ডিসেম্বরে সৌদি আরবের সঙ্গে জেইসি বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা by হামিদ-উজ-জামান মামুন
যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি) বৈঠকের আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে না সৌদি আরব। প্রায় তিন মাস আগে বাংলাদেশ থেকে এ প্রস্তাব পাঠানো হলেও দেশটির পক্ষ থেকে কোন জবাব পাওয়া যায়নি। ফলে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে বৈঠক হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সৌদি আরবের সাড়া না দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) দায়িত্বশীলদের বক্তব্য হচ্ছে, সৌদি আরব এখনও সাড়া দেয়নি এ কথা সত্য, তাই বলে যে সাড়া দেবে না এটি এখনও বলা যায় না। অনেক সময় প্রক্রিয়াগত কারণেও দেরি হতে পারে। তবে আমরা আশাবাদী।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে পররাষ্ট্র সচিবের কাছে সৌদি আরবকে প্রস্তাব দেয়ার জন্য একটি চিঠি দেয়া হয়। সেখানে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহের সুবিধাজনক সময়ে দশম বারের মতো রিয়াদে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন বৈঠকের অনুরোধ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সৌদি আরবকে এ বৈঠকে বসার আহ্বান জানায়।
সর্বশেষ সৌদি আরবের সঙ্গে ২০০৮ সালের ৭ ও ৮ এপ্রিল ঢাকায় দুদিনের নবম জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ সভায় সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে নতুন শ্রমিক নেয়ার আশ্বাস দেয়। আশ্বাস মোতাবেক তারা শ্রমিকও নেয়া শুরু করে। নিয়ম অনুযায়ী দশম বৈঠকটি রিয়াদে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর আগে ২০০৫ সালে রিয়াদে অনুষ্ঠিত হয়েছিল অষ্টম জেইসি বৈঠক।
সূত্র জানায়, সৌদি আরব বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শ্রম বাজার। সেখানে অবস্থানরত লাখ লাখ শ্রমিক এ দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকের জন্য এখনও এজেন্ডা তৈরি না হলেও ধারণা করা হচ্ছে জনশক্তি নিয়ে বিরাজমান নানা সমস্যা বৈঠকের আলোচনায় বিশেষ স্থান পাবে। আর সে জন্যই প্রায় সাড়ে তিন বছর পর জেইসি বৈঠকের গুরুত্ব অনুধাবন করছে বাংলাদেশ।
তাছাড়া সৌদি সরকার জনশক্তি নেয়ার ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা করতে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে। যেসব দেশ থেকে সৌদি আরব জনশক্তি নিয়োগ করে আসছে-সেই সব দেশের জন্য কিছুটা পরিবর্তন রেখে এই নীতিমালা করবে। সব দেশের জন্য একই নীতিমালায় কর্মী নিয়োগ দেবে না। বাংলাদেশ থেকে সৌদি লোক নিয়োগের জন্য কিছু কঠোর আইন থাকবে। সৌদি কর্তৃপক্ষ নতুন আইনের মধ্যে বিবেচনা করলে ১৪ থেকে ১৫ লাখ বাংলাদেশীকে কিছু দিনের মধ্যে ফেরত আসতে হবে। সৌদি কর্তৃপক্ষ ১৮ ক্যাটাগরির শ্রমিকের চাকরির মেয়াদ নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নের পর থেকে আর বাড়াবে না। নতুন নীতিমালায় স্পন্সর ভিসা স্থগিত করা হয়েছে। এ কারণে দেশে ফেরত যাওয়ার চিন্তায় বহু শ্রমিক চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। দেশেও ওই সব শ্রমিকদের পরিবার-পরিজন হতাশার মধ্যে পড়েছেন। বহু শ্রমিক এখন পর্যন্ত তাদের খরচ তুলতে পারেননি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, কিছু দিন ধরেই এ ধরনের কথাই শোনা যাচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে সৌদি সরকার কিছু বলেনি।
সূত্র জানায়, নতুন নীতিমালায় সৌদি সরকার ৬ বছর মেয়াদে বিদেশী শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে বিষয়টি এখন নিশ্চিত হয়নি। সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তের কথা এর আগে জানিয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে সৌদি বাদশার অনুমোদনের পর। যদি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয় তাহলে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ফিলিপিন্সের ৫০ লাখের বেশি শ্রমিককে দেশে ফেরত যেতে হবে। সৌদি আরবে এই মুহূর্তে এসব দেশের এক কোটির বেশি শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। ৩ বছরের আকামা বা অনুমতিপত্র নিয়ে অনেক শ্রমিক ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছেন। বর্তমানে সৌদিতে বাংলাদেশের শ্রমিক সংখ্যা ২৫ লাখের ওপরে। ফিলিপিন্সের রয়েছে ৩৫ লাখ শ্রমিক। বাকি ৪০ লাখ ভারত ও পাকিস্তানের শ্রমিক কাজ করছে। যদি নীতিমালাটি পাস হয়ে যায় তাহলে বাংলাদেশের কম করে হলেও ১৫ লাখ শ্রমিককে দেশে ফেরত আসতে হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্র জানায়, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছিল। বেশ কয়েকটি কমিশন বৈঠক আয়োজন করে উল্লেখযোগ্য সাফল্যও এসেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার সৌদি আরবের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন এশিয়া অঞ্চলের ১৮টি দেশের সঙ্গে সর্ম্পক উন্নয়নে কাজ করে। এটি দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ কমিশন অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ, প্রবাসীকল্যাণ, জনশক্তি রফতানি ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজিকরণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
