শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং by ইমাম হাসান
শিলিগুড়ির তীব্র গরম আর কোলাহল ছেড়ে গাড়ি পাহাড়ের পথে এগিয়ে চলছে। কিছুক্ষণ এগোনোর পর হঠাৎ দেখলাম কিছুদূরে পাহাড়ের গায়ে কারা যেন পেজা তুলো লেপ্টে দিয়েছে। মুখ থেকে প্রথমবার বেরিয়ে এল শব্দটা ‘অসাধারণ’! প্রথমবার বললাম এ কারণে যে, শব্দটি পরের ছয় দিনে যে কতবার উচ্চারণ করেছি তা আর মনে নেই।
মুগ্ধতার শুরু হলো। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যেতে ঘণ্টা চারেকের পাহাড়ি পথের প্রতিটি আঁকেবাঁকেই এমন দৃশ্য। চলতি পথেই পেজা তুলো যখন জানালার ফাঁক গলে গায়ে পরশ বুলিয়ে গেল, তখনই ভুল ভাঙল। বুঝলাম, এটি আসলে মেঘ। আর আমরা ততক্ষণে সমতল ছেড়ে পাহাড়ের গা বেয়ে এগিয়ে যাচ্ছি দার্জিলিংয়ের পথে।
এবারের গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে আমরা চার বন্ধু রাকিব মুজাহিদ, শাখাওয়াত হোসেন ও সোহেল আহমেদ বেরিয়ে পড়ি ভারতের দার্জিলিং দেখতে। সেদিকেই এগিয়ে যাই তাহলে। চারদিকের সৌন্দর্য চোখে পুরতে পুরতে যখন দার্জিলিং শহরে পৌঁছালাম, তখন ঘড়িতে রাত আটটা। গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে আরেক বিস্ময়। শিলিগুড়ি থেকে যখন গাড়িতে উঠি তখনো গায়ের কাপড় ছিল ভেজা আবার দার্জিলিং নামার পরও কাপড় ভেজা। তবে পার্থক্য হচ্ছে শিলিগুড়িতে ভিজেছিল গরমে আর দার্জিলিং শহরে নামার পর মেঘের ঝাপটায়! এই মেঘ এসে ভিজিয়ে দিল তো এই আবার পরিষ্কার আকাশ। এ যেন লুকোচুরি খেলা। যেনতেন কথা তো আর নয়, আমরা তখন সমতল থেকে কয়েক হাজার ফুট ওপরে। মেঘ তো গা ঘেঁষে যাবেই। সারা পথের সৌন্দর্য পুরে নিয়ে চোখ যেন বন্ধ হয়ে আসছে। হোটেলে উঠেই দে ঘুম। এক ঘুমে সকাল।
১৪ জুন রাতে ঢাকা থেকে বাসে চড়ে পরদিন দুপুরে শিলিগুড়ি হয়ে দার্জিলিং পৌঁছাতে রাত আটটা। আমাদের সবার প্রথমবার বিদেশসফর। তাই অনুভূতি অন্য রকম। এখানকার মানুষের ভাষা আলাদা, পরিবেশ আলাদা। এখানে এসে ঘুরে ঘুরে দেখা হলো বাতাসিয়া লুপ, টয়ট্রেন, বৌদ্ধমন্দির, রক গার্ডেনের ঝরনা, পর্বত আরোহণ প্রশিক্ষণ ক্লাব (এইচএমআই), টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা, চা-বাগান, মিরেক লেক ইত্যাদি। সবখানে সঙ্গী মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা। দুপুর কি রাত সব সময় হিম ঠান্ডা। ভুলেই গেলাম বাংলাদেশ এমনকি ভারতের শিলিগুড়িতেও কী ভীষণ গরম।
দার্জিলিং শহরের প্রায় সব স্কুলেই ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হয়। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থীও এখানে লেখাপড়া করেন। শাখাওয়াত হোসেন যেমনটা বললেন, ‘শিক্ষার্থীদের ঘুরে দেখার অন্যতম স্থান হতে পারে দার্জিলিং, যেখানে দেখা ও শেখার আছে অনেক কিছু।’ দার্জিলিংয়ের এক রেস্তোরাঁয় পরিচয় হয় ইংল্যান্ড থেকে আসা তিন শিক্ষার্থী স্টিফেন, হায়াম ও বারবারার সঙ্গে। বয়সে তরুণ হওয়ায় দ্রুতই ভাব জমে যায় তাঁদের সঙ্গে। হায়াম বলেন, ‘আমরা ছয় সপ্তাহের ছুটিতে বেরিয়েছি। আর এর পুরোটা সময় ঘুরে বেড়াব ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে।’ রাকিব তাঁকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালে তাঁরা সানন্দে রাজি হন। তাঁরা জানতে চান বাংলাদেশ সম্বন্ধে। স্টিফেন বলেন, ‘বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময়ে তোমাদের বিউটিফুল বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র আমাকে সেখানে যাওয়ার জন্য আগ্রহী করেছে। সামনের গ্রীষ্মের ছুটিতে হয়তো যেতেও পারি।’
