বন্ধুত্ব, সে তো চিরদিনের

বন্ধুত্বের সম্পর্ক চিরদিনের সম্পর্ক এবং মধুর সম্পর্ক। বন্ধুত্বের সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ক নয় কিংবা কামনা বাসনা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা পরিচালিত নয়। বন্ধুত্বের উৎসস্থল হল হৃদয় এবং বন্ধুত্ব হৃদয়ের ভালবাসা দিয়ে গড়া। তাই কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন “অনাত্মীয়কে আমরা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সাদরে গ্রহণ করি কিন্তু বন্ধুকে হৃদয় দিয়ে এবং হৃদয়ের হাসি দিয়ে বরণ করি।”


বন্ধুত্ব কী, তার ব্যাখা দিতে গিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন। ফ্রান্সিস বেকন বলেছেন, “ ভালাবাস হল লাল গোলাপের মত কিন্তু বন্ধুত্ব হচ্ছে ছায়াময়ী বৃক্ষের মতই জীবনের প্রতিদিনের প্রয়োজন এবং বাস্তবতার মধ্যে তার সরল বিচরণ।” এরিষ্টটল বলেছেন, “একজনও বন্ধুর মত বন্ধু থাকা পরম ভাগ্যের ব্যাপার।” কেউ কেউ বন্ধুত্বকে সোনালী সূতার সঙ্গে তুলনা করে বলেছেনা, “বন্ধুত্ব হচ্ছে সোনালী সূতো যা হৃদয়কে এক সূত্রে গেঁথে দেয়। “আবার কেউ কেউ বলেছেন “ভিন্ন দেহে অভিন্ন আত্ম তারই নাম বন্ধুতা।” বন্ধুত্ব নিয়ে ইংরেজিতে একটি কথা আছে, “ ঁহংরহশধনষব ংযরঢ় রং ড়হষু ঋজওঊঘউঝঐওচ” পৃথিবীর সব সম্পর্কের জাহাজ সাগরের জলে তরিয়ে গেলেও বন্ধুত্বের জাহাজ কখনো সাগরের জলে তলিয়ে যায় না। তাই বলা হয়, বন্ধু মরে যায় কিন্তু বন্ধুত্ব মরে না। আজকাল যুবক যুবতীরা বন্ধুত্বের ব্যাখ্যা দিতে দিয়ে বলেন, “একদিন ভরা নদী শুকিয়ে যাবে।” সত্যিই তো! বন্ধুত্ব কখনো শেষ হয়ে যায় না। বন্ধু হারিয়ে যায়, বন্ধুত্ব হারিয়ে যায় না। বন্ধু মরে যায়, বন্ধুত্ব মরে না।
বন্ধুত্বের ইংরেজি শব্দ হল ঋৎরবহফংযরঢ় যার মধ্যে বন্ধুত্বের গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য নিখুঁত ভাবে ফুটে উঠে। আর তা হল-
ঋ-ঋধরঃযভঁষ (বিশ্বস্ত বা বিশ্বাসী)
জ-জবধংড়হধনষব (যৌক্তিক)
ও-ওহঃবষষরমবহঃ (বুদ্ধিমান)
ঊ- ঊীয়ঁরংরঃব (সূক্ষবিচার)

-গৌরব জি. পাথাং

No comments

Powered by Blogger.