কাদের মোল্লা আমার স্বামীকে খুন করেছে- যুদ্ধাপরাধী বিচার- নূরজাহান বেগমের জবানবন্দী

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অষ্টম মহিলা সাক্ষী নুরজাহান বেগম জবানবন্দীতে বলেছেন, আমার শ্বশুরের কাছে শুনেছি জামায়াতের কাদের মোল্লা নামে এক লোক আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে।


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ তিনি এ কথা বলেছেন।
একই ট্রাইব্যুনালে জমায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন পক্ষের সাক্ষ্য নেয়ার তারিখ পিছিয়ে ২৮ আগস্ট ধার্য করা হয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের ৪৮ দিনের জেরা সম্পন্ন করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবী। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কয়েকটি আবেদনের শুনানি এবং পরবর্তী কার্যক্রম ঠিক করার জন্য আজ দিন ধার্য্য করা হয়েছে। আজকে আসামিদের সাফাই সাক্ষীর জেরার দিন নির্ধারণ হতে পারে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে পঞ্চম সাক্ষী নুরজাহান বেগম জবানবন্দী প্রদান করেছেন। এর আগে চতুর্থ সাক্ষী মজিদ পালোয়ানের জেরা সম্পন্ন করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবী। চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ এই জবানবন্দী ও জেরা অনুষ্ঠিত হয়। জবানবন্দী শেষে অষ্টম সাক্ষীর জেরা অনুষ্ঠিত হয়। অসমাপ্ত জেরা ২৬ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।

জবানবন্দী
আমার নাম নুরজাহান বেগম। স্বামী নবী হোসেন বুলু। গ্রাম ঘাটারচর, কেরানীগঞ্জ। ১৯৭১ সালে আমার বয়স ছিল ১৩ বছর। আমার গর্ভে তখন সন্তান ছিল। নবেম্বর মাসের ২৫ তারিখ একটি ঘটনা ঘটে। আমি তখন আমার স্বামীর বাড়ি ঘাটারচরে গ্রামে থাকতাম। ঐ দিন ফজরের নামাজের পর গোলাগুলি শুরু হয়। গোলাগুলি শব্দ শুনে আমি এবং আমার স্বামী দুজনেই খাটের নিচে লুকাই। বসে থাকার বেশ কিছুক্ষণ পরে গোলাগুলি বন্ধ হয়। গোলাগুলির বন্ধ হবার পর বের হয়ে দেখি কোথায় কি হচ্ছে। তখন বন্ধের (মাঠ) দিক থেকে দেখি পাকহানাদাররা বাড়ির দিকে আসছে। আমার স্বামী আমার চাচাশ্বশুর মোজাম্মেল হকের বাসায় যায়।
ঐ খানে যাওয়ার পর আবার গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। তখন আমি একবার ঘরের বাইরে যাই আবার ঘরে ঢুকি। একটু পরে আমার মামী আইসা আমার শাশুড়িকে বলে ‘বুলুর মারে বুলুর মা তোর বুলু তো নাই।’ এই কথা শুনে চিৎকার করে দৌড়ে আমি চাচাশ্বশুরের বাসায় দিকে যাই। ওখানে গিয়ে দেখি আমার চাচাশ্বশুরকে গুলি করেছে। কয়েকটা পাক আর্মি একজন বাঙালী খাটো এবং কালো বর্ণের লোককে দেখি। ওখানে আমার স্বামীকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখি। তখন আমি চিৎকার করে স্বামীকে ধরতে যাই। তখন ঐ যে বাঙালী লোকটার কথা বললাম তিনি আমাকে একটি রাইফেলের মতো জিনিস তাক করে আমাকে ঐখান থেকে সরে যেতে বলেন। পরে আমি ভয়ে ঘড়ে দৌড়াইয়া চলে যাই।
তখন সাড়ে ১০টা ১১টা পরে আমার স্বামীকে উবু হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় উঠাইলাম। আমি আমার স্বামীর মুখে ও কপালে মাটি দেখতে পাই। বুকে হাত দিয়ে দেখি সেখানে রক্ত। এ সময় আমি চিৎকার করে কাঁদতে থাকি। এরপর ৫/৬ জন তাকে ধরে নিজের বাসায় নিয়ে যাই। ঐ ঘটনায় ঘাটারচরে ৫০/৬০ জন লোক মারা গেছে শুনেছি। ঘটনার সময় কারা কারা ছিল এমন এক প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী বলেন, আমি আমার শ্বশুরের কাছে শুনেছি জয়নাল ডাক্তার, মোক্তার হোসেন ছিল। জামায়াতের কাদের মোল্লা নামে এক লোক আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে। আমি এই কথাটি আমার শ্বশুর লুদু মিয়া ছাড়াও অনেকের কাছ থেকে শুনেছি। গ্রামের মজিদ পালোয়ানের কাছ থেকে শুনেছি। জবানবন্দী শেষে প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী তাঁকে প্রশ্ন করেন-ঐ খাটো বাঙালীকে দেখলে চিনতে পারবেন।
এ সময় সাক্ষী নুরজাহান ডক থেকে নেমে কাদের মোল্লাকে দেখিয়ে বলে উনি ছিলেন। সে সময় ওনার মুখে দাঁড়ি ছিল না। ছোট ছোট চুল ছিল। জবানবন্দী শেষে তাকে জেরায় মাত্র দু’টি প্রশ্ন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার। এরপর তাকে জেরার জন্য পরবর্তী ২৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহম্মেদ খান, শহীদুল হক মামা ও একজন নারী সাক্ষী (নাম প্রকাশ করা হয়নি), কবি কাজী রোজি, খন্দকার আবুল আহসান, আব্দুল মজিদ পালোয়ান, সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষ তাদের জেরা করেন। গত ২৮ মে আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি ঘটনায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ১ নবেম্বর জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। ট্রাইব্যুনাল গত ২৮ ডিসেম্বর এসব অভিযোগ আমলে নেয়। একটি মামলায় তাকে ২০১০ সালের ১৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী সংস্থার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ২ আগস্ট কাদের মোল্লাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আটক রাখার আদেশ দেয়া হয়।

