রবল আপত্তি ছিল দেশটির সরকারের। তবে সিনাইয়ের হামলার ঘটনার পর দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক যোগাযোগ ও সহায়তা বৃদ্ধির ব্যাপারে মুরসি সরকার আর আপত্তি করবে না বলে আশাবাদী মার্কিন কর্মকর্তারা। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, মিসরীয় সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য (ইন্টেলিজেন্স) আদান-প্রদানের একাধিক উপায় নিয়ে মিসর সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোনে কথোপকথন বা তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগের সূত্র ধরে জঙ্গিদের অবস্থান নির্ণয় ও পাকড়াও করা, স্যাটেলাইট, ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) ও অন্য বিমানের মাধ্যমে ধারণ করা আলোকচিত্র একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া।
গত রবিবার উত্তর সিনাই সীমান্তে জঙ্গি হামলায় ১৬ মিসরীয় সীমান্তরক্ষী নিহত হন। এ ঘটনায় নিরাপত্তার ব্যাপারে বড় ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়ে মোহাম্মদ মুরসির নতুন সরকার। এর জেরে গোয়েন্দাপ্রধান মুরাদ মোয়াফিয়া ও উত্তর সিনাই প্রদেশের গভর্নর আবদুল ওয়াহাব মাবরুকসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্তও করেন প্রেসিডেন্ট। ধারণা করা হয়, হামলাকারীরা আর্মি অব ইসলাম নামের একটি ছোট কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর সদস্য। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি হামলার জন্য এ গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছে মিসর সরকার। ইতিমধ্যে সীমান্তরক্ষীদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে গত বুধবার থেকে অভিযান শুরু করে মিসরের সেনাবাহিনী। তাদের বিমান হামলায় সেদিন ২০ জঙ্গি মারা যায়। গতকাল রবিবারও সেনা অভিযানে সন্দেহভাজন ৯ জঙ্গি নিহত হয়েছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তর পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা বলেন, 'সিনাইয়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে সজাগ থাকার ব্যাপারে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।' তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও গোয়েন্দা চ্যানেলে নিরাপত্তার ব্যাপারে বরাবরই আলোচনা হয়ে আসছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সাম্প্রতিক আফ্রিকা সফরের সময় মুরসি সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিশাম কানদিলের সঙ্গে কথা বলেছেন হিলারি। সে সময় সিনাই হামলার ব্যাপারেও শোক জানান তিনি।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, প্রতিবছর সামরিক সহায়তা বাবদ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৫০ কোটি ডলার পায় মিসর। কিন্তু তার পরও নিরাপত্তার ব্যাপারে ওয়াশিংটনের সরাসরি হস্তক্ষেপের ব্যাপারে প্রবল আপত্তি ছিল দেশটির সরকারের। তবে সিনাইয়ের হামলার ঘটনার পর দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক যোগাযোগ ও সহায়তা বৃদ্ধির ব্যাপারে মুরসি সরকার আর আপত্তি করবে না বলে আশাবাদী মার্কিন কর্মকর্তারা। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments