বান্দরবানে পাহাড় কাটছেন সাংসদ বীর বাহাদুর by হরি কিশোর চাকমা ও বুদ্ধজ্যোতি চাকমা
আইন অমান্য করে বান্দরবানের সাংসদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের (পাচউবো) চেয়ারম্যান বীর বাহাদুর পাহাড় কাটছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বন বিভাগের কার্যালয়ের সামনের পাহাড় কাটা মাটি দিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়সংলগ্ন এলাকার নিচু অংশ ভরাট করা হচ্ছে।
তবে সাংসদ দাবি করেন, নিজের জায়গায় ভবন নির্মাণের জন্য তিনি মাটি কাটিয়ে সমান করছেন। সেটাকে পাহাড় কাটা বলা যাবে না।
পরিবেশ অধিদপ্তর, বান্দরবানের পরিদর্শক হারুন-অর-রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত হোক আর সরকারিই হোক, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটা যাবে না।’
গত ২৬ জুন রাতে বান্দরবানে পাহাড়ধসে ৩৭ জনের মৃত্যু এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের জন্য ২৯ জুন সাংসদ বীর বাহাদুর লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি যান। সেখানে লামার ফাইট্যং ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এলাকার লোকজনকে পাহাড় না কাটার আহ্বান জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক জাফর আলম বলেন, ২০১০ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (সংশোধিত) অনুযায়ী কোনোভাবেই পাহাড় কাটা যাবে না। বিশেষ প্রয়োজনে কাটতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বান্দরবানসহ চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও পাহাড় কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফরস্ট অফিস এলাকায় অবস্থিত মূল পাহাড়টি ২৫০-৩০০ ফুট উঁচু। সেখানে কিছু লোককে পাহারায় নিয়োজিত থাকতে দেখা গেল। পাহাড়ের পাদদেশে ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। ওই স্থানে পাহাড়টি ৩০-৪০ ফুট উঁচু। ওপর থেকে শ্রমিকেরা পাহাড়ের ঢালু অংশের মাটি কেটে নিচে ফেলছেন। এতে পাহাড়ের ঢালু অংশ সমান ও খাড়া হয়ে গেছে। এভাবে মাটি কাটার কারণে পাহাড়ের ওপরের কয়েকটি বাড়ি যেকোনো সময় ধসে পড়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় লোকজন।
পাহাড়টির নিচে ও কলেজ রোডের পশ্চিম পাশে বন বিভাগের কার্যালয় এবং জেলা পুলিশের আবাসিক এলাকা রয়েছে। তবে পাহাড় কাটা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ মন্তব্য করেন।
পাহাড়ের মাটি বহনকারী ট্রাকের চালক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মাটিগুলো পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন। এসপি কামরুল আহসান ও বান্দরবান সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অফিস-সংলগ্ন এলাকায় মাটি ভরাটের জন্য একজন ঠিকাদার নিয়োগ করেছেন তাঁরা। ঠিকাদার কোত্থেকে মাটি আনছেন, তা তাঁরা জানেন না। গতকাল মঙ্গলবারও পাহাড়ে শ্রমিকদের মাটি কাটা অব্যাহত ছিল বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান, সাংসদ বীর বাহাদুর ৬ মার্চ থেকে পাহাড় কাটা শুরু করেন। তিন দিন মাটি কাটার পর স্থানীয় সাংবাদিকেরা ছবি তোলায় এবং বিষয়টি নিয়ে জেলা শহরে ব্যাপক আলোচনা হওয়ায় ৮ মার্চ পাহাড় কাটা বন্ধ হয়ে যায়।
সাংসদের হয়ে পাহাড় কাটার তত্ত্বাবধান করছেন রাজু বড়ুয়া। ৬ মার্চ থেকে পাহাড় কাটার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ভবন নির্মাণের জন্য পাহাড়ের কিছু অংশ কেটে সমান করা হচ্ছে। মাঝখানে কিছুদিন বৃষ্টির কারণে বন্ধ থাকলেও গত সোমবার থেকে আবার পাহাড় কাটা শুরু হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংসদ বীর বাহাদুর বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সব জায়গায়ই তো পাহাড়। সেগুলো না কেটে বা সমান না করে বাড়িঘর নির্মাণ করা যায় না। তাই পাহাড়ের নিজস্ব মালিকানাধীন জায়গায় বাড়ি নির্মাণের জন্য ওই স্থান সমান করছি।’