এবারের গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে আমরা চার বন্ধু রাকিব মুজাহিদ, শাখাওয়াত হোসেন ও সোহেল আহমেদ বেরিয়ে পড়ি ভারতের দার্জিলিং দেখতে। সেদিকেই এগিয়ে যাই তাহলে। চারদিকের সৌন্দর্য চোখে পুরতে পুরতে যখন দার্জিলিং শহরে পৌঁছালাম, তখন ঘড়িতে রাত আটটা। গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে আরেক বিস্ময়। শিলিগুড়ি থেকে যখন গাড়িতে উঠি তখনো গায়ের কাপড় ছিল ভেজা আবার দার্জিলিং নামার পরও কাপড় ভেজা। তবে পার্থক্য হচ্ছে শিলিগুড়িতে ভিজেছিল গরমে আর দার্জিলিং শহরে নামার পর মেঘের ঝাপটায়! এই মেঘ এসে ভিজিয়ে দিল তো এই আবার পরিষ্কার আকাশ। এ যেন লুকোচুরি খেলা। যেনতেন কথা তো আর নয়, আমরা তখন সমতল থেকে কয়েক হাজার ফুট ওপরে। মেঘ তো গা ঘেঁষে যাবেই। সারা পথের সৌন্দর্য পুরে নিয়ে চোখ যেন বন্ধ হয়ে আসছে। হোটেলে উঠেই দে ঘুম। এক ঘুমে সকাল।
১৪ জুন রাতে ঢাকা থেকে বাসে চড়ে পরদিন দুপুরে শিলিগুড়ি হয়ে দার্জিলিং পৌঁছাতে রাত আটটা। আমাদের সবার প্রথমবার বিদেশসফর। তাই অনুভূতি অন্য রকম। এখানকার মানুষের ভাষা আলাদা, পরিবেশ আলাদা। এখানে এসে ঘুরে ঘুরে দেখা হলো বাতাসিয়া লুপ, টয়ট্রেন, বৌদ্ধমন্দির, রক গার্ডেনের ঝরনা, পর্বত আরোহণ প্রশিক্ষণ ক্লাব (এইচএমআই), টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা, চা-বাগান, মিরেক লেক ইত্যাদি। সবখানে সঙ্গী মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা। দুপুর কি রাত সব সময় হিম ঠান্ডা। ভুলেই গেলাম বাংলাদেশ এমনকি ভারতের শিলিগুড়িতেও কী ভীষণ গরম।
দার্জিলিং শহরের প্রায় সব স্কুলেই ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হয়। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থীও এখানে লেখাপড়া করেন। শাখাওয়াত হোসেন যেমনটা বললেন, ‘শিক্ষার্থীদের ঘুরে দেখার অন্যতম স্থান হতে পারে দার্জিলিং, যেখানে দেখা ও শেখার আছে অনেক কিছু।’ দার্জিলিংয়ের এক রেস্তোরাঁয় পরিচয় হয় ইংল্যান্ড থেকে আসা তিন শিক্ষার্থী স্টিফেন, হায়াম ও বারবারার সঙ্গে। বয়সে তরুণ হওয়ায় দ্রুতই ভাব জমে যায় তাঁদের সঙ্গে। হায়াম বলেন, ‘আমরা ছয় সপ্তাহের ছুটিতে বেরিয়েছি। আর এর পুরোটা সময় ঘুরে বেড়াব ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে।’ রাকিব তাঁকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালে তাঁরা সানন্দে রাজি হন। তাঁরা জানতে চান বাংলাদেশ সম্বন্ধে। স্টিফেন বলেন, ‘বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময়ে তোমাদের বিউটিফুল বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র আমাকে সেখানে যাওয়ার জন্য আগ্রহী করেছে। সামনের গ্রীষ্মের ছুটিতে হয়তো যেতেও পারি।’
No comments