পালোয়ানের জেরা
এর আগে চতুর্থ সাক্ষী মজিদ পালোযানকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদ্স সোবহান তরফদার। নিচে জেরার কিছু অংশ দেয়া হলো।
প্রশ্ন : একাত্তর সালে আপনাদের গ্রামে কত জন লোক বসবাস করত।
উল্টর : ১ হাজার লোক বসবাস করত।
প্রশ্ন : ভোটার লিস্টে জন্মতারিখ সঠিক না বেঠিক।
উল্টর : সঠিক।
প্রশ্ন : ভোটার লিস্টে নাম ঠিকানা ঠিক আছে।
উল্টর : জি ঠিক আছে।
ঈশ্ন : জবানবন্দীতে বলেছেন, ৬০ জন মারা গেছে। তাদের পরিবারের সদস্যরা গ্রামে ছিল।
উল্টর : ছিল।
প্রশ্ন : তাদের পারিবারের সদস্যরা এখনও আছে।
উল্টর : কেউ কেউ এখনও বেঁচে আছেন।
প্রশ্ন : ৬০ জন কার ছেলে কার ভাই।
উল্টর : সবার কথা বলতে পারব না। ২-৪-১০ জনের নাম বলতে পারব।
প্রশ্ন : লাশ শনাক্ত করার কথা বলেছেন, যার ভাই ছেলে মারা গেল তারা এসেছিল।
উত্তর : নাম শনাক্তকরণের সময় কেউ কেউ এসেছিল। কেউ কেউ আসেনি সবাই কান্নাকাটি করছিল।
প্রশ্ন : লাশ যার যার বাড়িতে নিয়ে যায়।
উত্তর : না । মাঠে থেকে সবাইকে কবর দেয়া হয়।
প্রশ্ন : ৬০ জনের পরিবার পরিজনের মধ্যে জীবিত আছে তাদের কয়েক জনের নাম বলতে পারবেন।
উল্টর : তৈয়ব আলীর ২ ভাই মারা গেছে, তৈয়ব আলী জীবিত আছেন। সমির উদ্দিন সমু জীবিত আছে তার এক ভাই মারা গেছে। মুরাবি মারা গেছে তার বড় ভাই উকিল উদ্দিন জীবিত আছেন। আমাদের এলাকায় ঐ ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের স্মৃতি ফলক আছে। এই মুহূর্তে তাদের মধ্যে আত্মীয় স্বজনের সকলের নাম বলতে পারছি না। উপরে তিন জনের নাম বলেছি এর বেশি মনে নেই।
প্রশ্ন : ২-৪-১০ জনের কথা বললেন যারা জীবিত আছে তারা কি সাক্ষী আছেন।
উল্টর : জানি না।
প্রশ্ন : কাদের মোল্লা ঐদিন ঘটন্স্থালেও যায়নি। তার হাতে রাইফেল ছিল না। গুলিও করেনি।
উল্টর : ইহা সত্য নয়।
প্রশ্ন : ২৫ নবেম্বর জয়নাল ডাক্তারের বাড়িতে কাদের মোল্লা মিটিং করেছিল ঐ কথা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বলেননি।
উল্টর : ইহা সত্য নয়।
প্রশ্ন : ঘটনার দিন ১১টার পর পাক আর্মি ত্যাগ করার পর তাদের সঙ্গে খাটো লোকের নাম কাদের মোল্লা । তা ছাড়া কয়েকজন বোরকা পরা ছিল যাতে না চেনা যায় এ কথা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বলেননি।
উত্তর : ইহা সত্য নয়।
প্রশ্ন : আপনি আওয়ামী লীগের কোন পদে আছেন।
উল্টর : ওয়ার্ড সভাপতি।
প্রশ্ন : কাদের মোল্লা এই ঘটনার আগে, ঘটনার দিন, ঘটনার পরে কোন দিন দেখেননি এই ডকে ছাড়া।
উল্টর : ইহা সত্য নয়। দেখেছি।
প্রশ্ন : আপনি বর্তমান আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দলের লোক হয়ে এই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে দলের কথা মতো সাক্ষী দিলেন।
উত্তর : ইহা সত্য নয়।

