দেশ ও জনগণের স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত : মুরসি-সেনা কর্মকর্তাদের অপসারণ
'দেশ ও জনগণের স্বার্থেই' শীর্ষ দুই জেনারেলকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। গত রবিবার সশস্ত্র বাহিনী প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাওয়ি এবং সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ সামি আনানকে অবসরে যাওয়ার নির্দেশ দেন মুরসি।
একই সঙ্গে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমিত করে সামরিক পরিষদের জারি করা সাংবিধানিক সংশোধনীও রদ করেন তিনি।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, মুরসির এ সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে সামরিক পরিষদের সঙ্গে মুরসির দ্বন্দ্ব অনেকটাই প্রকাশ্য রূপ পেল। মুরসির এ উদ্যোগকে জনগণ অবশ্য স্বাগত জানিয়েছে।
রাজধানী কায়রোর আল-আজহার মসজিদে গত রবিবার পবিত্র রমজান উপলক্ষে দেওয়া এক ভাষণে নিজ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মুরসি বলেন, 'আমি কখনোই কারো প্রতি অন্যায় করিনি। কাউকে কোণঠাসা করে ফেলাও আমার উদ্দেশ্য নয়। নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্যই আমার এ সিদ্ধান্ত। আমি তাঁদের (অবসরে যাওয়া জেনারেল) কল্যাণ কামনা করি। আমি চাই তাঁরা দেশ রক্ষার মহান মিশনে আত্মনিয়োগ করবেন।' অবসরে পাঠানো তানতাওয়ি (৭৬) ও আনানকে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের গ্র্যান্ড কলার অব দ্য নাইল উপাধিতে ভূষিত করা হয়। মিসরের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা এটি। প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তানতাওয়ির স্থলাভিষিক্ত হবেন জেনারেল আবদুল ফাতাহ সিসি। আর আনানের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিদকি সৈয়দ আহমেদকে। তানতাওয়ি ও আনান ছাড়াও নৌবাহিনী, বিমান প্রতিরক্ষা এবং বিমানবাহিনীর প্রধানকে অবসর নেওয়ার নির্দেশ দেন মুরসি। এ ছাড়া ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিচারপতি মাহমুদ মেক্কিকে নিয়োগ দিয়েছেন মুরসি। মুরসি তাঁর ভাষণে আরো বলেন, 'কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে লক্ষ্য করে এ সিদ্ধান্ত নেইনি আমি। কোনো প্রতিষ্ঠানকেও বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলতে চাই না। যা করেছি, দেশের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই করেছি।' তবে তানতাওয়ি এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন কি না তা নিশ্চিত নয়। মিসরের সর্বোচ্চ সামরিক পরিষদের (এসসিএএফ) এক সদস্য জেনারেল মোহাম্মদ আল-আসার অবশ্য জানান, 'ফিল্ড মার্শাল ও এসসিএএফের বাকি সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করেই' এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মিসরের জনগণ মুরসির এই সিদ্ধান্তে উল্লাস প্রকাশ করেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল তাহরির স্কয়ারে হাজার হাজার লোককে আনন্দ করতে দেখা যায়। 'প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তে জনগণের সমর্থন রয়েছে' বলে স্লোগান দেয় তারা। মিসরের পত্র-পত্রিকাগুলোতেও মুরসির এ পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।
প্রেসিডেন্ট মুরসি ইসলামপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য। আর গত বছর মুবারকের পতনের পর ক্ষমতার শীর্ষে আসেন সামরিক পরিষদ প্রধান তানতাওয়ি। শুরু থেকেই ব্রাদারহুড ও সামরিক পরিষদের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। সূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা, এএফপি।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, মুরসির এ সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে সামরিক পরিষদের সঙ্গে মুরসির দ্বন্দ্ব অনেকটাই প্রকাশ্য রূপ পেল। মুরসির এ উদ্যোগকে জনগণ অবশ্য স্বাগত জানিয়েছে।
রাজধানী কায়রোর আল-আজহার মসজিদে গত রবিবার পবিত্র রমজান উপলক্ষে দেওয়া এক ভাষণে নিজ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মুরসি বলেন, 'আমি কখনোই কারো প্রতি অন্যায় করিনি। কাউকে কোণঠাসা করে ফেলাও আমার উদ্দেশ্য নয়। নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্যই আমার এ সিদ্ধান্ত। আমি তাঁদের (অবসরে যাওয়া জেনারেল) কল্যাণ কামনা করি। আমি চাই তাঁরা দেশ রক্ষার মহান মিশনে আত্মনিয়োগ করবেন।' অবসরে পাঠানো তানতাওয়ি (৭৬) ও আনানকে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের গ্র্যান্ড কলার অব দ্য নাইল উপাধিতে ভূষিত করা হয়। মিসরের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা এটি। প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তানতাওয়ির স্থলাভিষিক্ত হবেন জেনারেল আবদুল ফাতাহ সিসি। আর আনানের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিদকি সৈয়দ আহমেদকে। তানতাওয়ি ও আনান ছাড়াও নৌবাহিনী, বিমান প্রতিরক্ষা এবং বিমানবাহিনীর প্রধানকে অবসর নেওয়ার নির্দেশ দেন মুরসি। এ ছাড়া ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিচারপতি মাহমুদ মেক্কিকে নিয়োগ দিয়েছেন মুরসি। মুরসি তাঁর ভাষণে আরো বলেন, 'কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে লক্ষ্য করে এ সিদ্ধান্ত নেইনি আমি। কোনো প্রতিষ্ঠানকেও বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলতে চাই না। যা করেছি, দেশের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই করেছি।' তবে তানতাওয়ি এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন কি না তা নিশ্চিত নয়। মিসরের সর্বোচ্চ সামরিক পরিষদের (এসসিএএফ) এক সদস্য জেনারেল মোহাম্মদ আল-আসার অবশ্য জানান, 'ফিল্ড মার্শাল ও এসসিএএফের বাকি সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করেই' এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মিসরের জনগণ মুরসির এই সিদ্ধান্তে উল্লাস প্রকাশ করেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল তাহরির স্কয়ারে হাজার হাজার লোককে আনন্দ করতে দেখা যায়। 'প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তে জনগণের সমর্থন রয়েছে' বলে স্লোগান দেয় তারা। মিসরের পত্র-পত্রিকাগুলোতেও মুরসির এ পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।
প্রেসিডেন্ট মুরসি ইসলামপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য। আর গত বছর মুবারকের পতনের পর ক্ষমতার শীর্ষে আসেন সামরিক পরিষদ প্রধান তানতাওয়ি। শুরু থেকেই ব্রাদারহুড ও সামরিক পরিষদের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। সূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা, এএফপি।
No comments