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক তারিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া কেউ এভাবে পাহাড় কাটতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দেখছি। অবৈধ হলে বন্ধ করা হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তর, বান্দরবানের পরিদর্শক হারুন-অর-রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত হোক আর সরকারিই হোক, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটা যাবে না।’
গত ২৬ জুন রাতে বান্দরবানে পাহাড়ধসে ৩৭ জনের মৃত্যু এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের জন্য ২৯ জুন সাংসদ বীর বাহাদুর লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি যান। সেখানে লামার ফাইট্যং ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এলাকার লোকজনকে পাহাড় না কাটার আহ্বান জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক জাফর আলম বলেন, ২০১০ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (সংশোধিত) অনুযায়ী কোনোভাবেই পাহাড় কাটা যাবে না। বিশেষ প্রয়োজনে কাটতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বান্দরবানসহ চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও পাহাড় কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফরস্ট অফিস এলাকায় অবস্থিত মূল পাহাড়টি ২৫০-৩০০ ফুট উঁচু। সেখানে কিছু লোককে পাহারায় নিয়োজিত থাকতে দেখা গেল। পাহাড়ের পাদদেশে ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। ওই স্থানে পাহাড়টি ৩০-৪০ ফুট উঁচু। ওপর থেকে শ্রমিকেরা পাহাড়ের ঢালু অংশের মাটি কেটে নিচে ফেলছেন। এতে পাহাড়ের ঢালু অংশ সমান ও খাড়া হয়ে গেছে। এভাবে মাটি কাটার কারণে পাহাড়ের ওপরের কয়েকটি বাড়ি যেকোনো সময় ধসে পড়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় লোকজন।
পাহাড়টির নিচে ও কলেজ রোডের পশ্চিম পাশে বন বিভাগের কার্যালয় এবং জেলা পুলিশের আবাসিক এলাকা রয়েছে। তবে পাহাড় কাটা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ মন্তব্য করেন।
পাহাড়ের মাটি বহনকারী ট্রাকের চালক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মাটিগুলো পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন। এসপি কামরুল আহসান ও বান্দরবান সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অফিস-সংলগ্ন এলাকায় মাটি ভরাটের জন্য একজন ঠিকাদার নিয়োগ করেছেন তাঁরা। ঠিকাদার কোত্থেকে মাটি আনছেন, তা তাঁরা জানেন না। গতকাল মঙ্গলবারও পাহাড়ে শ্রমিকদের মাটি কাটা অব্যাহত ছিল বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান, সাংসদ বীর বাহাদুর ৬ মার্চ থেকে পাহাড় কাটা শুরু করেন। তিন দিন মাটি কাটার পর স্থানীয় সাংবাদিকেরা ছবি তোলায় এবং বিষয়টি নিয়ে জেলা শহরে ব্যাপক আলোচনা হওয়ায় ৮ মার্চ পাহাড় কাটা বন্ধ হয়ে যায়।
সাংসদের হয়ে পাহাড় কাটার তত্ত্বাবধান করছেন রাজু বড়ুয়া। ৬ মার্চ থেকে পাহাড় কাটার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ভবন নির্মাণের জন্য পাহাড়ের কিছু অংশ কেটে সমান করা হচ্ছে। মাঝখানে কিছুদিন বৃষ্টির কারণে বন্ধ থাকলেও গত সোমবার থেকে আবার পাহাড় কাটা শুরু হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংসদ বীর বাহাদুর বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সব জায়গায়ই তো পাহাড়। সেগুলো না কেটে বা সমান না করে বাড়িঘর নির্মাণ করা যায় না। তাই পাহাড়ের নিজস্ব মালিকানাধীন জায়গায় বাড়ি নির্মাণের জন্য ওই স্থান সমান করছি।’
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক তারিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া কেউ এভাবে পাহাড় কাটতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দেখছি। অবৈধ হলে বন্ধ করা হবে।’
No comments