কামারুজ্জামান
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষের সাক্ষ্য নেয়ার তারিখ পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। ২৮ আগস্ট সাক্ষ্য নেয়ার দিন ধার্য করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। সোমবার প্রসিকিউশন পক্ষে প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম সময়ের আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল পরে তারিখ পিছিয়ে ২৮ আগস্ট নির্ধারণ করেছে।
সাঈদী
একাত্তরের মানবতবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিনকে আসামিপক্ষের জেরা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে-১ ৪৮তম ও শেষ দিনের মতো হেলাল উদ্দিনকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শেষ করার মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল বিচারাধীন প্রথম কোন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় প্রসিকিউশনপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করলো। বেলা আড়াইটার দিকে মোঃ হেলালউদ্দিনের জেরা শেষ হয়। ট্রাইব্যুনাল কয়েকটি আবেদনের শুনানি এবং পরবর্তী কার্যক্রম ঠিক করার জন্য আজ দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী জনকণ্ঠকে বলেন, এ পর্যন্ত সাঈদীর আইনজীবীরা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে মোট ৪৮ দিন এক শ’ ৯৩ পৃষ্ঠা সংবলিত জেরায় এক লাখ ৫২ হাজার ছ’শ’ ৮০টি শব্দের জেরা করেছেন। এ পর্যন্ত সাঈদীর বিরুদ্ধে তালিকাভুক্ত মোট ১৮জন এবং জব্দ তালিকা থেকে আরও ৯ জন মিলিয়ে ২৭ এবং তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ২৮জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দী দিয়েছেন। পরে তাদের আইনজীবীরা জেরা করেছেন। এর বাইরেও আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রথমে ১৫ জন পরে আরও একজন মোট ১৬ জনের জবানবন্দী আদালতে উপস্থিত হতে পারবে না বা তাদের আদালতে আদৌ আনা সম্ভব হবে না মর্মে আদালতের আদেশে (মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া) তাদের সাক্ষী জবানবন্দী হিসেবে গ্রহণ করে আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিং প্রদান কালে বলেছেন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ৫টি ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে, অথচ জিয়া নগর উপজেলায় একাত্তর সালে একটি ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেনি। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা কোন প্রমাণও দিতে পারেননি। সাঈদী সাহেব এবং তার পিতার নামের আগে শিকদার ছিল বলে অভিযোগ করলেও তার প্রমাণ দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। শিকদার প্রমাণ করার জন্য ন্যূনতম কোন প্রমাণ তারা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করতে পারেনি। নতুন করে সাঈদীর নাম ও পাসের বিষয়ে বিতর্ক তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটা প্রমাণ করে, সরকার নতুন কোন খেলা শুরু করেছে।
এর আগে ট্রাইব্যুনাল-১ নির্দেশ দিয়েছিল ৮ আগস্টের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরা শেষ করতে হবে। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সময় বৃদ্ধির আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল আরও ২ কার্যদিবস সময় দেয়ায় রবিবার ও সোমবার তার জেরার সময় বৃদ্ধি করা হয়। গত ৮ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন সাক্ষ্য দেন ট্রাইব্যুনালে। এর পর ২৫ এপ্রিল থেকে তাঁকে জেরা করছেন আসামিপক্ষ। তবে সোমবার অসুস্থতার কারণে সাঈদীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।
২০১০ সালের ২৯ জুন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে তার রাজধানীর শহীদবাগের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর তাকে ২ আগস্ট মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। গত বছরের ১৪ জুলাই মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল। ৩ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৯ নবেম্বর থেকে সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন মামলা প্রসিকিউশন পক্ষের সাক্ষীরা।

No comments

Powered by Blogger.