এবিসি রেডিও-প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’-শ্রেণীকক্ষ থেকে উন্নত শিক্ষা পায় না বলেই শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট পড়ছে
এবিসি রেডিওর স্টুডিওতে প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’ অনুষ্ঠানে গত ২৬ জুন এসেছিলেন ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এম কে বাশার। তিনি কথা বলেছেন কথাবন্ধু ব্রতীর সঙ্গে। শিক্ষাক্ষেত্রের বিভিন্ন বিষয় এবং একজন সফল শিক্ষা উদ্যোক্তা হওয়ার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।
কথাবন্ধু: আপনি একজন সফল শিক্ষা-উদ্যোক্তা। এই কাজের অনুপ্রেরণা পেলেন কীভাবে?
এম কে বাশার: আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশে প্রচলিত যে শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে কিছু পরিবর্তন করে কিছু যোগ করা জরুরি। এ ছাড়া আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের যদি কর্মমুখী বা যুগোপযোগী শিক্ষা না দেওয়া যায়, তাহলে দিন দিন বেকারের সংখ্যা বাড়বে। সে জন্য উন্নতমানের শিক্ষাদানের মাধ্যমে যোগ্য ও দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ তৈরি করার লক্ষ্যেই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ) করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম।
কথাবন্ধু: ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ সম্পর্কে বিস্তারিত বলুন।
এম কে বাশার: ২০০৫ সালে আমরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন নিই এবং ন্যাশনাল কারিকুলাম (জাতীয় স্কুল বা কলেজের পাঠক্রম) অনুযায়ী কাজ শুরু করি। ২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনেক সফলতা যোগ হয়েছে। আমরা মেধাতালিকায় পরপর চারবারই এসেছি। বাংলাদেশে এটিই আইএসও সনদপ্রাপ্ত প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ অনেক স্বীকৃতি পেয়েছে।
কথাবন্ধু: কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট শিক্ষকদের ব্যবসায়ী মনোভাবের কারণে শিক্ষকতা পেশা আজ সমালোচনার মুখোমুখি। এ ব্যাপারে আপনার প্রতিষ্ঠান কিছু দূরদর্শী উদ্যোগ নিয়েছে। এ সম্পর্কে বলুন।
এম কে বাশার: বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষ থেকে বা নানা কারণে উন্নতমানের শিক্ষা পাচ্ছে না। সে জন্য ভালো ফলাফলের স্বার্থে তারা প্রাইভেট পড়তে চাইছে। একই সঙ্গে কোচিং সেন্টারের শরণাপন্ন হচ্ছে। কিন্তু ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম যে এই প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে কখনো প্রাইভেট পড়তে হবে না। এমনকি কোনো কোচিং সেন্টারেও যেতে হবে না। যা এখন পর্যন্ত বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছি। ক্যামব্রিয়ানে প্রাইমারি শাখায় একটি শ্রেণীকক্ষে ছাত্রসংখ্যা ১৫ বা ২০ জন। একটি ক্লাসে দুজন শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন। বাড়ির কাজ, ডায়েরি লেখা, তাদের মনোযোগ আছে কি না—সেগুলো লক্ষ রাখছেন শিক্ষকেরা। অন্যদিকে সরকারি বা এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়গুলোতে একটি শ্রেণীকক্ষে শতাধিক বা তারও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। ৪০ বা ৪৫ মিনিটের একটি ক্লাসে এত শিক্ষার্থীকে সমানভাবে লক্ষ করা সম্ভব হয় না। যে কারণে শিক্ষার্থীরা কোচিং বা প্রাইভেট পড়তে বাধ্য হচ্ছে। সে জন্য পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, প্রশিক্ষিত ও দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষক ও উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে শিক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক শিক্ষার্থী উন্নত শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। তাদের জন্য বেসরকারি উদ্যোগে কি কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়?
এম কে বাশার: নিশ্চয়ই। এ ব্যাপারে বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের কল্যাণমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। এ জন্য শহরের বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা আধুনিক ও উন্নতমানের শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলছে। সুতরাং আমার মনে হয়, ভালো মানের একজন শিক্ষক শহরের শ্রেণীকক্ষে যে শিক্ষা দিচ্ছেন, সেটা আমরা মফস্বলেও ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারি। আমাদের সংসদ টেলিভিশন নামের একটি চ্যানেল রয়েছে। যখন সংসদ অধিবেশন চলে, তখন তা সরাসরি প্রচার করে। বাকি সময়টুকু অবসর থাকে। সে ক্ষেত্রে সেখানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য কোনো অনুষ্ঠান প্রচার করা হলে হয়তো তারা উপকৃত হবে। এ ছাড়া যে প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভালো ক্লাস নেওয়া হচ্ছে, তা রেকর্ড করে প্রচার করা হলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত ডিগ্রি বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা কেমন? দেশের বাইরের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এ দেশের শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনা কতটুকু?
এম কে বাশার: বাংলাদেশের ডিগ্রিগুলোর গ্রহণযোগ্যতা সারা বিশ্বেই রয়েছে। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের যেকোনো দেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যেতে পারে। কারণ, বাংলাদেশ থেকে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনা করে অনেকেই দেশের বাইরে অনার্স বা মাস্টার্সে ভর্তি হতে পেরেছে। আমাদের ন্যাশনাল কারিকুলাম বা জাতীয় পাঠক্রম যেটি রয়েছে, তা অন্যদের চেয়ে একেবারেই পিছিয়ে আছে, সেটা বলা যাবে না। তবে উন্নত বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে আমরা তুলনামূলক যেটুকু পিছিয়ে আছি, সে ক্ষেত্রে একটু চেষ্টা করলেই আমরা সফল হতে পারি।
কথাবন্ধু: ভালো শিক্ষা কীভাবে একজন শিক্ষার্থীর ভেতরে পরিবর্তন আনে বা ব্যক্তিত্ব গঠনে সাহায্য করে?
এম কে বাশার: একজন শিক্ষার্থী যখন কোনো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা নিতে যায়, তখন ওই শিক্ষার্থী পরিবেশ থেকেও অনেক শিক্ষা গ্রহণ করে, যা পরবর্তী জীবনে আরও বেশি কাজে লাগে। এ জন্য একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের যেমন পুঁথিগত (পাঠ্যবই) বিদ্যা দেবেন, পাশাপাশি তাকে সহশিক্ষা কার্যক্রমেও আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করবেন। সৎ, নিষ্ঠাবান, সময়ানুবর্তিতা বিষয়ে শিক্ষা দেবেন। নীতি-নৈতিকতার বিষয়গুলোও আসতে হবে, যা সর্বোপরি তাকে পূর্ণাঙ্গ মানুষ রূপে গড়ে তুলবে। এই পুরো শিক্ষাটাই কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠান দিতে পারে।
কথাবন্ধু: শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার দিকনির্দেশনা কী হবে?
এম কে বাশার: শিক্ষার শুরুটা যেন মনোযোগ সহকারে হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বিতর্ক ও আবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত থাকা উচিত। নাচ, গান—এসব বিষয়ের ওপরও আগ্রহী হতে হবে। সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন কিছু করার ইচ্ছা থাকতে হবে। পড়াশোনা শুধু যেন চাকরির উদ্দেশ্য না হয়।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
এম কে বাশার: আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশে প্রচলিত যে শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে কিছু পরিবর্তন করে কিছু যোগ করা জরুরি। এ ছাড়া আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের যদি কর্মমুখী বা যুগোপযোগী শিক্ষা না দেওয়া যায়, তাহলে দিন দিন বেকারের সংখ্যা বাড়বে। সে জন্য উন্নতমানের শিক্ষাদানের মাধ্যমে যোগ্য ও দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ তৈরি করার লক্ষ্যেই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ) করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম।
কথাবন্ধু: ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ সম্পর্কে বিস্তারিত বলুন।
এম কে বাশার: ২০০৫ সালে আমরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন নিই এবং ন্যাশনাল কারিকুলাম (জাতীয় স্কুল বা কলেজের পাঠক্রম) অনুযায়ী কাজ শুরু করি। ২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনেক সফলতা যোগ হয়েছে। আমরা মেধাতালিকায় পরপর চারবারই এসেছি। বাংলাদেশে এটিই আইএসও সনদপ্রাপ্ত প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ অনেক স্বীকৃতি পেয়েছে।
কথাবন্ধু: কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট শিক্ষকদের ব্যবসায়ী মনোভাবের কারণে শিক্ষকতা পেশা আজ সমালোচনার মুখোমুখি। এ ব্যাপারে আপনার প্রতিষ্ঠান কিছু দূরদর্শী উদ্যোগ নিয়েছে। এ সম্পর্কে বলুন।
এম কে বাশার: বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষ থেকে বা নানা কারণে উন্নতমানের শিক্ষা পাচ্ছে না। সে জন্য ভালো ফলাফলের স্বার্থে তারা প্রাইভেট পড়তে চাইছে। একই সঙ্গে কোচিং সেন্টারের শরণাপন্ন হচ্ছে। কিন্তু ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম যে এই প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে কখনো প্রাইভেট পড়তে হবে না। এমনকি কোনো কোচিং সেন্টারেও যেতে হবে না। যা এখন পর্যন্ত বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছি। ক্যামব্রিয়ানে প্রাইমারি শাখায় একটি শ্রেণীকক্ষে ছাত্রসংখ্যা ১৫ বা ২০ জন। একটি ক্লাসে দুজন শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন। বাড়ির কাজ, ডায়েরি লেখা, তাদের মনোযোগ আছে কি না—সেগুলো লক্ষ রাখছেন শিক্ষকেরা। অন্যদিকে সরকারি বা এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়গুলোতে একটি শ্রেণীকক্ষে শতাধিক বা তারও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। ৪০ বা ৪৫ মিনিটের একটি ক্লাসে এত শিক্ষার্থীকে সমানভাবে লক্ষ করা সম্ভব হয় না। যে কারণে শিক্ষার্থীরা কোচিং বা প্রাইভেট পড়তে বাধ্য হচ্ছে। সে জন্য পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, প্রশিক্ষিত ও দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষক ও উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে শিক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক শিক্ষার্থী উন্নত শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। তাদের জন্য বেসরকারি উদ্যোগে কি কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়?
