এটিএম বুথে ঈদের চাপ অর্থ মিলবে তো ছুটিতে! by শেখ শাফায়াত হোসেন
ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা মজুদ থাকবে- ব্যাংকগুলোর এমন বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে পারছেন না গ্রাহকরা। তাঁরা বলছেন, ছুটির আগেই বুথগুলোতে ঠিকমতো টাকা পাওয়া যাচ্ছে না, ছুটিতে এই ভোগান্তি আরো বেড়ে যেতে পারে।
গত শুক্রবার দুপুরের আগেই রাজধানীর ব্যস্ত এলাকাগুলোতে বসানো বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথের টাকা ফুরিয়ে যায়। জানা যায়, এর আগের দিন বৃহস্পতিবার জন্মাষ্টমীর ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ থাকায় এটিএম বুথের ওপর চাপ পড়ে। ফলে যেসব ব্যাংকের গ্রাহক বেশি তাদের এটিএম বুথে টাকার টান পড়ে যায় এবং শনিবার সকাল পর্যন্ত এ পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে।
শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কারওয়ান বাজার এলাকায় কয়েকটি এটিএম বুথ ঘুরে জানা গেছে অধিকাংশ বুথেই টাকা নেই। এ বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা। বেসরকারি খাতের ব্যাংক 'ব্যাংক এশিয়া'র বসুন্ধরা শাখার গ্রাহক আরিফুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাংক এশিয়ার বসুন্ধরা শাখাসংলগ্ন এটিএম বুথ, কারওয়ান বাজারের স্কশিয়া ব্রাঞ্চসংলগ্ন এটিএম বুথ, ইউটিসি ভবনসংলগ্ন এটিএম বুথ ঘুরেও তিনি টাকা পাননি। ব্যাংক এশিয়ার বুথে টাকা না পেয়ে তিনি অন্যান্য বুথেও চেষ্টা করেন ভিসা কার্ড দিয়ে টাকা তুলতে। সফল হননি। কালের কণ্ঠের কাছে খেদ প্রকাশ করে এই গ্রাহক বলেন, প্রয়োজনের সময় টাকা না পেলে সেই টাকার কি দাম থাকে?
গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে যোগাযোগ করা হলে ব্যাংক এশিয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মুঈদ খান কালের কণ্ঠকে জানান, উল্লিখিত বুথগুলোতে পর্যাপ্ত টাকা রাখা হয়েছিল। কিন্তু টাকা তোলার চাপ থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে টাকা ফুরিয়ে যায়। কিন্তু ছুটির দিন থাকায় বুথগুলোতে আর নতুন করে টাকা রাখা (রিফিল করা) সম্ভব হয়নি। তিনি আরো জানান, ব্যাংক এশিয়ার প্রায় ৭০টি নিজস্ব বুথ রয়েছে। এই বুথগুলোতে নিকটস্থ শাখাগুলোই নগদ অর্থ রিফিল করে। এ ছাড়া ব্যাংক এশিয়ার সঙ্গে চুক্তি আছে এমন অন্যান্য বুথ থেকে কেন টাকা পাওয়া যায়নি, তা বুঝতে পারেননি বলে জানান ওই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে বিষয়টি জানা যাবে কেন টাকা পাওয়া গেল না।
তবে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো পয়েন্টের বুথে বেশি চাপ হচ্ছে বুঝতে পেরে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে ব্যাংক এশিয়ার ওই কর্মকর্তা বলেন, 'যে এলাকায় বুথের টাকা খুব দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, আমরা সেই এলাকায় একাধিক বুথ বসানোর বিষয়ে চিন্তা করছি।'
এদিকে বুথ নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনা আসবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দাশগুপ্ত অসীম কুমার গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠকে বলেন, অনলাইন সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছে ব্যাংকগুলোর প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তাই ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহ রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, এ বছর ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথগুলোতে যেন পর্যাপ্ত টাকা মজুদ রাখা হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনে এটিএম সেবাদানকারী সব ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হবে।