‘রুলস অব বিজনেস’ অনুযায়ী ইআরডির অন্যতম কাজ হচ্ছে ‘যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের’ মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করা এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থ বজায় রাখা।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে পররাষ্ট্র সচিবের কাছে সৌদি আরবকে প্রস্তাব দেয়ার জন্য একটি চিঠি দেয়া হয়। সেখানে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহের সুবিধাজনক সময়ে দশম বারের মতো রিয়াদে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন বৈঠকের অনুরোধ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সৌদি আরবকে এ বৈঠকে বসার আহ্বান জানায়।
সর্বশেষ সৌদি আরবের সঙ্গে ২০০৮ সালের ৭ ও ৮ এপ্রিল ঢাকায় দুদিনের নবম জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ সভায় সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে নতুন শ্রমিক নেয়ার আশ্বাস দেয়। আশ্বাস মোতাবেক তারা শ্রমিকও নেয়া শুরু করে। নিয়ম অনুযায়ী দশম বৈঠকটি রিয়াদে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর আগে ২০০৫ সালে রিয়াদে অনুষ্ঠিত হয়েছিল অষ্টম জেইসি বৈঠক।
সূত্র জানায়, সৌদি আরব বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শ্রম বাজার। সেখানে অবস্থানরত লাখ লাখ শ্রমিক এ দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকের জন্য এখনও এজেন্ডা তৈরি না হলেও ধারণা করা হচ্ছে জনশক্তি নিয়ে বিরাজমান নানা সমস্যা বৈঠকের আলোচনায় বিশেষ স্থান পাবে। আর সে জন্যই প্রায় সাড়ে তিন বছর পর জেইসি বৈঠকের গুরুত্ব অনুধাবন করছে বাংলাদেশ।
তাছাড়া সৌদি সরকার জনশক্তি নেয়ার ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা করতে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে। যেসব দেশ থেকে সৌদি আরব জনশক্তি নিয়োগ করে আসছে-সেই সব দেশের জন্য কিছুটা পরিবর্তন রেখে এই নীতিমালা করবে। সব দেশের জন্য একই নীতিমালায় কর্মী নিয়োগ দেবে না। বাংলাদেশ থেকে সৌদি লোক নিয়োগের জন্য কিছু কঠোর আইন থাকবে। সৌদি কর্তৃপক্ষ নতুন আইনের মধ্যে বিবেচনা করলে ১৪ থেকে ১৫ লাখ বাংলাদেশীকে কিছু দিনের মধ্যে ফেরত আসতে হবে। সৌদি কর্তৃপক্ষ ১৮ ক্যাটাগরির শ্রমিকের চাকরির মেয়াদ নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নের পর থেকে আর বাড়াবে না। নতুন নীতিমালায় স্পন্সর ভিসা স্থগিত করা হয়েছে। এ কারণে দেশে ফেরত যাওয়ার চিন্তায় বহু শ্রমিক চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। দেশেও ওই সব শ্রমিকদের পরিবার-পরিজন হতাশার মধ্যে পড়েছেন। বহু শ্রমিক এখন পর্যন্ত তাদের খরচ তুলতে পারেননি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, কিছু দিন ধরেই এ ধরনের কথাই শোনা যাচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে সৌদি সরকার কিছু বলেনি।
সূত্র জানায়, নতুন নীতিমালায় সৌদি সরকার ৬ বছর মেয়াদে বিদেশী শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে বিষয়টি এখন নিশ্চিত হয়নি। সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তের কথা এর আগে জানিয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে সৌদি বাদশার অনুমোদনের পর। যদি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয় তাহলে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ফিলিপিন্সের ৫০ লাখের বেশি শ্রমিককে দেশে ফেরত যেতে হবে। সৌদি আরবে এই মুহূর্তে এসব দেশের এক কোটির বেশি শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। ৩ বছরের আকামা বা অনুমতিপত্র নিয়ে অনেক শ্রমিক ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছেন। বর্তমানে সৌদিতে বাংলাদেশের শ্রমিক সংখ্যা ২৫ লাখের ওপরে। ফিলিপিন্সের রয়েছে ৩৫ লাখ শ্রমিক। বাকি ৪০ লাখ ভারত ও পাকিস্তানের শ্রমিক কাজ করছে। যদি নীতিমালাটি পাস হয়ে যায় তাহলে বাংলাদেশের কম করে হলেও ১৫ লাখ শ্রমিককে দেশে ফেরত আসতে হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্র জানায়, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছিল। বেশ কয়েকটি কমিশন বৈঠক আয়োজন করে উল্লেখযোগ্য সাফল্যও এসেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার সৌদি আরবের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন এশিয়া অঞ্চলের ১৮টি দেশের সঙ্গে সর্ম্পক উন্নয়নে কাজ করে। এটি দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ কমিশন অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ, প্রবাসীকল্যাণ, জনশক্তি রফতানি ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজিকরণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
‘রুলস অব বিজনেস’ অনুযায়ী ইআরডির অন্যতম কাজ হচ্ছে ‘যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের’ মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করা এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থ বজায় রাখা।
No comments