এম কে বাশার: নিশ্চয়ই। এ ব্যাপারে বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের কল্যাণমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। এ জন্য শহরের বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা আধুনিক ও উন্নতমানের শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলছে। সুতরাং আমার মনে হয়, ভালো মানের একজন শিক্ষক শহরের শ্রেণীকক্ষে যে শিক্ষা দিচ্ছেন, সেটা আমরা মফস্বলেও ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারি। আমাদের সংসদ টেলিভিশন নামের একটি চ্যানেল রয়েছে। যখন সংসদ অধিবেশন চলে, তখন তা সরাসরি প্রচার করে। বাকি সময়টুকু অবসর থাকে। সে ক্ষেত্রে সেখানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য কোনো অনুষ্ঠান প্রচার করা হলে হয়তো তারা উপকৃত হবে। এ ছাড়া যে প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভালো ক্লাস নেওয়া হচ্ছে, তা রেকর্ড করে প্রচার করা হলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত ডিগ্রি বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা কেমন? দেশের বাইরের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এ দেশের শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনা কতটুকু?
এম কে বাশার: বাংলাদেশের ডিগ্রিগুলোর গ্রহণযোগ্যতা সারা বিশ্বেই রয়েছে। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের যেকোনো দেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যেতে পারে। কারণ, বাংলাদেশ থেকে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনা করে অনেকেই দেশের বাইরে অনার্স বা মাস্টার্সে ভর্তি হতে পেরেছে। আমাদের ন্যাশনাল কারিকুলাম বা জাতীয় পাঠক্রম যেটি রয়েছে, তা অন্যদের চেয়ে একেবারেই পিছিয়ে আছে, সেটা বলা যাবে না। তবে উন্নত বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে আমরা তুলনামূলক যেটুকু পিছিয়ে আছি, সে ক্ষেত্রে একটু চেষ্টা করলেই আমরা সফল হতে পারি।
কথাবন্ধু: ভালো শিক্ষা কীভাবে একজন শিক্ষার্থীর ভেতরে পরিবর্তন আনে বা ব্যক্তিত্ব গঠনে সাহায্য করে?
এম কে বাশার: একজন শিক্ষার্থী যখন কোনো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা নিতে যায়, তখন ওই শিক্ষার্থী পরিবেশ থেকেও অনেক শিক্ষা গ্রহণ করে, যা পরবর্তী জীবনে আরও বেশি কাজে লাগে। এ জন্য একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের যেমন পুঁথিগত (পাঠ্যবই) বিদ্যা দেবেন, পাশাপাশি তাকে সহশিক্ষা কার্যক্রমেও আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করবেন। সৎ, নিষ্ঠাবান, সময়ানুবর্তিতা বিষয়ে শিক্ষা দেবেন। নীতি-নৈতিকতার বিষয়গুলোও আসতে হবে, যা সর্বোপরি তাকে পূর্ণাঙ্গ মানুষ রূপে গড়ে তুলবে। এই পুরো শিক্ষাটাই কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠান দিতে পারে।
কথাবন্ধু: শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার দিকনির্দেশনা কী হবে?
এম কে বাশার: শিক্ষার শুরুটা যেন মনোযোগ সহকারে হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বিতর্ক ও আবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত থাকা উচিত। নাচ, গান—এসব বিষয়ের ওপরও আগ্রহী হতে হবে। সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন কিছু করার ইচ্ছা থাকতে হবে। পড়াশোনা শুধু যেন চাকরির উদ্দেশ্য না হয়।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
No comments