ছয় দিন ডাচ্-বাংলার সেবা কার্যক্রম বন্ধ : এবার ঈদের ছুটির আগে পরে ছয় দিন এটিএম সেবা বন্ধ রাখছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এ সিদ্ধান্ত অনেক গ্রাহককেই ভোগান্তিতে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এটিএম সেবার মান উন্নয়ন কাজের জন্য আগামী ২০ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখবে দেশের সর্ববৃহৎ এটিএম নেটওয়ার্ক সেবাদানকারী এই ব্যাংকটি। অবশ্য এ বিষয়ে সতর্ক করতে মোবাইল ফোনে এসএমএস দিয়ে এবং পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে ব্যাংকটি। যোগাযোগ করা হলে ব্যাংকটির জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাজাদা বসুনিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, উন্নত এটিএম সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ কাজ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন রয়েছে। তিনি জানান, কাজ চলাকালে গ্রাহকরা এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন না। তবে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করতে পারবেন।
এবি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চ্যার্টার্ড ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকসহ এটিএম সেবাদানকারী সব ব্যাংকই সেবার মান নিশ্চিত করার বিষয়ে তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের নিজস্ব এটিএম বুথ রয়েছে প্রায় ১৭৫টি। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি থাকায় প্রায় ১২ শ এটিএম বুথ থেকে আমাদের গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারছেন।' ঈদের ছুটিতে ব্যাংকটির গ্রাহকদের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে কোনো সমস্যা হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
এটিএম সেবার ভোগান্তি প্রসঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকরা কালের কণ্ঠের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, সারা বছরই বুথগুলোতে গিয়ে দেখা যায় কোনো না কোনো সমস্যা রয়েছে। কখনো মেশিন নষ্ট, কখনো বা সার্ভার ডাউন (ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন), কখনো আবার বিদ্যুৎ নেই। সবচেয়ে বেশি শোনা যায় 'বুথে টাকা নেই'। ব্যাংকিং সময়ের বাইরে গ্রাহকের নগদ অর্থের প্রয়োজন মেটাতে উন্নত দেশগুলোর দেখাদেখি বাংলাদেশেও এটিএম সেবা চালু হয়েছে প্রায় এক যুগের বেশি সময় আগে। এ ধরনের অনলাইন সেবাকে জনপ্রিয় করতে ব্যাংকগুলো তাদের প্রচারণায় বলছে, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা যেকোনো সময় নগদ টাকার প্রয়োজন মেটাবে এটিএম বুথ।
শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কারওয়ান বাজার এলাকায় কয়েকটি এটিএম বুথ ঘুরে জানা গেছে অধিকাংশ বুথেই টাকা নেই। এ বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা। বেসরকারি খাতের ব্যাংক 'ব্যাংক এশিয়া'র বসুন্ধরা শাখার গ্রাহক আরিফুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাংক এশিয়ার বসুন্ধরা শাখাসংলগ্ন এটিএম বুথ, কারওয়ান বাজারের স্কশিয়া ব্রাঞ্চসংলগ্ন এটিএম বুথ, ইউটিসি ভবনসংলগ্ন এটিএম বুথ ঘুরেও তিনি টাকা পাননি। ব্যাংক এশিয়ার বুথে টাকা না পেয়ে তিনি অন্যান্য বুথেও চেষ্টা করেন ভিসা কার্ড দিয়ে টাকা তুলতে। সফল হননি। কালের কণ্ঠের কাছে খেদ প্রকাশ করে এই গ্রাহক বলেন, প্রয়োজনের সময় টাকা না পেলে সেই টাকার কি দাম থাকে?
গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে যোগাযোগ করা হলে ব্যাংক এশিয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মুঈদ খান কালের কণ্ঠকে জানান, উল্লিখিত বুথগুলোতে পর্যাপ্ত টাকা রাখা হয়েছিল। কিন্তু টাকা তোলার চাপ থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে টাকা ফুরিয়ে যায়। কিন্তু ছুটির দিন থাকায় বুথগুলোতে আর নতুন করে টাকা রাখা (রিফিল করা) সম্ভব হয়নি। তিনি আরো জানান, ব্যাংক এশিয়ার প্রায় ৭০টি নিজস্ব বুথ রয়েছে। এই বুথগুলোতে নিকটস্থ শাখাগুলোই নগদ অর্থ রিফিল করে। এ ছাড়া ব্যাংক এশিয়ার সঙ্গে চুক্তি আছে এমন অন্যান্য বুথ থেকে কেন টাকা পাওয়া যায়নি, তা বুঝতে পারেননি বলে জানান ওই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে বিষয়টি জানা যাবে কেন টাকা পাওয়া গেল না।
তবে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো পয়েন্টের বুথে বেশি চাপ হচ্ছে বুঝতে পেরে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে ব্যাংক এশিয়ার ওই কর্মকর্তা বলেন, 'যে এলাকায় বুথের টাকা খুব দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, আমরা সেই এলাকায় একাধিক বুথ বসানোর বিষয়ে চিন্তা করছি।'
এদিকে বুথ নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনা আসবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দাশগুপ্ত অসীম কুমার গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠকে বলেন, অনলাইন সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছে ব্যাংকগুলোর প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তাই ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহ রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, এ বছর ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথগুলোতে যেন পর্যাপ্ত টাকা মজুদ রাখা হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনে এটিএম সেবাদানকারী সব ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হবে।
ছয় দিন ডাচ্-বাংলার সেবা কার্যক্রম বন্ধ : এবার ঈদের ছুটির আগে পরে ছয় দিন এটিএম সেবা বন্ধ রাখছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এ সিদ্ধান্ত অনেক গ্রাহককেই ভোগান্তিতে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এটিএম সেবার মান উন্নয়ন কাজের জন্য আগামী ২০ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখবে দেশের সর্ববৃহৎ এটিএম নেটওয়ার্ক সেবাদানকারী এই ব্যাংকটি। অবশ্য এ বিষয়ে সতর্ক করতে মোবাইল ফোনে এসএমএস দিয়ে এবং পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে ব্যাংকটি। যোগাযোগ করা হলে ব্যাংকটির জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাজাদা বসুনিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, উন্নত এটিএম সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ কাজ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন রয়েছে। তিনি জানান, কাজ চলাকালে গ্রাহকরা এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন না। তবে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করতে পারবেন।
এবি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চ্যার্টার্ড ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকসহ এটিএম সেবাদানকারী সব ব্যাংকই সেবার মান নিশ্চিত করার বিষয়ে তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের নিজস্ব এটিএম বুথ রয়েছে প্রায় ১৭৫টি। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি থাকায় প্রায় ১২ শ এটিএম বুথ থেকে আমাদের গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারছেন।' ঈদের ছুটিতে ব্যাংকটির গ্রাহকদের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে কোনো সমস্যা হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
এটিএম সেবার ভোগান্তি প্রসঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকরা কালের কণ্ঠের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, সারা বছরই বুথগুলোতে গিয়ে দেখা যায় কোনো না কোনো সমস্যা রয়েছে। কখনো মেশিন নষ্ট, কখনো বা সার্ভার ডাউন (ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন), কখনো আবার বিদ্যুৎ নেই। সবচেয়ে বেশি শোনা যায় 'বুথে টাকা নেই'। ব্যাংকিং সময়ের বাইরে গ্রাহকের নগদ অর্থের প্রয়োজন মেটাতে উন্নত দেশগুলোর দেখাদেখি বাংলাদেশেও এটিএম সেবা চালু হয়েছে প্রায় এক যুগের বেশি সময় আগে। এ ধরনের অনলাইন সেবাকে জনপ্রিয় করতে ব্যাংকগুলো তাদের প্রচারণায় বলছে, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা যেকোনো সময় নগদ টাকার প্রয়োজন মেটাবে এটিএম বুথ।
No comments